ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

উপধারা সংশোধনের দাবি

সারাদেশে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০১৬

 সারাদেশে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতাদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রস্তাবিত শিক্ষা আইনের কয়েকটি উপধারা সংশোধনের দাবিতে সারাদেশে লাইব্রেরি বন্ধ রেখে আন্দোলন শুরু করেছেন বই প্রকাশক ও বিক্রেতারা। রাজধানীসহ দেশের প্রতিটি জেলায় বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে সোমবার মানববন্ধন করেছেন তারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচী হিসেবে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির ডাকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রকাশক ও বিক্রেতারা মানববন্ধন করে অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন। ব্যবসায়ীদের দাবি, বিশ্বায়নের এ যুগে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বেসরকারী প্রকাশকরা যাতে সহায়ক গ্রন্থ ও রেফারেন্স বই বাজারজাত করতে পারেন সে লক্ষ্যে শিক্ষা আইনের কয়েকটি ধারা-উপধারা সংযোজন ও সংশোধন করতে হবে। পূর্বঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী সারাদেশের ৬০ জেলায় বইয়ের দোকান বন্ধ রেখে মানববন্ধন করেন পুস্তক প্রকাশকরা। এরই অংশ হিসেবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীতে দাবি তুলে ধরেন প্রকাশকরা। এর আগে শনিবার একই দাবিতে সংবাদ সম্মেলনও করেন তারা। আজ মঙ্গলবার ও কাল বুধবার দেশের সকল বইয়ের দোকানে দুদিনের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। সমিতির নেতা শ্যামল পাল বলেন, প্রস্তাবিত শিক্ষা আইন বাস্তবায়িত হলে এনসিটিবি একক কর্তৃত্ব পেয়ে যাবে। এতে দেশের প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে জড়িত মুদ্রণ শিল্প, কাগজ শিল্প, বাঁধাই শিল্প, কালি শিল্পসহ পুস্তক বিক্রেতা ও প্রকাশকগণ মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন। প্রকাশনা শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ২৫ লাখ মানুষ বেকারত্বের ঝুঁকিতে পড়বেন। তিনি জানান, শিক্ষামন্ত্রী যদি তাদের ডাকে সাড়া না দেন, তারা আরও কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবেন। সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিন বলেন, এ আইন বাস্তবায়িত হলে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাবে, যার প্রভাব পড়বে অমর একুশে গ্রন্থমেলার ওপর। সহায়ক বই না থাকলে শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে। দেশে এখন ২৮ হাজার বইয়ের দোকান আছে। সেগুলোও বন্ধ হয়ে যাবে। মানববন্ধনে অংশ নিয়ে একমত পোষণ করে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতি, বাংলাদেশ পেপারস মার্চেন্টস এ্যাসোসিয়েশেন ও বাংলাদেশ পুস্তক বাঁধাই ব্যবসায়ী সমিতি। এছাড়াও পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির নেতা মির্জা কাশেম, কামরুল হাসান শায়ক, শরীফুল আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রকাশ নেতারা কোনরূপ শর্ত ছাড়াই সৃজনশীল অনুশীলনমূলক বই প্রকাশের দাবি জানান।
×