ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

অর্থমন্ত্রীর আভাস

জ্বালানি তেলের দাম জানুয়ারিতে আরেক দফা কমানো হবে

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬

জ্বালানি তেলের দাম জানুয়ারিতে আরেক দফা কমানো হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকে জ্বালানি তেলের দাম আরেক দফা কমানোর উদ্যোগ কার্যকর করা হতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিনি বলেন, ২০১৬ সাল দেশের অর্থনীতির জন্য ভাল ছিল, দেশে শান্তি ছিল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল, যা গুরুত্বপূর্ণ। আর এর ফল তো দেখতেই পারছেন। ইতোমধ্যে পরিকল্পনামন্ত্রী প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭ দশমিক ৫ শতাংশ ঘোষণা করেছেন। আমি আশা করি, তাঁর অনুমান সত্য হবে। তিনি বলেন, আমার নিজের হিসেবে ৭ দশমিক ২, যেটা আমরা টার্গেট করেছি, দ্যাট ওয়াজ ভেরি কনজারভেটিভ, আর কনজারভেটিভ ইচ্ছা করেই তখন করা হয়েছিল। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জানুয়ারি মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সম্ভাবনা খুবই বেশি। ডিসেম্বরে (কমাতে) চেয়েছিলাম, তবে ডিসেম্বরে পারছি না, সুতরাং এটা জানুয়ারিতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যেতে হবে, কারণ ওটা তার মন্ত্রণালয়। একটা প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কাছে দিতে হবে সেটা এখনও দিতে পারিনি। প্রসঙ্গত, বিশ্ববাজারে দুই বছর ধরে তেলের দরপতন চললেও ভর্তুকির লোকসান থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনকে তুলতে দীর্ঘদিন দাম অপরিবর্তিত রাখে সরকার। এরপর চলতি বছর ২৪ এপ্রিল ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ৪ শতাংশ এবং অকটেন ও পেট্রোলের দাম ১০ শতাংশের মতো কমানো হয়। তার কয়েকদিন আগে ফার্নেস অয়েলের দাম প্রতি লিটার ৬০ টাকা থেকে ৪২ টাকায় নামিয়ে আনা হয়। অর্থমন্ত্রী বলেন, ক্যালেন্ডার বছরে (তেলের দাম) আমরা কিছুটা সমন্বয় করেছি, এ্যান্ড দ্যাট ইজ গুড এনাফ। এটার জন্য এমন কোন ওরিড না। কারণ ওটা করা হয়েছে প্রাইস বেইজড ৮০ ডলার (আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দর)। নতুন করে নির্ধারণ করতে হলে এটা ৬০-এর কাছাকাছি হবে। ৪০ এ নেমেছিল, এখন আবার উপরে উঠছে। আমার হিসাবে বেস্ট প্রাইস ৬০-এর কাছাকাছি হবে, এটা খুব এমন বড় কিছু না। দাম কমানোর উদ্যোগের ব্যাখ্যায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা করার উদ্দেশ্য হচ্ছে লাভটা অর্থনীতির সবক্ষেত্রে ছড়িয়ে দেয়া। যেখানে প্রত্যেকে তেলের দামে প্রভাবিত হয়, এজন্য তেলের দাম কমানোর সুপারিশ দিয়েছে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মুহিত বলেন, গত ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে রেকর্ডসংখ্যক কর্মী কাজ নিয়ে বিদেশে গেলেও রেমিটেন্স কমেছে। এজন্য অনেকেই দায়ী করছেন হুন্ডিকে। এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে হুন্ডি হয়, তবে এটা আর থাকবে না। ইন্টারন্যাশনালিও অনেকটা ঝামেলা হয়েছে, ইউরোপের প্রবলেম। এটা নিয়ে চিন্তা করার খুব বেশি কারণ নাই। সাধারণ বীমার ৩০ কোটি টাকার লভ্যাংশ প্রদান ॥ সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের ২০১৫ সালের লভ্যাংশের ৩০ কোটি টাকার চেক অর্থমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাহরিয়ার আহসান। ওই সময় তিনি মন্ত্রীকে বলেন, সামনের বছর সরকারকে আরও দিতে পারব বলে পরিকল্পনা করছি। সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ২০১৪ সালে ২৫ কোটি টাকা লভ্যাংশ দিয়েছিল সরকারকে। এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের অর্থমন্ত্রী বলেন, লভ্যাংশের ৩০ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে সাধারণ বীমা কর্পোরেশন। গত বছর এর পরিমাণ ছিল ২৫ কোটি টাকা। আগামী বছর সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি লভ্যাংশ পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। কর্পোরেশনের জিএম জ্যোৎস্না বিকাশ চাকমা, ডিজিএম জাকির হোসেন, ডিজিএম পারভীন সুলতানা ও ডিএম বিপ্লব কুমার দাস চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
×