ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চলতি বছরে রাইট শেয়ার ছেড়ে ৩৬৫ কোটি টাকা উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

চলতি বছরে রাইট শেয়ার ছেড়ে ৩৬৫ কোটি টাকা উত্তোলন

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি বছরে দেশের পুঁজিবাজার থেকে রাইট শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলন করেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত তিন কোম্পানি। কোম্পানিগুলো হলো : সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট, জিপিএইচ ইস্পাত এবং বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম। আলোচিত সময়ে এসব কোম্পানি ৩৬৫ কোটি ৮১ লাখ ৭৭ হাজার টাকা বাজার থেকে উত্তোলন করেছে। এসব কোম্পানির মধ্যে সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট প্রতি ১০ টাকার শেয়ারের সাথে আরও ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫ টাকা ইস্যু মূল্যে মোট ৫১ কোটি ৫২ লাখ ৮৭ হাজার টাকা, জিপিএইচ ইস্পাত ১০ টাকার শেয়ারের সাথে আরও ৪ টাকা প্রিমিয়ামসহ মোট ১৪ টাকা ইস্যু মূল্যে ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা এবং বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম ১০ টাকার শেয়ার ছেড়ে ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সামিট পোর্ট ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সেবা ও আবাসন খাতের কোম্পানি সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেড ৫টি শেয়ারের বিপরীতে ১টি রাইট শেয়ার প্রদান করে। কোম্পানি ১০ টাকা ফেসভ্যালুর সঙ্গে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৫ টাকা অনুযায়ী ৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫২ হাজার ৪৬৬টি শেয়ারের বিপরীতে রাইট শেয়ার ছেড়ে পুঁজিবাজার থেকে ৫১ কোটি ৫২ লাখ ৮৬ হাজার ৯৯০ টাকা সংগ্রহ করে। পুঁজিবাজার থেকে রাইটের মাধ্যমে উত্তোলিত টাকা জমি ক্রয় ও মেয়াদী ঋণ পরিশোধ করবে কোম্পানি। এই রাইট ইস্যুর জন্য ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। এ কোম্পানির রাইটের জন্য আবেদন চলে চলতি বছর ৩০ মার্চ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত। এর জন্য রেকর্ড ডেট ছিল ১৫ ফেব্রুয়ারি, আর রাইট শেয়ার প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে কোম্পানি শেয়ার পাঠায় ১৫ মে। ৩০ জুন ২০১৫ সমাপ্ত হিসাব বছরে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি প্রকৃত সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ২৮ টাকা। ১ জানুয়ারি ২০১০-৩০ জুন ২০১৫ সময় কালে কোম্পানির ওয়েটেড এভারেজ শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৪৪ পয়সা। জিপিএইচ ইস্পাত ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের কোম্পানি জিপিএইচ ইস্পাত ৪ টাকা প্রিমিয়ামসহ ১৪ টাকা ইস্যু মূল্যে রাইট শেয়ার ছাড়ে। এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি কোম্পানিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ৫৬৬তম সভায় ৩আর :২ অনুপাতে রাইট শেয়ারের অনুমোদন দেয়। সেই হিসেবে কোম্পানি ৩আর : ২ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছাড়ে। যা বিদ্যমান ২টি শেয়ারের বিপরীতে ৩টি শেয়ার পায়। কোম্পানি এর মাধ্যমে ১৮ কোটি ৭১ লাখ ১০ হাজার শেয়ার ছেড়ে ২৬১ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার টাকা পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলন করে। রাইট শেয়ারের ডকুমেন্ট অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১৫.৯৯ টাকা। এছাড়া ১ মে ২০১৪ থেকে ৩১ জানুয়ারি ২০১৫ পর্যন্ত (৩ প্রান্তিকে) শেয়ার প্রতি আয় দেখিয়েছে ১.৯৪ টাকা। এ রাইটের ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে ব্যাংকো ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট এবং লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট। এ কোম্পানির রাইটের জন্য আবেদন চলে চলতি বছর ১৭ এপ্রিল থেকে ১২ মে পর্যন্ত। এর জন্য রেকর্ড ডেট ছিল ৮ মার্চ, আর রাইট শেয়ারপ্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে কোম্পানি শেয়ার পাঠায় ২ জুন। রাইট শেয়ারের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ কোম্পানির উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ব্যবহার করার কথা রয়েছে। রাইটের আগে কোম্পানিটি বছরে ১ লাখ ৬৮ হাজার মেট্রিক টন বার ও ১ লাখ ২০ হাজার টন রড উৎপাদন করে। সম্প্রসারণের পর বার উৎপাদনের ক্ষমতা বেড়ে হবে ৮ লাখ ৪০ হাজার টন এবং রড উৎপাদন ক্ষমতা বেড়ে ৬ লাখ ৪০ হাজার টন হওয়ার কথা রয়েছে। বিডি থাই ॥ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রকৌশল খাতের আরেক কোম্পানি বাংলাদেশ থাই এ্যালুমিনিয়াম লিমিটেড ১আর : ১ অনুপাতে রাইট শেয়ার ছাড়ে। যার মাধ্যমে কোম্পানি ৫২ কোটি টাকা উত্তোলন করে। উল্লেখিত অনুপাতে প্রতিটি সাধারণ শেয়ারের বিপরীতে কোম্পানি ১টি রাইট শেয়ার দেয়া হয় বিনিয়োগকারীদের। ১০ টাকা অবহিত মূল্যে কোম্পানি মোট ৫ কোটি ২৩ লাখ ৩৫ হাজার ২৮টি শেয়ার বিক্রি করে মোট ৫২ কোটি ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ২৮০ টাকা উত্তোলন করে। কোম্পানির রাইট প্রক্রিয়ায় ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করে সিটিজেন সিকিউরিটিজ এ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট। এ কোম্পানির রাইটের জন্য আবেদন চলে চলতি বছর ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর এপ্রিল পর্যন্ত। এর জন্য রেকর্ড ডেট ছিল ২১ জুলাই, আর রাইট শেয়ার প্রাপ্ত বিনিয়োগকারীদের বিও হিসাবে কোম্পানি শেয়ার পাঠায় ১৯ অক্টোবর। রাইট শেয়ারের মাধ্যেমে উত্তোলিত অর্থ দিয়ে কোম্পানি উৎপাদন ক্ষমতা বাড়াবে ও আংশিক ঋণ পরিশোধ করার কথা রয়েছে। সর্বশেষ নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন (৩০ জুন ২০১৫) অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ারপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ৪৭.৯৪ টাকা ও শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয় ১.০৩ টাকা।
×