ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আলেপ্পোতে ফের সংঘর্ষ, বিমান হামলা

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৬

আলেপ্পোতে ফের সংঘর্ষ, বিমান হামলা

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পক্ষ থেকে গৃহযুদ্ধ বন্ধে রাজনৈতিক সমাধানের ঘোষণা দেওয়া হলেও আলেপ্পো নগরী থেকে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। নতুন করে চালানো হয়েছে বিমান হামলা। গত কয়েক দিনে বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহীদের সরিয়ে নেওয়া হয় আলেপ্পো থেকে। এখনও কয়েকজন বিদ্রোহী আলেপ্পোতে রয়েছেন। শুক্রবার বিদ্রোহীরা অন্তত ১০টি শেল নিক্ষেপ করে। নগরীর হামাদিয়া জেলায় সরকারি বাহিনীর সঙ্গে ওই বিদ্রোহীদের সংঘর্ষে দুই শিশুসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তিনজন নিহত হওয়ার কথা বলা হয়েছে। এদিকে, এক সপ্তাহ পর নগরীর পশ্চিম, দক্ষিণ-পশ্চিম ও দক্ষিণের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে আবারও চালানো হয়েছে বিমান হামলা। আলেপ্পো থেকে বেসামরিক ও বিদ্রোহীদের সরিয়ে নেওয়ার পর সেখানে মাইন ও অন্য কোনো নিরাপত্তাজনিত সমস্যা রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে সরকারি বাহিনী ও লেবাননের সশস্ত্র শিয়া সংগঠন হিজবুল্লাহ তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে বলে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়েছে। প্রেসিডেন্ট আসাদের প্রধানতম মিত্র রাশিয়ার পক্ষ থেকে সম্প্রতি ইরান ও তুরস্কের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে রাজনৈতিক সমাধানের কথা উল্লেখ করা হয়। পরে আসাদ এক বিবৃতিতে রাজনৈতিক সমাধানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বিদ্রোহীদের সঙ্গে আলোচনা করতে প্রস্তুত বলেও উল্লেখ করেছেন। এর আগে বিভিন্ন সংস্থার পর্যবেক্ষকদের নজরদারিতে বৃহস্পতিবার বিদ্রোহী ও বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে পুরো আলেপ্পোতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়। পুরোপুরি বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর পশ্চিম আলেপ্পোতে গুলি ছুড়ে বিজয় উল্লাস করতেও দেখা গেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, সেনা সদস্য এবং বেসামরিক নাগরিকরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ-এর সমর্থনে স্লোগান দিচ্ছে। বৃহস্পতিবার রেড ক্রস জানিয়েছে, আলেপ্পো ফাঁকা করার প্রক্রিয়ার সর্বশেষ ধাপে ৩৫ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে চার হাজারেরও বেশি বিদ্রোহী রয়েছেন।
×