১২ ডিসেম্বর ১০০ বলিভার মানের নোট বাতিলের ঘোষণা দেন ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। ঘোষণা অনুযায়ী তিন দিনের মধ্যে ১০০ বলিভার নোট পাল্টে সমমানের ধাতব মুদ্রা বা ছোট নোট সংগ্রহ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল জনগণকে। সীমান্তে চোরাকারবারি ও খাদ্য সঙ্কটকে সামাল দিতে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
ভেনিজুয়েলার মোট অর্থ সরবরাহের অর্ধেকই হচ্ছে ১০০ বলিভার নোটে। কয়েক বছর ধরেই দাম হারাচ্ছিল ১০০ বলিভার নোট। বর্তমানে এই নোট মাত্র দুই মার্কিন সেন্টে বিনিময় হচ্ছে। অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সঙ্কটে থাকা ভেনিজুয়েলার অন্যতম প্রধান সমস্যা ব্যাপক মূল্যস্ফীতি।
২০১৫ সালে মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে দেশটির সরকার। যাতে, মূল্যস্ফীতির হার ১৮০ শতাংশ। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল মনে করছে, ২০১৭ সালে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২০০০ শতাংশ হবে। মূলত, দুই বছর ধরে বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সঙ্কটে পড়েছে ভেনিজুয়েলা।
ভেনিজুয়েলায় নোট বাতিলের সিদ্ধান্তে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছে। ১০০ বলিভার মানের নোট বাতিল করায় বিক্ষোভ করছে দেশটির মানুষ। দেশটির ছয়টি শহরজুড়ে এই বিক্ষোভ চলছে। সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, ৭৫ শতাংশ জনগণ মাদুরো সরকারের ওপর নাখোশ।
এই বিক্ষোভের পেছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের ইন্ধন রয়েছে বলে মনে করছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলা মাদুরো। এদিকে নোট পরিবর্তনের জন্য ব্যাংকগুলোর সামনে দীর্ঘ লাইন দেখা যাচ্ছে। বুথগুলোয় পর্যাপ্ত অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। কোথাও কোথাও পুরনো নোটই সরবরাহ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য মাদুরো সরকার জানিয়েছে, ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলোয় নতুন করে অর্থ বিতরণ করা হয়েছে এবং জানুয়ারিতে সরবরাহ পুরোপুরি চাহিদা মেটাবে।
অর্থনীতি ডেস্ক