ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আশকোনা জঙ্গি নারীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

প্রকাশিত: ০১:২৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আশকোনা জঙ্গি নারীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর দক্ষিনখানে আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় নিহত নারীর লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। রবিবার দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার লাশের সম্পন্ন হয়েছে। ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সোহেল মাহমুদ জানান, লাশের পেট ও পেটের নিচের অংশ বোমার আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। বোমা বিস্ফোরণের কারণেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। বেলা ১১টার দিকে ওই নারী জঙ্গি লাশের ময়না তদন্ত শুরু হয়। ময়না তদন্ত শেষে দুপুরে সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, ওই নারীর মরদেহ থেকে ১০টি স্প্রিন্টার ও বিস্ফোরিত বোমার অক্ষত অংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বোমার আঘাতেই যে তার মৃত্যু হয়েছে। তা আমরা নিশ্চিত হয়েছি। তিনি জানান, ওই নারীর পরিচয় নিশ্চিত করতে আমরা ডিএনএ টেস্ট করবো। লাশের ভিসেরা রিপোর্ট তৈরীর জন্য নমুনা মাহাখালীর রাসায়নিক পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। বোমার ধরন সম্পর্কে জানতে চাইলে সোহেল মাহমুদ জানান, আমাদের ধারণা এগুলো হাতে বানানো বোমা ছিল। এর আগে শনিবার সন্ধ্যার দিকে দক্ষিণখান থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) নান্নু খান ওই জঙ্গি নারীর লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করেন। পরিচয় ‘অজ্ঞাত’। বয়স ৩৫ বছর উল্লেখ্য করেন তিনি। এরপরই তার লাশ আশকোনা থেকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনার দিন শনিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা জানান, নিহত নারী জঙ্গি সুমনের স্ত্রী। তার নাম শাকিরা। অভিযানে অংশ নেয়া পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আত্মসমর্পনের আহ্বান জানানোর এক পর্যায়ে হঠাৎ সুমনের স্ত্রী শাকিরা শিশু সন্তানসহ বেরিয়ে আসার কথা জানায়। এ সময় তার গায়ে সুইসাইডাল ভেস্ট বাঁধা ছিল। ভেস্টের মধ্যে তাজা গ্রেনেডও রক্ষিত ছিল। পুলিশ তাকে ওই ভেস্ট খুলে আসার জন্য বলে। কিন্তু শাকিরা ভেতরে গিয়ে আবার বেরিয়ে আসে। এক পর্যায়ে সুইসাইডাল ভেস্টের সুইচ টিপ দিয়ে সে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সঙ্গে থাকা শিশুটিও গুরুতর আহত হয়। পরে পুলিশ দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
×