ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রিল্যান্স অনেক উদ্যোক্তা সফটওয়্যারও তৈরি করছে

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো দ্রুত এগিয়ে চলেছে

প্রকাশিত: ০৩:৫৮, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলো দ্রুত  এগিয়ে চলেছে

সমুদ্র হক ॥ অপার সম্ভাবনার পথে দ্রুত এগিয়ে চলেছে ইউনিয়নের ডিজিটাল সেন্টারগুলো (ইউডিসি)। ডিজিটাল বাংলাদেশের পথ ধরে ইউডিসিগুলো চালু করা হয়েছে; তা এখন বিশ্বায়নের আকাশের ঠিকানা খুঁজে পেয়ে চলার গতি আরও বাড়িয়েছে। ইউডিসির উদ্যোক্তা ও কর্মীরা এখন নিজেদের এলাকার উন্নয়নের খবরাখবর ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে। এভাবে উন্নত দেশগুলোর মতো আমাদের দেশেও নীরবে নিভৃতে নাগরিক সাংবাদিকতা (সিটিজেন জার্নালিজম) গড়ে উঠছে। সরকারের তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগ পোর্টালগুলোতে সংবাদ প্রেরণের মান উন্নয়নের লক্ষ্যে ইউডিসির নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের সাংবাদিকতার প্রাথমিক ধারণা দিচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এ্যাকসেস টু ইনফর্মেশন (এটুআই) বিভাগের তৃণমূলের তথ্য জানালা কর্মসূচীর আওতায় দেশের প্রতিটি ইউডিসি উদ্যোক্তা কর্মীদের এই প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফ্রিল্যান্স অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের ইচ্ছা ও আগ্রহে সফটওয়্যারও তৈরি করছে। উল্লেখ্য, দেশে সফটওয়্যার তৈরি এবং রফতানি শুরু হয়ে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের বড় ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। আট বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছিল তার সুফলভোগী এখন দেশের সকল মানুষ। গ্রামের মানুষও নগরীর মানুষের মতো সমানভাবে তথ্যপ্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছে। তৃণমূলে বসে যারা গ্রামের মানুষের কাছে তথ্য ও সেবা পৌঁছে দিচ্ছে তারা ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টারের (ইউডিসি) উদ্যোক্তা নামে পরিচিত। তারা দিনে দিনে আরও স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে। তারা আউট সোর্সিং, ই-কমার্স বিষয়গুলো বুঝে আয়ের পথ খুঁজে নিচ্ছে। একই সঙ্গে এ উদ্যোক্তারা নিজেদের এলাকার উন্নয়নের ছবি খবর আপলোড করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে। তারাই এখন তৃণমূল পর্যায়ের প্রতিনিধি। যারা তথ্য সেবা দিয়ে গ্রামের মানুষকে বিশ্বগ্রামের সঙ্গে যুক্ত করছে। ডিজিটাল ডিভাইস স্কাইপে ইন্টারনেট ফেসবুক চ্যাটিংসহ যোগাযোগ প্রযুক্তির নানা কিছু নিয়ে বিশ্ব এখন তাদের হাতের মুঠোয়। এদের নামকরণ করা হয়েছে ইনফর্মেশন লিডার সংক্ষেপে ইনফোলিডার। তাদের মাধ্যমে গ্রামের মানুষও এখন বিশ্বগ্রামের (গ্লোবাল ভিলেজ) সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে। বিশ্বের কোথায় কী ঘটছে, আত্মীয়স্বজনরা কোন দেশে কেমন আছে, কি করছে, তা যেমন জানতে পারছে, তেমনই দেশের উন্নয়নের খবরগুলো দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে। তাদের আউট সোর্সিং ই-কমার্স প্রতিবেদন ফিচার লিখনে দক্ষ করে গড়ে তোলা হচ্ছে। বিশ্বের দেশে দেশে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা বড় একটি আসন করে নিতে পারছে। এভাবে গড়ে উঠছে নাগরিক সাংবাদিকতা। সরকার ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার, স্মার্টফোনসহ ডিজিটাল যন্ত্রে ইন্টারনেট সুবিধা নিশ্চিত করায় গ্রামের মানুষও এ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারছে। স্মার্টফোনও সামাজিক যোগাযোগের বড় মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষ করে এ্যান্ড্রয়েড এ্যাপল টাচফোন, ই-ফোনগুলো ব্যবহার করে দ্রুত ছবি ও টেক্সট আপলোড করতে পারছে। প্রত্যন্ত গ্রামের যে কোন স্থান থেকেই এখন বিশ্বের যে কোন স্থানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাচ্ছে। সঙ্গে পৌঁছে যাচ্ছে ছবিসহ খবরাখবর। গ্রাম এলাকার উন্নয়ন ও মানুষের সাফল্যের কথা তুলে ধরে তৃণমূলের তথ্যপ্রবাহ নিশ্চিত করছে এই ইউডিসিগুলো। প্রতিটি ইউডিসিকে আউটসোর্সিং ও ই-কমার্সের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ পাচ্ছে তারা। যেখানে উদ্যোক্তারা নিজেদের উদ্যোগে কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে রোজগারের বিষয়গুলো সংগ্রহ করে ঘরে বসেই অর্থ রোজগার করতে পারে। যারা শিক্ষিত তারা নিজেদের আপগ্রেড করে বিশ্ব বাতায়নের নতুন পথ খুঁজে নিতে পারছে। জানা যায় আইসিটি সেবায় সফটওয়্যার তৈরি বড় একটি আসন করে নিয়েছে। একটা সময় বিভিন্ন প্রোগ্রামের সফটওয়্যার অনেক অর্থ ব্যয়ে কিনে আনতে হতো।
×