ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

প্রার্থী বাছাইয়ে বড় দলগুলোর জন্য নারায়ণগঞ্জবাসীর মেসেজ

ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকেই লুফে নেন সাধারণ ভোটাররা

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকেই লুফে নেন সাধারণ ভোটাররা

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ সদ্য সমাপ্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের জয়-পরাজয় নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ চলছে রাজনৈতিক মহলে। তবে এ নির্বাচন প্রার্থিতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে বড় দলগুলোর জন্য কিছু মেসেজ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ কিংবা দুর্নীতিবাজ নয় বরং ক্লিন ইমেজ, সততা এবং জনমুখী প্রার্থীকে সাধারণ ভোটাররা লুফে নেয়; নাসিক নির্বাচনে তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভোটাররা। ক্লিন ইমেজের কারণে মেয়র হিসেবে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভীর বিশাল ব্যবধানে বিজয় হয়েছে। মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর পদগুলোতেও বিতর্কিত, একাধিক মামলার আসামি এবং প্রশ্নবিদ্ধ প্রার্থীদের ঝেড়ে ফেলে দিয়ে অধিকাংশ পদেই অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সদ্যসমাপ্ত নাসিক নির্বাচন দেশের নির্বাচনমুখী বড় দলগুলোর জন্য কিছু মেসেজ রয়েছে। কোন নির্বাচনেই বিতর্কিত কোন প্রার্থীকেই যে সাধারণ ভোটাররা গ্রহণ করবে না, বড় দলগুলোকে সেই বার্তাই দিয়েছে নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা। সাংগঠনিক শক্তি থাকলেও বিতর্কিত প্রার্থীদের নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়া যে আগামী নির্বাচনগুলোতে খুব কঠিনই হবে নাসিক নির্বাচনে সেই মেসেজও স্পষ্ট। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে নাসিক নির্বাচন থেকে শিক্ষা নিয়েই বড় দলগুলো বিতর্কিতদের বাদ দিয়ে জনমুখী ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থীকে মনোনয়ন দিতে পারেন। নাসিক নির্বাচনে এবার বড় দুই দলই বিতর্কিতদের সাইড লাইনে রেখে ক্লিন ইমেজ থাকা প্রার্থীদেরই মনোনয়ন দিয়েছিল। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ নেতারা তাদের পাঁচজনের প্রার্থী তালিকায় মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীর নাম প্রস্তাব না করলেও ভোটারদের পালস ঠিকই বুঝেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই প্রস্তাবিত প্রার্থীদের বাদ দিয়ে নৌকার হাল ডাঃ আইভীর হাতেই তুলে দেন তিনি। নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা, ক্লিন ইমেজ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ এবং জনমুখিতার কারণেই ডাঃ আইভীকে বিপুল ভোটে মেয়র পদে পুনর্নির্বাচিত করেন নারায়ণগঞ্জের ভোটাররা। অন্যদিকে বিএনপিও নারায়ণগঞ্জের বাঘা বাঘা নেতাদের সাইড লাইনে রেখে অনেকটাই ক্লিন ইমেজ থাকা নতুন মুখ হিসেবে এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে প্রার্থী করে। বিএনপির প্রার্থী সম্পর্কে তেমন নেতিবাচক কোন বিষয় উচ্চারিত না হলেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল, দুর্বল সাংগঠনিক শক্তি আর কিছু নেতার বিতর্কিত ভূমিকার কারণে সাখাওয়াত হোসেন ভোটের মাঠে কুলে উঠতে পারেননি। ডাঃ আইভীর বিশাল ইতিবাচক ভাবমূর্তি, ব্যক্তি ইমেজ আর দলীয় ঐক্যবদ্ধ সাংগঠনিক শক্তির বিপরীতে ভঙ্গুর সাংগঠনিক শক্তির কারণেই বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের ভরাডুবি ঘটেছে বলে মনে করছেন সবাই। এছাড়া ভাড়া করা প্রার্থীকে স্থানীয় ভোটাররা মেনে নেয় না সেটাও প্রমাণিত নাসিক নির্বাচনে। ডাঃ আইভী নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের মেয়ে। অন্যদিকে বিএনপির প্রার্থী নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা হলেও তার আদিবাড়ি মুন্সীগঞ্জে। এটিও নির্বাচনে বড় ধরনের প্রভাব ফেলেছে বলেই মনে করছেন দুই দলেরই কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রথম দিকে চিরবৈরী দুই পরিবার ওসমান ও চুনকার দ্বন্দ্ব প্রকট থাকলেও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নির্বাচনের আগে তা অনেকটাই হ্রাস পায়। এমনকি খোদ স্থানীয় এমপি শামীম ওসমান প্রকাশ্যে ডাঃ আইভীকে ভোট দিয়ে সেই ব্যালট গণমাধ্যমে দেখানোর পর স্থানীয় নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবেই নৌকা প্রতীকের বিজয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিপরীতে বিএনপির প্রার্থীর ক্ষেত্রে ঘটেছে ঠিক উল্টো। নারায়ণগঞ্জের বিএনপির বড় বড় নেতারা মেয়র প্রার্থীর বদলে নিজ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীদের বিজয়ী করতে মরিয়া থাকায় দু’কূলই হারিয়েছেন মেয়র পদে নতুন মুখ সাখাওয়াত হোসেন খান। নাসিক নির্বাচন বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হবে যে, মেয়রের পাশাপাশি কাউন্সিলর নির্বাচনের ক্ষেত্রেও ভোটাররা ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই বেছে নিয়েছেন। নাসিক নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডের বিপরীতে মোট কাউন্সিলর প্রার্থী ছিলেন ১৫৬। যাদের অধিকাংশের বিরুদ্ধেই নানা অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে। কিন্তু নির্বাচনে ভোটাররা ব্যালটের মাধ্যমে তাদের প্রত্যাখ্যান করেছে। ২৭টি ওয়ার্ডে যে ২৭ কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তাদের মধ্যে ১৭ জনের বিরুদ্ধেই কোন ফৌজদারি মামলা কিংবা বিতর্কিত কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ার কোন অভিযোগ ছিল না। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এটা সত্যিই একটি ইতিবাচক লক্ষণ। হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি, চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও সন্ত্রাসী হিসেবে পরিচিত কাউন্সিলরদের প্রত্যাখ্যান করে অপেক্ষাকৃত ক্লিন ইমেজের প্রার্থীদেরই ভোট দিয়ে বিজয়ী করেছে নারায়ণগঞ্জবাসী। দেশের বড় বড় রাজনৈতিক দলের জন্য একটা বড় মেসেজ। ভোটাররা যে কোন পদেই বিতর্কিত কাউকে দেখতে চায় না বা নির্বাচিত করবে না- নাসিক নির্বাচনে তা স্পষ্ট হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচনে এ বিষয়টি মাথায় রেখেই বড় দলগুলো প্রার্থী বাছাই করবেন বলে আমরা আশাবাদী। নাসিক নির্বাচনে ভোটের ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি, নারী ভোটারদের কাছে জনপ্রিয়তা এবং প্রতিপক্ষ শিবিরে সমন্বয়হীনতা- এই তিন স্তম্ভে ভর করেই ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী আবারও পাঁচ বছরের জন্য নারায়ণগঞ্জ নগর সেবার দায়িত্ব পেয়েছেন। কয়েকটি মহিলা ভোটকেন্দ্রের ফল বিশ্লেষণে বিএনপির প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানের চেয়ে আইভীর পাল্লা ভারি হওয়ার চিত্র পাওয়া গেছে। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের নিজেদের কেন্দ্রগুলোতে ভোটের হার বিশ্লেষণেও তাদের প্রার্থীর পিছিয়ে পড়ার চিত্র এসেছে। নৌকার প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর চেয়ে প্রায় ৮০ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন ডাঃ আইভী। স্থানীয় বিশ্লেষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌকার প্রার্থীর পক্ষে নারায়ণগঞ্জে স্বাধীন দেশের প্রথম পৌর চেয়ারম্যান আলী আহাম্মদ চুনকার ধারাবাহিকতায় তার মেয়ের ব্যক্তিগত ভাবমূর্তি দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে আইভীর জয়ের ব্যবধান গড়ে দিয়েছে। ভোটের আগে সাধারণ ভোটাররাও একই ধরনের মত দিয়েছিলেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনের সময় ভোটের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, তৃণমূলে সাধারণের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার কারণেই স্থানীয় ভোটের রাজনীতিতে আগে থেকেই শক্ত অবস্থান রয়েছে ডাঃ আইভীর। এছাড়া পিতার দীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাস, নিজের ক্লিন ইমেজ, সততা, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে গ্রহণযোগ্যতার কারণে একটা বিশাল ভোটব্যাংক তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে পুনর্র্নির্বাচিত মেয়র আইভী। সেই সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে দলীয় নৌকা প্রতীক। আইভীর জয়ের পেছনে সরকারের উন্নয়ন কর্মকা-ের প্রতি জন আস্থার প্রমাণও মিলেছে নাসিক নির্বাচনে। নারী ভোটে আইভী জোয়ার ॥ নারায়ণগঞ্জে এবারও নারী ভোটারদের বেশি উপস্থিতির কথা জানিয়েছেন নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা। কয়েকটি নারী ভোটকেন্দ্রের ফল পর্যালোচনায় আইভীর পক্ষে বেশি সমর্থন দেখা গেছে। নগরীর ৬ নম্বর ওয়ার্ডে সফুরা খাতুন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মহিলা ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ৫৫৯ ভোটারের মধ্যে মেয়র পদে ভোট দিয়েছেন ১ হাজার ৭৯৮ নারী। এর মধ্যে আইভী পেয়েছেন ১ হাজার ২০০ ভোট, আর সাখাওয়াতের পক্ষে গেছে ৪৬৯ ভোট। ১০৪ নম্বর বংশাল বালক/বালিকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মহিলা ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ৫৬৮ ভোটারের মধ্যে মেয়র পদে ভোট দিয়েছেন ৮৪২ জন। এর মধ্যে সাখাওয়াতের ৭২ ভোটের বিপরীতে আইভীর পক্ষে এসেছে ৭৬৪ ভোট। ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে নারায়ণগঞ্জ আইডিয়াল স্কুলের মহিলা ভোটকেন্দ্রে মেয়রপদে ১ হাজার ১২৮ ভোট পড়ে, যেখানে আইভী ৯০৬ ভোট এবং সাখাওয়াত পেয়েছেন ২১০ ভোট। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৯৩ নম্বর বিদ্যা নিকেতন মহিলা ভোটকেন্দ্রে ২ হাজার ৯০৪ ভোটারের মধ্যে মেয়র পদে ভোট দেন ১ হাজার ৫৯৫ জন। এর মধ্যে আইভী পেয়েছেন ১০৩০, সাখাওয়াত পেয়েছেন ৪৯৬ ভোট। একই ওয়ার্ডের ৯৪ নম্বর ভোটকেন্দ্রেও ২ হাজার ৫৭১ ভোটারের মধ্যে মেয়র পদে ভোট দেন ১ হাজার ৩৭৩ জন। এর মধ্যে আইভী ৯২৯ এবং সাখাওয়াত ৩৯৭ ভোট পেয়েছেন। ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে কুড়িপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের মহিলা ভোটকেন্দ্রে আইভী পেয়েছেন ৯৪২, তার প্রতিদ্বন্দ্বী সাখাওয়াত পেয়েছেন ২৬৯ ভোট। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে পৌনে পাঁচ লাখ ভোটারের মধ্যে নারী ভোটার দুই লাখ ৩৫ হাজারের বেশি। নিজ কেন্দ্রেই সাখাওয়াতের হার ॥ এদিকে বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খান নিজের কেন্দ্রেই হেরেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী আইভীর কাছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রভাবশালী বিএনপি নেতাদের কেন্দ্রেও ভাল করতে পারেননি তিনি। গত নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে মেয়র পদে লড়াই করা জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর আলম খন্দকারের বাড়ির কাছে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা কেন্দ্র। সেখানে সাখাওয়াতের ধানের শীষে পড়েছে ৬৭০ ভোট, আর নৌকায় সিল পড়েছে ৮৩৭ ব্যালটে। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এই কেন্দ্রে সাখাওয়াতের চেয়ে ১৬৭ ভোট বেশি পেলেও তৈমুরের ভাই মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ কাউন্সিলর পদে পেয়েছেন এক হাজার ২৩১ ভোট। সাখাওয়াত এই ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে পেয়েছেন প্রায় ছয় হাজার ভোট, যেখানে তৈমুরের ভাইয়ের পক্ষে পড়েছে ১০ হাজার ২২০ ভোট। অর্থাৎ, বিএনপি সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থীকে যারা ভোট দিয়েছেন তারা সবাই বিএনপির মেয়র প্রার্থীর ওপর আস্থা রাখতে পারেননি। বিএনপির নগর সম্পাদক এটিএম কামাল ভোট দিয়েছেন ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ বার একাডেমি কেন্দ্রে। এ কেন্দ্রেও আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৭৬৩ ভোট পেয়ে প্রথম হয়েছেন। বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন ৬৫৯ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক আবুল কালাম ভোট দেন ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল কেন্দ্রে। সেখানে ধানের শীষে ২৯৮ ভোটের বিপরীতে নৌকায় পড়েছে ৯৫৯ ভোট। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপির আরেক সাবেক এমপি গিয়াস উদ্দিন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রেবতী মহন পাইলট স্কুল এ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। এ স্কুল ভবনের দুটি কেন্দ্রে বিএনপি প্রার্থী যথাক্রমে ৬৪৯ এবং ১ হাজার ৩৩ ভোট পেয়েছেন। আর আওয়ামী লীগ প্রার্থী আইভী পেয়েছেন ১ হাজার ১১৮ এবং ১ হাজার ২৪৬ ভোট।
×