ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা না নেয়ার অভিযোগ

সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

সংবাদ সম্মেলন

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এক মহিলাকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই নারী থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। বাধ্য হয়েই আদালতে মামলা দায়ের করেছেন তিনি। তবে পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার না করে মীমাংসার চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ তার। রবিবার দুপুরে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন মারধর ও শ্লীলতাহানির শিকার সদর উপজেলার ৪নং উপশহর এলাকার রফিকুল ইসলামের স্ত্রী ফরিদা ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তার চার শতাংশ জমি নিয়ে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে বিরোধ চলছে। এ ঘটনায় অবৈধভাবে জমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টার অভিযোগে ২০১৩ সালের ৩ নবেম্বর কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এই মামলার জের ধরে দীর্ঘদিন ধরে আসামিরা তাকে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছিল। গত ৯ নবেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এলাকার আব্দুল মতিনের ছেলে জাকির হোসেন, আব্দুল আজিজের ছেলে মতিয়ার রহমান, মতিয়াার রহমানের ছেলে মুরসালিন ও পারভেজ, আব্দুল মালেকের ছেলে জনি ও জুয়েল, হামিদুর রহমানের ছেলে লিয়ন, মফিজ উদ্দিনের ছেলে হামিদুর রহমান, মফিজ উদ্দিন্রে ছেলে হাফিজুর রহমান, জাকির হোসেনের স্ত্রী অনুমিক ও মতিয়ার রহমানের স্ত্রী মাহফুজা বেগম তাকে বাড়ির সামনে একাকী পেয়ে মারধর শুরু করে। মারধরে ফরিদা ইসলামের বাম হাতে রড দিয়ে আঘাত করায় হাত ভেঙ্গে যায়। এ সময় আসামিরা তার মাথায় আঘাত করে ও টেনেহিঁচড়ে কাপড়-চোপড় খুলে বিবস্ত্র করে। মারধরের সময় আসামিরা ফরিদা ইসলামের গলার ৮ আনা ওজনের স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়, যার আনুমানিক মূল্য ২০ হাজার টাকা। এ সময় এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে রুবেল ও জিমাল সরকারের স্ত্রী হাজেরা বেওয়া এগিয়ে এলে আসামিরা তাদেরও মারধর করে এবং রুবেলের পকেট থেকে ১০ হাজার টাকা এবং সাড়ে ৮ হাজার টাকা মূল্যের ওয়ালটন মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এ ঘটনায় বাদি ফরিদা ইসলামকে দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি ১৭ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে তিনি বিষয়টি নিয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
×