ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে ক্ষোভের সঙ্গে বলেন সিনহা

আইসিটি ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোন অগ্রগতি নেই

প্রকাশিত: ০৫:৩৯, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

আইসিটি ট্রাইব্যুনাল সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোন অগ্রগতি নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, পুরাতন হাইকোর্ট ভবন হতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হলেও এর কোন অগ্রগতি পরিলক্ষিত হয়নি। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জেল হত্যা মামলা, দশ ট্রাক অস্ত্র মামলা, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হত্যার মতো মর্মান্তিক মামলাগুলো যদি জেলা আদালতে হতে পারে তাহলে যুদ্ধাপরাধী মামলার বিচার সুপ্রীমকোর্ট অঙ্গনের বাইরে হতে কোন অসুবিধা নাই। সুপ্রীমকোর্টে কোন প্রশাসনিক ভবন নাই। পুরাতন হাইকোর্ট ভবন হতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হলে সুপ্রীমকোর্টের তীব্র অবকাঠামোগত সমস্যার কিছুটা সমাধান হবে। এ বিষয়ে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আবারও অনুরোধ করছি। আদালতের স্থান সঙ্কুলানের তীব্র সঙ্কটের বিষয়টি আমি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর নজরে এনেছি। তা সত্ত্বেও কোন আশাব্যঞ্জক ফল পাওয়া যায়নি। রাষ্ট্রের প্রতিটি সংস্থা অন্য সংস্থার ওপর আধিপত্য বিস্তারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। শুধু সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানগুলোই নয় রাষ্ট্রের বিভাগও এ প্রতিযোগিতার বাইরে নেই। কেবল বিচার বিভাগই এর ব্যতিক্রম। প্রধান বিচারপতি শুকুর আলী মামলার উদাহরণ উল্লেখ করে বলেন, মৃত্যুদ- বাধ্যতামূলক নয়। ম্যাজিস্ট্রেটদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাক্ষী না এলে ওয়ারেন্ট জারি করেন। তার পরেও সাক্ষী না এলে মামলা নিষ্পত্তি করে দেন। পুলিশ গ্রেফতার করতে পারদর্শী। কিন্তু সাক্ষী উপস্থিত করতে ততটা পারে না। শনিবার বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। অনুষ্ঠানে বিচার বিভাগীয় তথ্য বাতায়ন’ এর উদ্বোধন করা হয়। সভাপতিত্ব করেন আপীল বিভাগের বিচারপতি মোঃ আবদুল ওয়াহাব মিঞা। বক্তব্য রাখেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ, সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমীন চৌধুরী ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সুপ্রীমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম। সম্মেলন উদ্বোধনের কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। কিন্তু ১৪ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে চিঠিতে জানানো হয়েছে, তিনি জাতীয় বিচার বিভাগীয় সম্মেলনে আসছেন না। অন্যদিকে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আইনমন্ত্রী এ্যাডভোকেট আনিসুল হকের থাকার কথা থাকলেও তিনি অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। সাবেক প্রধান বিচারপতি মাহমুদুল আমিন চৌধুরী বলেন, বিচারকদের সাহস থাকতে হবে। কোন আসামিকে জামিন দেয় তা হলে দেখতে হবে জামিন দেয়ার এখতিয়ার আছে কিনা। তবে স্টে দেয়ার বিধান নেই। নিম্ন আদালত থেকে রিমান্ড দেয়া হয়। ডান বাম না দেখে বিচারক রিমান্ড দেন। রিমান্ডটা ভাল বাসার জন্য নয়। পুলিশের কথায় হুট করে রিমান্ড দিবেন এটা করবেন না। সুপ্রীমকোর্টের দায়িত্ব হলো নিম্ন আদালতের বিচারকদের প্রটেকশন দেয়া।
×