ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রার্থীরা ব্যস্ত সোনার হরিণের খোঁজে

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

প্রার্থীরা ব্যস্ত সোনার হরিণের খোঁজে

স্টাফ রিপোর্টার, বগুড়া অফিস ॥ জেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজনটি অনাড়ম্বর। তবে নীরবে-নিভৃতে আড়ম্বরপূর্ণভাবেই চলছে প্রচার কার্যক্রম। যারা প্রার্থীদের নির্বাচন করবেন তারা নির্বাচক। প্রকারান্তরে ভোটার। তারাই এখন সোনার হরিণ। এই সোনার হরিণ ধরতে ব্যস্ত প্রার্থীরা। প্রচারে কোন হৈহৈ রেরৈ নেই। গ্রামে কিষান বাড়ির উঠান সরগরম নয়। এর মধ্যেই সাধারণের আগ্রহ একটু করে যোগ হচ্ছে। পৌষের শীতের পরশ আগ্রহের এই পাল্লাকে উষ্ণ করছে। এভাবেই আগ্রহের ধাক্কা গিয়ে ঠেকবে ২৮ ডিসেম্বর। হাতে সময় খুব কম। যতটা না ব্যস্ত নির্বাচকম-লি তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত যারা প্রার্থী হয়েছে। সরকারী ১৭ দফতরের উন্নয়ন কার্যক্রম ন্যস্ত জেলা পরিষদের ওপর। পরিষদের চেয়ারে বসার আগ্রহ প্রার্থীদের। পদ সাকুল্যে ২১ টি। তার মধ্যে চেয়ারম্যান পদ একটি। ১৫টি পদ সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য। পাঁচটি পদ সংরক্ষিত নারী আসনের। নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন মাঠ পর্যায়ের সকল জনপ্রতিনিধি। সেই হিসাবে বগুড়া জেলার এক শ’ আট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও নারী মেম্বরসহ নির্বাচক এক হাজার তিন শ’ ৭১ জন। ১২ টি পৌরসভার মেয়র কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্যসহ নির্বাচক এক শ’ ৭২ জন। ১২ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানসহ নির্বাচক ৩৬ জন। মোট এক হাজার পাঁচ শ’ ৬৯ জনপ্রতিনিধি এই নির্বাচনের নির্বাচক বা ভোটার। তাদের ভোটে নির্বার্চিত হবেন জেলা পরিষদের এক চেয়ারম্যান ও ১৫ সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য ও সংরক্ষিত পাঁচ নারী আসনের পাঁচ ওয়ার্ড সদস্য। বগুড়ায় জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন দুই জন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডাঃ মকবুল হোসেন। তিনি জেলা পরিষদেরই প্রশাসক ছিলেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের অন্যতম সদস্য সোলায়মান আলী মাস্টার। তিনি কেন্দ্রীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদের ১৫ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৫১ জন। সংরক্ষিত নারী আসনের পাঁচটি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৪ জন। জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচকম-লী (ভোটার) এখন সোনার হরিণ। যিনি বেশি ধরতে পারবেন তিনি প্রবেশ করবেন জেলা পরিষদে। জেলা পরিষদ নির্বাচনে বিএনপি কোন প্রার্থী না দেয়ায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থী আওয়ামী লীগের। তবে সাধারণ ওয়ার্ড সদস্য পদে যারা প্রার্থী হয়েছেন তাদের মধ্যে সব দলের প্রার্থী আছেন। যারা নির্বাচকম-লী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তাদের অন্তত ৬০ শতাংশ বিএনপি-জামায়াতের। এক শ’ আট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে ৭২ আওয়ামী লীগের। বাকি ৩৬ জনের মধ্যে ৩১ বিএনপির। বাকিরা স্বতন্ত্র। ১২ পৌরসভার মধ্যে ৫টির মেয়র আওয়ামী লীগের, ৬টির মেয়র বিএনপির এবং একজন স্বতন্ত্র। ১২ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের মধ্যে সাত বিএনপির ও পাঁচ জামায়াতের। নীলফামারী স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারের শেষ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছে। সোমবার রাত ১২টার পর হতে প্রচারের সময় শেষ হয়ে যাবে। আর এ জন্য দেখা যায়, ৬১ ইউনিয়ন ও ৪ পৌরসভা চত্বর ছিল প্রার্থীদের আনাগোনা। এই নির্বাচন ঘিরে যেহেতু ভোটার শুধুমাত্র জনপ্রতিনিধি সেহেতু ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা ছিল মুখরিত। জেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দুই জন হলো আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ মমতাজুল হক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন।
×