ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিদেশে প্রতারিত বাগেরহাটের হেলাল দেশে সফল

প্রকাশিত: ২২:১৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

বিদেশে প্রতারিত বাগেরহাটের হেলাল দেশে সফল

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট ॥ শিক্ষিত বেকার যুবক হেলাল উজ্জামান ফকির। চাকুরী খোঁজার ব্যর্থ চেষ্টার পর পাড়ি জমায় বিদেশে। সেখানেও প্রতারিত হয়ে শুন্য হাতে ফিরে আসেন দেশে। দেশে ফিরে হতাশা ঝেড়ে ফেলে দেশের মাটিতে সোনা ফলাবার উদ্যোগ নেন। শুরু করেন বিভিন্ন মাছ ও সবজি চাষ প্রকল্পের দিকে। রাসায়নিক সার মুক্ত সবজি ও গ্রোথ হরমোন ছাড়াই মাছ চাষ করে এখন হেলাল উজ্জামান ফকির সফলতায় বিপ্লব ঘটিয়েছে। জানাগেছে, বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হেলাল উজ্জামান ফকির। তিনি মো. মজিবর রহমান ফকিরের ছেলে। হেলাল উজ্জামান তার স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দিতে বারইখালী ইউনিয়নের চৌধুরি কাছারিবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালে ২ একর এবং ২০১৫ সালে সাড়ে ৪ একর জমি লিজ নেয়। সেখানে বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও মাছ চাষের জন্য পুকুর ও সবজি চাষের জন্য জমি তৈরীর কাজ শুরু করেন ‘ঝিদনি মৎস্য চাষ প্রকল্প-১ ও ২ নামে দু’টি প্রকল্প। পার্শ্ববর্তী পুকুরে চাষ করা হয়েছে দেশি শিং মাছ ২ লক্ষ, ১ লক্ষ ২০ হাজার মনোসেক্স তেলাপিয়া সহ মিশ্র কার্প জাতীয় মাছ্ । সফল চাষী হেলাল উজ্জামান বলেন, ইতোমধ্যে এবছর ৫ মেট্রিক টন তেলাপিয়া, ২ মেট্রিক টন রুই, ৫শ’ কেজি পাঙ্গাস মাছ ৮ লক্ষ টাকা ও ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার সবজি বিক্রি করা হয়েছে। এখনো ২টি প্রকল্পে বিক্রির অপেক্ষায় ১৫ মেট্রিক টন মাছ মজুদ আছে। ফাল্গুন মাসে এসব মাছ বিক্রি হবে। উপজেলা কৃষি অফিস হেলাল উজ্জামানের এই প্রকল্পে ১০ ওয়ার্ডের সোলার সিষ্টেমের পোকা দমনের আলোর ফাঁদ প্রদান করেন। ৪ জন কর্মচারী মাসিক ৫ হাজার টাকা করে বেতনে তার প্রকল্পে সার্বক্ষনিক তদারকি করেন। এ প্রকল্পের সার্বিক সহযোগিতায় ইয়ন এগ্রো গ্রুপের মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মো. খায়রুল ইসলাম ও সিনিয়র মার্কেটিং অফিসার নেপাল হালদার প্রতি মাসে ২বার তার প্রকল্পের মাছের ও সবজির রোগ বালাইয়ের নাসিং ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে জমি চাষের জন্য তাকে বিনামূল্যে ইরি বীজও ধান প্রদান করেছে। বর্তমানে পতিত জমিতে ইরি চাষের কার্যক্রম চলছে।
×