ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কেলেঙ্কারি ॥ বদলি কেন্দ্র সচিবকে

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬

ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন কেলেঙ্কারি ॥ বদলি কেন্দ্র সচিবকে

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২৭ ডিসেম্বর ॥ সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় কোচিং সেন্টারের প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলের ঘটনা জেলা প্রশাসন প্রথম থেকেই অস্বীকার করলেও অবশেষে কেন্দ্র সচিবকে শাস্তিমূলক বদলি করেছে। প্রশ্ন প্রণয়নে জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক কেন্দ্র সচিব সুশান্ত কুমার দেবের কোন ভূমিকা না থাকলেও তাকে ভোলায় শাস্তিমূলক বদলি করায় সুধীমহলে নানা প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। অনেক অভিভাবক জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে সংবাদকর্মীদের কাছে নানা প্রশ্ন তুলেছেন। পাবনা ৩টি মাধ্যমিক স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ভর্তি পরীক্ষা ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়। ভর্তি পরীক্ষায় স্থানীয় ফেয়ার কোচিং সেন্টারের ১৫ দিন পূর্বের দেয়া প্রশ্নের সঙ্গে হুবহু মিলে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। ওই কোচিং সেন্টারের ২৫ ছাত্র সরকারী স্কুলে ভর্তির সুযোগ পায়। দৈনিক জনকণ্ঠসহ স্থানীয় দৈনিকে এ বিষয়ে সংবাদ পরিবেশিত হয়। ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা প্রশাসকের বাসভবন ঘেরাওসহ প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন। এরপর ২৫ ডিসেম্বর বিকেলে জেলা প্রশাসক তড়িঘড়ি করে কয়েক সংবাদিককে তার কার্যালয়ে ডেকে কোচিং সেন্টারের সঙ্গে ভর্তির প্রশ্নের মিলের ঘটনা অস্বীকার করেন। তিনি সংবাদকর্মীদের জানান, এটি ভিত্তিহীন অসৎ প্রচার। ওইদিনই আবার জেলা প্রশাসক রেখা রানী বালো ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ফেয়ার কোচিং সেন্টারের পরিচালক আব্দুল মোতালেব, সাফল্য কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থাপক তানিয়া খাতুন, মা জননী স্টেশনারীর মালিক আফতাব উদ্দিন, আবু তৈওব ও ফটোকপির মালিক শেখ হাসান মাসুদকে ১০ টাকা করে জরিমানা করেন। এছাড়াও সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক প্রীতিশ কুমার ও আব্দুল কাদেরের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন। অন্যদিকে ২৬ ডিসেম্বর কেন্দ্র সচিব জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দেবকে শাস্তিমূলক ভোলায় বদলি করা হয়। কেন্দ্র সচিবের প্রশ্ন প্রণয়নে কোন ভূমিকা না থাকলেও এ ঘটনায় তাকে বদলি করায় প্রশাসনের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ করেছে সুধিমহলকে। প্রশ্ন কেলেঙ্কারির ঘটনায় কোন তদন্ত না করেই জেলা প্রশাসন একবার কেনই বা ঘটনা অস্বীকার করলেন? আবার কেনই বা এ অভিযোগে জেলা স্কুলের প্রধান শিক্ষককে শাস্তিমূলক বদলি করা হলো। এ প্রশ্নও তুলেছেন সুধিমহল। বিক্ষুব্ধ অভিভাবকরা জানিয়েছেন, প্রধান শিক্ষক সুশান্ত কুমার দেব ২০০৫ সালের ১ সেপ্টম্বর জেলা স্কুলে যোগদানের পর একাডেমিকসহ স্কুলের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। অত্যন্ত সৎ নীতিবান শিক্ষককে এ ঘটনায় বলি করায় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
×