ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

মার্সেল বিজয় দিবস হকিতে নৌবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

প্রকাশিত: ০৬:০০, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

মার্সেল বিজয় দিবস হকিতে নৌবাহিনী চ্যাম্পিয়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘মার্সেল বিজয় দিবস হকি টুর্নামেন্ট’ সোমবার শেষ হয়েছে। এতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। মওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে তারা হারায় প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। নিষ্পত্তির জন্য ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে সেনাবাহিনীকে ৩-২ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে শিরোপা জেতে নৌবাহিনী। চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে নৌবাহিনী ৫০ হাজার ও রানার্সআপ হিসেবে সেনাবাহিনী ৩০ হাজার টাকা প্রাইজমানি পায়। এছাড়া ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে উভয় দলের খেলোয়াড়দের হোম এ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হয়। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সেনাবাহিনীর পুস্কর খিসা মিমো আর সর্বোচ্চ গোলদাতা হন সেনাবাহিনীর খোরশেদুর রহমান। সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ গোলদাতাও পান ১০ হাজার টাকা করে প্রাইজমানি। সোমবার ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য কোন দলই গোলের দেখা পায়নি। দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ মিনিটে সেনাবাহিনীর খোরশেদুর রহমান পেনাল্টি কর্নার (পিসি) থেকে গোল করে এগিয়ে নেন দলকে (১-০)। কিন্তু বেশিক্ষণ তারা এগিয়ে থাকতে পারেনি। ম্যাচের ৬৫ মিনিটে নৌবাহিনীর অধিনায়ক রাসেল মাহমুদ জিমি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরান (১-০)। সেই সমতা নিয়েই শেষ হয় নির্ধারিত সময়ের লড়াই। এরপর টাইব্রেকারে নৌবাহিনী ৩-২ গোলের ব্যবধানে সেনাবাহিনীকে হারিয়ে বিজয় দিবস হকির শিরোপা জিতে নেয়। ফাইনাল শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী ও বিজিত দলকে পুরস্কৃত করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। এ সময় বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ ১০ আসনের সংসদ সদস্য এবং পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ফাহ্মী গোলন্দাজ বাবেল ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের স্পোর্টস এ্যান্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ হকি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি খাজা রহমতউল্লাহ, টুর্নামেন্ট কমিটির সম্পাদক মাহাবুবুল এহসান রানা ও ফেডারেশনের অন্য কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, এবারের বিজয় দিবস হকি প্রতিযোগিতায় সার্ভিসেস দলগুলোর পাশাপাশি বিকেএসপি ও চট্টগ্রামের একটি দল অংশ নেয়। ছয়টি দলকে দুটি গ্রুপে বিভক্ত করে প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হয়। তার মধ্যে ‘ক’ গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ নৌবাহিনী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশ। ‘খ’ গ্রুপে ছিল বিকেএসপি, বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও চান্দগাঁও স্পোর্টিং ক্লাব, চট্টগ্রাম। ‘ক’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী। আর ‘খ’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও বিকেএসপি। সেমিফাইনালে বিমানবাহিনীকে হারিয়ে সেনাবাহিনী ও বিকেএসপিকে হারিয়ে নৌবাহিনী ফাইনালে ওঠে।
×