ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি গ্রন্থের  প্রকাশনা উৎসব

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকার ইতিহাস ৪০০ বছরের পুরনো। নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে বিকশিত হয়েছে এই শহরটি। আর সেই উত্থান-পতনের মাঝেই গড়ে উঠে স্থানীয় অধিবাসীদের খাদ্যাভ্যাস বা খাদ্য সংস্কৃতি। কালক্রমে সেই খাদ্য সংস্কৃতি পরিণত হয়েছে ঐতিহ্যে। আর পুরান ঢাকার বিশেষ মর্যাদা সেই খাবারের ঐতিহ্য নিয়ে প্রকাশিত হলো গ্রন্থ। রচিত হয়েছে ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ নামের বই। ঐতিহ্য প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত এই বইটি লিখেছেন সাদ উর রহমান। বুধবার বিকেলে শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে বইটির প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কেন্দ্রের সভাপতি আজিম বখ্শ, বিক্রমপুর জাদুঘরের কিউরেটর অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান মিয়া। স্বাগত ব্ক্তব্য রাখেন প্রকাশনা সংস্থা ঐতিহ্যের প্রকাশক ও স্বত্বাধিকারী আরিফুর রহমান নাইম। অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বইটির লেখক সাদ উর রহমান। কামরুল ইসলাম বলেন, ঢাকার ঐতিহ্য দিনে দিনে হারিয়ে যাচ্ছে। সেই ঐতিহ্য হারিয়ে যাওয়ার সময়ে একটি অনন্য সংযোজন ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটি। লেখক বইয়ে বিভিন্ন খাবারের বর্ণনার পাশাপাশি সেগুলোর আভিধানিক ইতিহাসেরও বর্ণনা দিয়েছেন। যেমন বিরিয়ানি বা কালিয়ার কথা বলতে গিয়ে এই শব্দগুলো কোথা থেকে কিভাবে এসেছে সেই বিষয়গুলোও তুলে ধরেছেন। বইটির সাফল্য কামনা করছি। অধ্যাপক মোঃ শাহজাহান মিয়া বলেন, শিল্পীর চিত্রকর্ম যেমন মানুষের চোখকে আকর্ষিত করে তেমনি ভাল কেন খাবারেও তৃপ্ত হয় আত্মা। লুপ্তপ্রায় ঢাকাই খাবারের তালিকা ও রন্ধন প্রণালি বইটিতে যুক্ত হওয়ায় হারিয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পেল এই খাবারগুলো। আজিম বখ্শ বলেন, ঢাকার ঐতিহ্যকে বজায় রাখতে হলে ঢাকাই খাবারকেও রাখতে হবে। লেখক সাদ উর রহমান বলেন, দীর্ঘ আড়াই বছরের পরিশ্রমের ফসল এই বই। ঢাকার বিলুপ্ত প্রায় খাবারগুলোকে এই বইয়ের মাধ্যমে তুলে ধরেছি। ২৪৮ পৃষ্ঠার ‘ঢাকাই খাবার ও খাদ্য সংস্কৃতি’ বইটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪৫০ টাকা। প্রচ্ছদ এঁকেছেন ধ্রুব এষ। পারফরম্যান্স আর্ট সপ্তাহের দ্বিতীয় দিন ॥ বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের ভিস্যুয়াল আর্ট বিভাগের আয়োজনে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে পারফরম্যান্স আর্ট সপ্তাহ। ২০ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে এই আয়োজন চলবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। বুধবার ছিল এ আয়োজনের দ্বিতীয় দিন। এদিন রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউয়ের ডেইলি স্টার-বেঙ্গল আর্টস প্রিসিঙ্কটে বিকেলে শুরু হয়ে পরিবেশনা পর্বটি চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত। পাঁচ শিল্পীর উপস্থাপনা সাজানো অনুষ্ঠানের সূচনা হয় সনদ কুমার বিশ্বাসের পরিবেশনার মাধ্যমে। আর্টিস্ট ইন এ গিফট বক্স শীর্ষক এ পরিবেশনায় শিল্পী নিজেকে ঝলমলে কাগজে মোড়া বিশালাকৃতির একটি উপহার বাক্সের ভেতরে রেখে উপস্থিত দর্শকের সঙ্গে ভাব বিনিময় করেন। এক্ষেত্রে শিল্পী তাঁর শিল্পকর্মকে ছাপিয়ে নিজেকে দর্শকের কাছে একটি উপহার হিসেবে প্রদর্শন করেন। সেলফি শীর্ষক পরিবেশনায় নাসরীন টুনটুন নিজেকে কালো পলিথিনে মোড়া ঝুলন্ত একটি আবরণের ভেতর থেকে নিজেকে উপস্থাপন করেন। এই পরিবেশনায় তিনি রূপক অর্থে সমাজের বর্তমান প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন যা অন্ধকারাচ্ছন্ন এবং মূল্যবোধ থেকে বিচ্যুত। নাজিয়া আন্দালীব প্রিমা তাঁর সি মি সি ইউ শিরোনামের পারফরম্যান্সে নিজেকে পর্দায় আবৃত রেখে বিভিন্ন ভঙ্গিমার মাধ্যমে দর্শকের সঙ্গে এক ধরনের মিথস্ক্রিয়া প্রকাশ করেন। অর্পিতা সিংহ লোপা তার নারীবাদী বিশ্বাসের প্রকাশ ঘটান ফ্রিডম ইন ফেমিনিনিটি শীর্ষক পারফরম্যান্সে। এ পরিবেশনায় শিল্পী নারী সত্তার মূল শক্তি হিসেবে মূল্যবোধের চর্চাকে প্রাধান্য দিয়েছেন। কেইজ অব প্রেসেন্ট শীর্ষক পারফরম্যান্সে ইফাত রেজওয়ানা রিয়া অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে মানুষের সঙ্কটের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে ধানম-ির জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে। বিকেল ৪টা থেকে ৭টা পর্যন্ত চলমান পরিবেশনায় অংশ নেবেন সুমনা আক্তার, ঋতু সাত্তার, নীলুফার চমন, ওয়ালী জাফ, মেহেরুন আক্তার ও অতীশ সাহা।
×