ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

উৎসাহ-উদ্দীপনায় বড়দিন উদযাপন

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও দৃঢ় করুন ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও দৃঢ় করুন ॥ রাষ্ট্রপতি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত হয়েছে খ্রীস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব ‘বড়দিন’। এ উপলক্ষে দেশের প্রতিটি গীর্জা সাজানো হয় বর্ণিল আলোয়। বড়দিন উপলক্ষে প্রতিটি গীর্জায় অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। সমবেত খ্রিস্টভক্তরা দেশ-জাতি ও বিশ্ব মানবতার মঙ্গল কামনায় প্রার্থনা করেন। প্রার্থনার ফাঁকে ফাঁকে চলে ধর্মীয় সঙ্গীত। একই সঙ্গে চলে পরস্পরের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়। বড়দিন উপলক্ষে রবিবার বঙ্গভবনে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। শুভেচ্ছা বিনিময়কালে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে প্যাট্রিক ডি রোজারিওর কার্ডিনাল হওয়ার ঘটনাটি দেশে বড়দিন উদযাপনে যোগ করে অন্য মাত্রা। জানা গেছে, রাত ১২টা ১ মিনিটে যীশুখ্রিস্টের আবির্ভাবের সঙ্গে সঙ্গে যীশুকে প্রণাম জানান প্রতিটি চার্জের প্রধান ধর্মযাজক। চার্চে আগত সকল ভক্তও এ সময় যীশু খিস্ট্রকে প্রণাম জানান। ৃতারা প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ এবং সঙ্গীতের মাধ্যমে যীশু খ্রিস্টের জন্মদিনকে স্মরণীয় করে রাখেন। বড়দিন উপলক্ষে প্রতিটি গীর্জার মতোই কাকরাইল সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালেও বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানে সকালে বাংলা ও ইংরেজী উভয় ভাষায় প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে সুখী সমৃদ্ধ জাতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। দিনটিতে দেশের প্রতিটি গীর্জায় ছিল উৎসবের আমেজ। রাজধানীর আসাদগেট সেন্ট খ্রিস্টিনা গীর্জা, সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রাল গীর্জা, লক্ষ্মীবাজার পবিত্র ক্রুশের গীর্জা, তেজগাঁও জমপালা রানির গীর্জাসহ সর্বত্রই উপচে পড়া ভিড়। গীর্জার সামনে বসে বিভিন্ন উপহার সামগ্রীর দোকান। এসব দোকানে শিশু-কিশোরদের উপচে পড়া ভিড়। একই সঙ্গে উৎসবের রঙে সাজে বাসা বাড়ি আর রেস্টুরেন্ট। দেশের পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে ছিল বড়দিনের বিশেষ পার্টি। বরাবরের মতো এবারও হোটেল সোনারগাঁও’-এ ছিল বিশেষ আয়োজন। রবিবার সকাল ১০টায় এখানে শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ উদযাপনের বিশেষ আকর্ষণ ছিল ম্যাজিক শো, পুতুলনাচ, টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা, সান্তা ক্লজের সঙ্গে ডিজে ড্যান্সসহ শিশুদের জন্য নানা রাইড। দিনটি উপলক্ষে সোনারগাঁও হোটেলের প্রবেশ পথে বসানো হয় আলোকসজ্জিত ক্রিসমান ট্রি। লবি সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি, ঘুড়ি আর রকমারি বাতি দিয়ে। ক্যাফে বাজারে ছিল নানারকম খাবার। ভেতরের বিভিন্ন স্থানে চলে বড়দিনের নানা কর্মকা-। তবে শিশুদের আকর্ষণের মূল কেন্দ্রে সান্তা ক্লজ। প্রতিটি শিশুই সান্তা ক্লজের সঙ্গে ছবি তুলছে। আর তাদের হাতে চকলেট বা বিভিন্ন উপহার তুলে দিচ্ছে সান্তা ক্লজ। সে উপহার পেয়ে শিশুদের মুখে সে কি হাসি! সম্প্রীতির ঐতিহ্য আরও দৃঢ় করুনÑরাষ্ট্রপতি ॥ দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আরও দৃঢ় করতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। বড়দিন উপলক্ষে রবিবার বঙ্গবভবনে খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান। রাষ্ট্রপতি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ বাংলাদেশ। এ সম্প্রীতি আমাদের আবহমানকলের ঐতিহ্য। এখানে সব ধর্মের মানুষ পারস্পরিক ভালবাসা ও সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির এই সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। বড়দিন উপলক্ষে খ্রীস্টান সম্প্রদায়সহ সবাইকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি। তার স্ত্রী রাশিদা খানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক মহামতি যীশু খ্রিস্টের আবির্ভাব ছিল এক অবিস্মরণীয় ঘটনা। তিনি ছিলেন মুক্তির দূত, আলোর দিশারী। পৃথিবীকে শান্তির আবাসভূমিতে পরিণত করতে বহু ত্যাগ-তিতিক্ষার মধ্য দিয়ে খ্রিস্ট ধর্মের সুমহান বাণী প্রচার করে গেছেন তিনি। জাগতিক সুখের পরিবর্তে তিনি ত্যাগ, সংযম ও দানের মাধ্যমে পরমার্থিক সুখ অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তার মর্মবাণী জাতিতে জাতিতে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ সমস্যসংকুল বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় খুবই প্রাসঙ্গিক বলে আমি মনে করি। বাংলাদেশ থেকে প্যাট্রিক ডি রোজারিওর প্রথমবারের মতো কার্ডিনাল হওয়ার প্রসঙ্গ ধরে আবদুল হামিদ বলেন, এ বছর বাংলাদেশের বড়দিন উদযাপন অন্যান্য বছরের তুলনায় আরও বেশি আনন্দময় ও উৎসবমুখর। মহামান্য পোপ ফ্রান্সিস প্রথমবারের মতো একজন বাংলাদেশীকে কার্ডিনাল নিয়োগ দিয়েছেন। এ অর্জন বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে আর সমুজ্জ্বল করবে। অনুষ্ঠানে কার্ডিনাল প্যাট্রিক ডি রোজারিও, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত ও খ্রীস্টান সম্প্রদায়ের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী। ধর্মমন্ত্রী মতিউর রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে একটি সঙ্গীত দল ক্রিসমাস ক্যারল পরিবেশন করে। বড়দিন উপলক্ষে বঙ্গভবনের দরবার হলে কেক কাটেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী ॥ বড়দিন উপলক্ষে দেশের খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানান রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি সুখী-সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠনে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি দেশে বিদ্যমান সম্প্রীতির সুমহান ঐতিহ্যকে আরও সুদৃঢ় করতে সবাইকে নিজ-নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখারও আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বাংলাদেশকে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বলেন, আমাদের সংবিধানে সব ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকার সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে রয়েছে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষের নিজস্ব ধর্ম পালনের পূর্ণ স্বাধীনতা। বড়দিনকে পুণ্যদিন হিসেবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী খ্রীস্টান সম্প্রদায়সহ বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে মানবতার মহান ব্রতে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশের উন্নয়নে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। কাকরাইল সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালে বিশেষ প্রার্থনা ॥ বড়দিন উপলক্ষে প্রতিটি গীর্জার মতোই কাকরাইল সেন্ট মেরিস ক্যাথিড্রালে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৭টায় বাংলায় এবং সকাল ৯টায় এখানে ইংরেজীতে প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রার্থনায় দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করে সুখী সমৃদ্ধ জাতির প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। এখানে বড়দিনের উৎসব পরিদর্শনে এসে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রতিটি গীর্জায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রয়েছে। রাজধানী জুড়ে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে পুলিশের নিরাপত্তায়। এখানে নটরডেম কলেজের উপাচার্য ফাদার বেঞ্জামিন ডি কস্তা বলেন, যীশু দেখিয়েছেন, মানুষকে কীভাবে ভালবাসতে হয়। তিনি জীবন দিয়ে ভালবাসার প্রমাণ দিয়ে গেছেন। জীবনে তিনি কাউকে আক্রমণ করেননি। যুদ্ধ করেননি, ঘৃণা করেননি। সবক্ষেত্রেই তিনি শিখিয়েছেন মানুষকে ভালবাসতে হবে। তার আহ্বান তোমরা শিশুর মতো হও। তাহলেই তিনি তোমাদের মাঝে এসে পৌঁছবেন। ফাদার কস্তা গণমাধ্যমকে বলেন, মানবতা হলো সবচেয়ে বড় ধর্ম। তিনি ঈশ্বর হয়েও দাসের রূপ নিয়েছেন। মানুষকে আপন করে নিলেন। ভালবাসলেন। তার একমাত্র কথাই হল ভালবাসা। এভাবেই ভালবাসতে হয়। বর্ণিল সাজে হোটেল সোনারগাঁও ॥ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে খ্রীস্টান ধর্ম্বাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’। বরাবরের মতো এবারও রাজধানীতে অবস্থিত পাঁচতারকা হোটেল ‘হোটেল সোনারগাঁও’- এ আয়োজন করা হয় বড়দিনের বিশেষ অনুষ্ঠান। রবিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া দিনব্যাপী এ উদপানে বিশেষ আকর্ষণ ছিল ম্যাজিক শো, পুতুলনাচ, টিয়া পাখি দিয়ে ভাগ্য গণনা, সান্তা ক্লজের সঙ্গে ডিজে ড্যান্সসহ শিশুদের জন্য নানা রাইড। হোটেলের প্রবেশ পথে বসানো হয় আলোকসজ্জিত ক্রিসমান ট্রি। লবি সাজানো হয় ক্রিসমাস ট্রি, ঘুড়ি আর রকমারি বাতি দিয়ে। ক্যাফে বাজারে ছিল নানারকম খাবার। ভেতরের বিভিন্ন স্থানে চলে বড়দিনের নানা কর্মকা-। হোটেলের পেছনের বাগানে গিয়ে দেখা যায়, সান্তা ক্লজ ঘুরে ঘুরে শিশুদের সঙ্গে হ্যান্ডশেক করছেন এবং তাদের হাতে গুঁজে দিচ্ছেন উপহার। শিশুদের পাশাপাশি হালের জনপ্রিয় সেলফি তুলছেন বড়রা। রাজধানী জুড়ে ছিল কড়া নিরাপত্তা ॥ এদিকে বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীর ৬২টি গীর্জায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। বাড়ানো হয় অতিরিক্ত পুলিশ। রাজধানীর কাকরাইল গীর্জা পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রতিটি গীর্জায় আসা যাওয়ার পথে থাকবে পুলিশের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। গেটে থাকবে আর্চওয়ে, সবাইকে তল্লাশির মধ্যদিয়ে ভেতরে প্রবেশ করতে দেয়া হবে। রাজধানী জুড়ে থাকবে পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। চট্টগ্রামে জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বড়দিন উদযাপন ॥ চট্টগ্রাম থেকে আমাদের স্টাফ রিপোর্টার জানান, চট্টগ্রামে যথাযোগ্য আনুষ্ঠানিকতায় জাঁকজমকপূর্ণ পরিবেশে বড় দিন উদযাপন করেছেন খ্রিস্টধর্মাবলম্বীরা। এ উপলক্ষে নগরীর চার্চগুলোকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। গত শনিবার রাত থেকে শুরু হওয়া উৎসব চলে রবিবার মধ্যরাত অবধি। নারী-পুরুষ ও শিশু-কিশোর নির্বিশেষে সকল বয়সী মানুষ আনন্দে মেতে উঠে। চট্টগ্রাম নগরীর পাথরঘাটা জপমালা রাণী গীর্জায় শনিবার রাত ৯টা ১ মিনিটে মূল প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় বড় দিনের উৎসব। এতে পৌরহিত্য করেন পাথরঘাটা খ্রীস্টান ধর্মপল্লীর প্রধান ফাদার টেরেন্স রড্রিক্স। রাত ১২টা ১ মিনিটে একই গীর্জায় আয়োজিত হয় আরও একটি প্রার্থনার। এতে পৌরহিত্য করেন চট্টগ্রাম ডায়োসিসের বিশপ মজেস কস্তা। রবিবারও ছিল বিশেষ প্রার্থনাসহ নানা আয়োজন। চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার ১৪টি গীর্জায় ছিল বড়দিনের বিশেষ আয়োজন। বর্ণিল সাজে সাজানো হয় চার্চগুলো। শিশু-কিশোর ও নারীরা নতুন পোশাক পরিচ্ছদ পরে এতে যোগ দেয়। বছরের সবচেয়ে বড় এই উৎসবের দিনটি পালিত হয় জমকালো আনুষ্ঠানিকতায়। চট্টগ্রাম নগরীর তারকামানের হোটেলগুলোও সজ্জিত হয় বিশেষ সাজে। রেডিসন ব্লু, হোটেল পেনিনসুলা, হোটেল আগ্রাবাদ এবং ওয়েল পার্ক রেসিডেন্সিয়াল হোটেলের লবি সুশোভিত হয় বড় দিন উপলক্ষে। এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে নগরীর চার্চগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা ছিল পুলিশ প্রশাসনের। চার্চগুলোকে ঘিরে বসানো হয় সিসিটিভি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকে বিশেষ বিশেষ স্পটে।
×