ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অনির্দিষ্টকাল বন্ধ ঘোষণা

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ২০

প্রকাশিত: ০৫:৪৩, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

কুমিল্লা মেডিক্যাল  কলেজ ছাত্রলীগ দুই গ্রুপে সংঘর্ষ  আহত ২০

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা, ২৮ ডিসেম্বর ॥ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং ভাংচুর হয়েছে। এতে অন্তত ২০ ছাত্র আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কলেজ ক্যাম্পাসে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। ঘটনার তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জানা যায়, কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ হাবিবুর রহমান পলাশ সমর্থিত গ্রুপ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ডাঃ মোঃ হান্নান সমর্থিত গ্রুপের ছাত্রলীগের কর্মীরা আবাসিক হল ও ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তারসহ প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের গ্রুপে অন্তর্ভুক্তি নিয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে এবং ডাঃ শাহ আলম বীর উত্তম ছাত্রাবাসের বিভিন্ন কক্ষে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও বুধবার সকালের দিকে উভয়পক্ষ ধারালো অস্ত্র নিয়ে আবারও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দুই দফা সংঘর্ষে অন্তত ২০ ছাত্র আহত হয়। আহতদের মধ্যে ২য় বর্ষের বেলাল, রায়হান, রুবেল, ফয়সাল, দীপ্ত, প্রথম বর্ষের ইমন, হৃদয় নাথ, ৫মবর্ষের জিহান, দীমান, চয়ন ভৌমিক, আনিসুর রহমান, খালেদ, শ্যামল ভৌমিক, জাহিদ ও ৪র্থবর্ষের প্রণবকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের বেশিরভাগই মোঃ হান্নান সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী। কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মোঃ আবদুর রব জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ক্যাম্পাসে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডাঃ মোঃ মহসিন উজ-জামান জানান, ছাত্রদের দুই গ্রুপ আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কলেজ বন্ধ ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ দিলে বিকেল ৪টার মধ্যে শিক্ষার্থীরা হল ত্যাগ করেছে। তবে ৩য় বর্ষের পরীক্ষার্থী ও বিদেশী ২৮ শিক্ষার্থীকে হলে থাকার অনুমতি দেয়া হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘটনা তদন্তে বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান প্রফেসর ডাঃ এমএ সামাদকে আহ্বায়ক এবং নিউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডাঃ নাজমুল হাসান চৌধুরী, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাঃ সুকুমার চক্রবর্তীকে সদস্য করে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
×