ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ কয়েক দফায় টানা সরকারী বন্ধ এবং পরিবহন ধর্মঘটের পরও সর্বাধিক জাহাজ আসার পাশাপাশি কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষেত্রে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এ অবস্থায় প্রবৃদ্ধির হার ধরে রাখার জন্য বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে জেটি ও ইয়ার্ড বাড়ানোর তাগিদ দিচ্ছেন বন্দর ব্যবহারকারী এবং ব্যবসায়ীরা। দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয় চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই। এমনকি জাতীয় রাজস্ব আয়ের অন্যতম বড় খাত হলো চট্টগ্রাম বন্দর। প্রতি বছর এ বন্দরের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। গত বছর এ বন্দরে পণ্যবাহী জাহাজ এসেছিল ১১শ’ ৯৩টি আর কন্টেনার ওঠানামা করেছে ২০ লাখ ২৪ হাজার। তার আগের বছর জাহাজ এসেছিল ১ হাজার ৪৭টি এবং কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছিল ১৭ লাখ ৩১ হাজার কন্টেনার। কিন্তু চলতি বছর সরকারী বন্ধ যেমন তুলনামূলক বেশি ছিল, তেমনি ছিল পরিবহন চালক-মালিকদের অস্থিরতা। যে কারণে প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। বলা হয়ে থাকে, কোন দেশের বন্দরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলে সে দেশের অর্থনীতি। তার উৎকৃষ্টতম উদাহরণ হলো দেশের সর্ববৃহৎ এ সমুদ্রবন্দর। জাহাজ আসার পাশাপাশি কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের রেকর্ড গড়েছে এ বন্দর। সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রবৃদ্ধির হারও। চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, ‘এ বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ে প্রবৃদ্ধি ১৫ থেকে ১৭ শতাংশ এবং কার্গোতে এ হার প্রায় ২০ শতাংশ। বাংলাদেশের অর্থনীতি যে সামনের দিকে যাচ্ছে তার একটি পরিমাপক এটি।’ শিপিং এজেন্টরা বলছেন, জেটির পরিমাণ বেশি হলে জাহাজের গড় অবস্থান সময় যেমন কমত, জাহাজ আসার সংখ্যাও বাড়ত। নবেম্বর মাসে জাহাজ আসার পরিমাণ বাড়ায় বেড়েছে কন্টেনার ওঠানামার পরিমাণও। কিন্তু বন্দরে কন্টেনার রাখার পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ব্যবসায়ীদের বেকায়দায় পড়তে হয়েছে বলে দাবি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলমের। তিনি বলেন, ‘বে টার্মিনালের কোন বিকল্প নেই। এটি সেখানে করা হয়ে থাকে যেখানে পঞ্চাশ হাজার টনের জাহাজ একই সময়ে দাঁড়াতে পারবে। ওখান থেকে রেল এবং সড়কের সুবিধা আছে। যত দ্রুত সম্ভব, ২০২১ সালের আগেই এটা করতে হবে।’
×