ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শ্রমিকরা কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে কারখানা খুলে দেয়া হবে

প্রকাশিত: ০৬:১৬, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

শ্রমিকরা কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে কারখানা খুলে দেয়া হবে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ শ্রমিকরা সুষ্ঠুভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিলে আশুলিয়ার কারখানা খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান। শনিবার রাজধানীর বিজিএমইএ ভবনে ‘চেঞ্জিং জেন্ডার নর্মস অব গার্মেন্টস এমপ্লয়েস’ শীর্ষক ২ বছর মেয়াদী প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। সিদ্দিকুর রহমান বলেন, পোশাক শিল্পকে ধ্বংসের জন্য কিছু লোক সব সময় ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। বর্তমানে আশুলিয়ার আন্দোলনও সেই ষড়যন্ত্রের একটা অংশ। তিনি বলেন, শ্রমিক আমাদের, সুতরাং তাদের সুখ-দুঃখের দিকে খেয়াল রাখাও আমাদের কর্তব্য। তাদের প্রতি অন্য কেউ আমাদের থেকে বেশি দায়িত্বশীল হওয়ার কথা না। তবু অনেকেই নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য লোক দেখানো মায়া কান্না করে। জিডিপি অর্জনে শ্রমিকের অবদানের কথা উল্লেখ করে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, পোশাক খাত থেকে যে জিডিপি অর্জিত হয় তার পেছনে সব থেকে বেশি অবদান এ খাতের ৪০ লাখ শ্রমিকের। যারা এসব শ্রমিককে বিভ্রান্তিমূলক কাজে লেলিয়ে দিচ্ছেন তারা কত বড় ভুল করছেন সে ব্যাপারে তাদের কোন ধারণা নেই। শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা অন্যের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে কাজে ফিরে আসুন। আপনাদের জন্য কারখানা খুলে দেয়া হবে। তাতে দেশ, আপনার এবং আমরা অর্থাৎ সবারই উপকার হবে। ‘চেঞ্জিং জেন্ডার নর্মস অব গার্মেন্টস এমপ্লয়েস’ প্রকল্পের বিষয়ে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ইউনাইটেড ন্যাশনস পপুলেশন ফান্ডের (ইউএনএফপিএ) সহায়তায় ২০১৪ সালের অক্টোবরে প্রকল্পটি শুরু হয়। আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরে ২৪টি, নারায়ণগঞ্জে ৮টি এবং চট্টগ্রামে ৮টিসহ মোট ৪০টি পোশাক শিল্প কারখানায় এ প্রকল্পের কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে নারীর প্রতি আচরণ পরিবর্তন ও সব শ্রমিকের সমন্বয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির জন্য সবাইকে সচেতন করা হয়। বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, প্রকল্পটি আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে। মূলত প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার মাধ্যমে একটি শুভ সূচনা হবে। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক মহসিন উদ্দিন আহমেদ, উপপরিচালক জগলুল হায়দার, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি রুমানা পারভিন প্রমুখ।
×