ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সাবিনা-ছোটনের আশাবাদ

প্রকাশিত: ০৪:০৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

সাবিনা-ছোটনের আশাবাদ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘আমরা কঠিন গ্রুপে পড়েছি। গ্রুপে ভারত ও আফগানিস্তান দুটি দলই শক্তিশালী। আমাদের লক্ষ্য থাকবে প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতে সেমিফাইনালে ওঠা। সেটা করতে পারলে আমরা ম্যাচ বাই ম্যাচ নিজেদের সেরাটা দিয়ে ভাল করার চেষ্টা করব। সবসময় আমরা মাঠে নিজেদের শতভাগ দেই। আমাদের এই দলটাও সিনিয়র-জুনিয়র মিলিয়ে ভাল এবং আশা করি আমরা ভাল করব।’ কথাগুলো সাবিনা খাতুনের। বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দলের অধিনায়ক। সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাবার আগে শনিবার এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তিনি। খেলা হবে ভারতের শিলিগুড়িতে। সেখানে বেশ ঠা-া আবাহওয়া। এ প্রসঙ্গে সাবিনার অভিমত, ‘এই মাঠে আগেও আমরা একই কন্ডিশনে খেলেছি। তাছাড়া টুর্নামেন্ট শুরুর তিনদিন আগে যাচ্ছি। ফলে সেখানকার আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় পাব।’ আসরে কটা গোল করতে চান? ‘চেষ্টা করব নিজের শতভাগ দিতে। গোল করা দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করব সেটা করতে। তবে গোলের সংখ্যা বলতে চাই না।’ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং কম্বিনেশন প্রসঙ্গে সাবিনার ভাষ্য, ‘দলে ৫-৬ জন আছে যারা ২০১৪ থেকেই আমাদের সঙ্গে খেলছে। এর বাইরে কয়েকজন আছে একেবারেই নতুন। আমি মনে করি, দুই মাসের ক্যাম্পে আমাদের ভুল-ত্রুটি ছিল, বোঝাপড়ার ঘাটতি ছিল আমরা সেটা ঠিক করে ফেলতে পেরেছি।’ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেন, ‘গত সেপ্টেম্বরে এএফসি-১৬ এর কোয়ালিফাই করার পর মেয়েরা এক সপ্তাহের ছুটি পেয়েছিল। এরপর থেকে আমাদের অনুশীলন চলছে একটানা। নবেম্বরে যখন সাফের সূচী ঘোষিত হয়, তখন আমরা সিনিয়র ১১ খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ডাকি। মিরোনা ও বিপাশা ব্যক্তিগত কারণে ক্যাম্পে যোগ দিতে পারেনি। ৩৭ জনকে নিয়ে শুরুর পর পারফরম্যান্সের কারণে বাদ দিয়েছি তিন জনকে। বাকি ৩৪ জন থেকে ২০ জনের চূড়ান্ত দল ঠিক করেছি। এদের মধ্যে ১৫ খেলোয়াড়ের জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। পাঁচজন একেবারেই নতুন। এরা হলো : আনুচিং ও আনাই মগিনি, নিলুফা ইয়াসমিন নীলা ও মাহমুদা আক্তার (গোলরক্ষক)। এএফসি-১৬ বাছাইয়ে খেলা দলের পারফরম্যান্সের ভুল-ত্রুটি নিয়ে অনুশীলনে কাজ করেছেন ছোটন। সেগুলো শুধরে নিয়েছেন। ছোটন বলেন, ‘সিনিয়র ও জুনিয়র মিলিয়ে মনে করি আমাদের দলটা ভালো হয়েছে এবং সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এরা ভালো করবে।’ উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানকে ৬-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিক করেছিলেন কৃষ্ণা রানী সরকার। এ প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, ‘আফগান মেয়েরা জন্মগতভাবেই বড় ও শক্তিশালী। তবে শেষ সাফ গেমসে তাদের হারাতে খুব একটা সমস্যা হয়নি। আমাদের মেয়েরা আগের চেয়ে শক্তিশালী হয়েছে এবং মনে করি মেয়েরা আফগানদের সঙ্গে সমানতালে লড়বে।’ ভারতের বিপক্ষে বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টে দুটি জয় পেলেও এখনও সিনিয়র পর্যায়ে তাদের হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ এবং এসএ গেমস মিলিয়ে ভারতের কাছে ৫ বার হেরেছে বাংলাদেশ (০-৭, ০-৬, ০-৩, ০-৩ এবং ১-৫)। এএফসি অনুর্ধ-১৪ আসরে ভারতকে দুবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। সেই জোড়া জয়েই এবার অনুপ্রেরণা খুঁজছে ছোটনের শিষ্যরা। নেপাল ও ভারত দলে অনেক অভিজ্ঞ ও বয়সী খেলোয়াড় আছে। ভারতের বালা দেবী, কমলা দেবী, সুস্মিতা এরা সব তিরিশের ওপরে বয়স। সেক্ষেত্রে বয়স-অভিজ্ঞতায় কিছুটা পিছিয়েই আচে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় মাইনু। দলের গড় বয়স ২৩, যেখানে ভারত-নেপাল দলের গড় বয়স ৩৩। তবে এটাকে তেমন কোন সমস্যা বলে মনে করছেন না ছোটন।
×