ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

এত কেন নামের খোঁটা, ‘তৈমুর’ নিয়ে ক্ষুব্ধ ঋষি

প্রকাশিত: ১৯:২৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

এত কেন নামের খোঁটা, ‘তৈমুর’ নিয়ে ক্ষুব্ধ ঋষি

অনলাইন ডেস্ক ॥ ৪৮ ঘণ্টা আগে টুইটারে তিনি সুখবরটা জানিয়েছিলেন। তাঁর নাতি হয়েছে। অর্থাৎ তাঁর ভাইঝির পুত্র। বলেছিলেন, ‘‘মা ও বাচ্চা ভাল আছে। আপনাদের শুভেচ্ছা যথাস্থানে পৌঁছে দেব। ধন্যবাদ।’’ ৪৮ ঘণ্টা পরে সেই ঋষি কপূরই লড়ে যাচ্ছেন চতুর্দিক থেকে ছুটে আসা তিরের সঙ্গে। প্রবীণ অভিনেতা দেখছেন, ডিজিটাল ময়দান এক রকম ছিঁড়ে খাচ্ছে তাঁদের স্বনামধন্য কপূর পরিবারকে। তাঁর ভাইঝি করিনা কপূর, করিনার স্বামী সইফ আলি খানকে। রেহাই পায়নি ভাইঝির বিখ্যাত শ্বশুরবাড়িও। কোন আইএসআই অফিসার নাকি পটৌডি পরিবারের আত্মীয়— রীতিমতো ছবি-টবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন অভিযোগও তুলেছেন একটি টুইটার অ্যাকাউন্টের মালিক। কেন এই বিষোদ্গার, গত দু’দিনে মোটামুটি সারা দেশ তা জানে। সইফ-করিনা তাঁদের সদ্যোজাত সন্তানের নাম রেখেছেন তৈমুর আলি খান পটৌডী। তার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘গেল গেল’ রব। অনেকেরই প্রশ্ন, কোন আক্কেলে এই নামটা রাখা হল? ১৩৯৮ সালে দিল্লি দখল করে লক্ষাধিক মানুষকে খুন করা, দেদার লুঠপাটে একাধিক শহর শ্মশান করে দেওয়া তুর্কি-মোঙ্গল শাসক তৈমুর লঙ্গের কথা কি ভুলে গিয়েছিলেন সইফ-করিনা? গত ২০ তারিখ তৈমুরের জন্ম ও নাম ঘোষণার পর থেকেই সেই আলোচনা ‘সমানে চলিতেছে’। এক সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার শীর্ষে থাকা প্রথম দশটি বিষয় (ট্রেন্ডিং)-এর মধ্যে একটি ছিল ‘#তৈমুর’! পটৌডী বা কপূর পরিবারের কেউ গত কাল পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি। যেটা আজ করেছেন তিতিবিরক্ত ঋষি। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘‘বাপ-মা তাদের বাচ্চার নাম রেখেছে। তা নিয়ে এত লোকের চিন্তার কী আছে! তুমহারে বেটাকা নাম তো নেহি রাখা হ্যায়।’’ তৎক্ষণাৎ ঋষির ওয়ালে এক ‘প্রতিবাদী পাল্টা লিখেছেন, ‘‘আপনারা আর নাম পেলেন না!’’ আর এক জন লিখেছেন, ‘‘আপনি ইতিহাসটা ভাল করে পড়ুন!’’ সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×