ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড়

প্রকাশিত: ০৩:৫৪, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

বড়দিনের ছুটি উপলক্ষে কক্সবাজারে পর্যটকদের  উপচেপড়া ভিড়

এইচএম এরশাদ, কক্সবাজার ॥ টানা ছুটি পেয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকের ঢল নেমেছে কক্সবাজার সৈকতে। সাপ্তাহিক ও বড়দিন মিলে শুক্রবার থেকে তিনদিনের সরকারী ছুটি পেয়ে বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার আসেন। দুই লক্ষাধিক পর্যটক সৈকত শহরের বিভিন্ন হোটেল মোটেল ও গেস্ট হাউসে অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। স্কুলগামী শিশুদের পরীক্ষা শেষ। অফিস-আদালতও এখন বন্ধ। সৈকত শহর ছাড়াও সেন্টমার্টিনসহ জেলার অন্যান্য পর্যটন কেন্দ্রসমূহেও এখন দারুণ প্রাণচঞ্চল। প্রতিদিন সন্ধ্যায় বার্মিজ মার্কেটে দেখা যায় উপচে পড়া ভিড়। তিন দিনের ছুটি কাটাতে আসা ওসব পর্যটক ডিসেম্বরের শুরুতে হোটেলে বুকিং দিয়ে রেখেছে। হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস মালিক সমিতির কর্মকর্তারা বলেন, আমাদের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বাড়তি পর্যটকদের ঠাঁই দিতে পারছি না। তবুও সমিতির নেতারা পর্যটক সেবায় অত্যন্ত আন্তরিক। পর্যটক আগমনের সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু কিছু হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউসে গলাকাটা রুম ভাড়া নিয়েছে বলে জানা গেছে। খাবারের বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে। ইংরেজী বছরের শেষ প্রান্তে এসে ঈদের মতোই জমজমাট হয়ে ওঠেছে পর্যটননগরী কক্সবাজার। সেন্টমার্টিনগামী জাহাজে টিকেট পেতে হুড়োহুড়ি পড়ে গেছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট যতই ঘনিয়ে আসছে কক্সবাজারে পর্যটকের ভিড় ততই বাড়ছে। ইতোমধ্যে নগরীর চার শতাধিক হোটেলের সব কক্ষ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আগাম বুকিং হয়ে গেছে। নতুন বছরে শুরু হবে নতুন কার্যক্রম। এরই মাঝে অধিকাংশ কর্মব্যস্ত মানুষ এখন খুঁজছে সামান্য অবকাশ। সর্বত্র ছুটির আমেজ। ভ্রমণেচ্ছু পর্যটকদের সবচেয়ে জনপ্রিয় গন্তব্য দেশের পর্যটন রাজধানী নামে পরিচিত বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজার। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পর্যটকদের স্রোত ক্রমশই বাড়ছে। ৫শ’ টাকার হোটেল কক্ষ ভাড়া ওঠেছে ৩-৪ হাজার টাকায়। লাইন ধরে খাবার খেতে হচ্ছে রেস্তরাঁয়। শুক্রবার থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসছে। এরমধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার মানুষ জাহাজ, স্পীডবোট ও ট্রলারযোগে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়া ডুলাহাজারা সাফারী পার্ক, মহেশখালী আদিনাথ মন্দির, হিমছড়ি, দরিয়ানগর ও ইনানীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বেড়াতে যাচ্ছে।
×