ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিয়ানমারে দানা বাঁধছে গেরিলা লড়াই

প্রকাশিত: ০৩:৪২, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারে দানা  বাঁধছে গেরিলা  লড়াই

মিয়ানমারে বিশ্বের এক নতুন গেরিলা লড়াই দানা বেঁধে উঠতে থাকায় হাজার হাজার শরণার্থী সেখান থেকে পালাচ্ছে। তারা মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্মম নির্যাতনেরও বর্ণনা দিচ্ছেন। খবর ওয়াস স্ট্রিট জার্নাল অনলাইনের। ইউনিফর্ম পরা সৈন্যরা রোহিঙ্গা মুসলিম সংখ্যালঘুদের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন করছে। মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের এক নদীর অপর পারের বাংলাদেশ সীমান্ত শহর টেকনাফের কাছে শিবিরগুলোতে মানবাধিকার কর্মী ও শরণার্থীরা একথা জানান। সেনা অভিযান শুরু হওয়ার আগে অক্টোবর মাসে সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলা চালানো হয়। কয়েক দশকের মধ্যে গড়ে ওঠা প্রথম রোহিঙ্গা জঙ্গী প্রতিরোধ গোষ্ঠী এ হামলার কৃতিত্ব দাবি করে। এ গোষ্ঠী হারকাহ আল ইয়াকিন বা ফেথ মুভমেন্টের হাতে নয় পুলিশ নিহত হয়। এ গোষ্ঠীর আবির্ভাবের ফলে দীর্ঘদিন চলমান সংঘাত উল্লেখযোগ্য মাত্রায় চড়ে যায়। জাতিসংঘ কর্মকর্তারা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের মাত্রাতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের নিন্দা করেন। এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ও হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রকাশিত স্যাটেলাইট ছবিতে রোহিঙ্গাদের শাস্তি দিতে গ্রামের পর গ্রাম পরিকল্পিতভাবে জ্বালিয়ে দেয়ার দৃশ্য দেখানো হয় বলে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো দাবি করে। মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির সরকার সেনাবাহিনীর হাতে রোহিঙ্গা নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে। প্রেসিডেন্ট তিন কিয়াওয়ের মুখপাত্র বলেন, সেনাবাহিনী আইন মোতাবেক ক্লিয়ারেন্স অপারেশন” চালাচ্ছে। মুখপাত্র বলেন, আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িঘরেই আগুন দিচ্ছে। বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের দশ লাখ রোহিঙ্গার অধিকাংশই জনাকীর্ণ, উদ্বাস্তু শিবিরে বাস করে। সামরিক ঐতিহাসিক মাইকেল চার্লি বলেন, মিয়ানমারের বর্তমান সামরিক অভিযান এবং রোহিঙ্গাদের প্রতি আউং সান সুচির রাজনৈতিক অবস্থানের ফলে রোহিঙ্গা তরুণরা চরমপন্থীতে এবং সহজেই হারকাহ আল-ইয়াকিনের মতো আরও জঙ্গী দলগুলোর সদস্যে পরিণত হতে পারে। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ। মানবাধিকার গোষ্ঠী কোটি রাইটসের নির্বাহী পরিচালক ম্যাথু স্মিথ বলেন, হারকাহ আল-ইয়াকিন নির্যাতনেরই সৃষ্টি।
×