অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরে দেশের শেয়ারবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে ৮৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে ১১ প্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে ৮ কোম্পানি ও ৩ মিউচুয়াল ফান্ড মিলে এ অর্থ সংগ্রহ করে। সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৮টি কোম্পানি মিলে ৬৫৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা এবং ৩টি ফান্ড ১৯০ কোটি টাকা সংগ্রহ করে।
চলতি বছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৮টি কোম্পানি হলোÑ ড্রাগন সোয়েটার, ডরিন পাওয়ার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্স, ইভিন্স টেক্সটাইল, একমি ল্যাবরেটরিজ, ইয়াকিন পলিমার, ফরচুন সুজ এবং প্যাসিফিক ডেনিমস। এছাড়া একই সময়ে তালিকাভুক্ত তিনটি মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে রয়েছেÑ ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড ১ এবং এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড।
এ বছর তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে বস্ত্র খাতের কোম্পানি ড্রাগন সোয়েটারের মূলধন রয়েছে ১০০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ৪০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছর ১৭ জানুয়ারি হয়ে চলে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিদ্যুত ও জ্বালানি খাতের কোম্পানি ডরিন পাওয়ারের মূলধন রয়েছে ৮০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৬০ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে চলে ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। কোম্পানিটি শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নিয়েছে ১৯ টাকা, যা মোট শেয়ারে প্রিমিয়ামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।
বীমা খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইন্স্যুরেন্সের মূলধন রয়েছে ৪৪ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যার মধ্যে ২৬ কোটি ৫৫ লাখ উদ্যোক্তাদের আর বাকি ১৭ কোটি ৭০ লাখ টাকা টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলে।
বস্ত্র খাতের কোম্পানি ইভিন্স টেক্সটাইলের মূলধন রয়েছে ১২০ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১০৩ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ১৭ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছরের ২ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত চলে। ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি একমি ল্যাবরেটরিজের মূলধন রয়েছে ২১১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা, যার মধ্যে ১৬১ কোটি ৬০ লাখ ১৭ হাজার টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ৫০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছরের ১১ এপ্রিল থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। একমি ল্যাবরেটরিজ শেয়ারপ্রতি প্রিমিয়াম নিয়েছে ৬৭ টাকা, যা মোট শেয়ারে প্রিমিয়ামের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৫৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
প্রকৌশল খাতের কোম্পানি ইয়াকিন পলিমারের মূলধন ৫৯ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৯ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ২০ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছরের ১০ জুলাই থেকে চলে ২০ জুলাই পর্যন্ত। চামড়া খাতের কোম্পানি ফরচুন সুজের মূলধন ৯৭ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭৫ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ২২ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলতি বছরের ১৬ আগস্ট থেকে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত চলে।
বস্ত্র খাতের প্যাসিফিক ডেনিমসের মূলধন রয়েছে ১১৩ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৩৮ কোটি টাকা উদ্যোক্তাদের আর বাকি ৭৫ কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়েছে আইপিওর মাধ্যমে। এ কোম্পানির সাবক্রিপশন চলে চলতি বছরের ১১ ডিসেম্বর থেকে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এছাড়া চলতি বছর তালিকাভুক্ত মিউচুয়াল ফান্ডগুলোর মধ্যে ভ্যানগার্ড এএমএল রূপালী ব্যাংক ব্যালেন্সড ফান্ড আইপিওর মাধ্যমে তুলেছে ৯৫ কোটি টাকা, সিএপিএম বিডিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড তুলেছে ৭০ কোটি এবং এসইএমএল আইবিবিএল শরিয়াহ ফান্ড বাজার থেকে তুলেছে ২৫ কোটি টাকা।