ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় এ্যাথলেটিক্সে তৃতীয় স্বর্ণ নৌবাহিনীর এই স্প্রিন্টারের

আবারও দ্রুততম মানব মেজবাহ

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

আবারও দ্রুততম মানব মেজবাহ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জাতীয় এ্যাথলেটিক্স প্রতিযোগিতার ৪০তম আসরে হ্যাটট্রিক করলেন মেজবাহ আহমেদ। সেটা আসরের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ১০০ মিটার স্প্রিন্ট ইভেন্টে। বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত এ আসরে বাংলাদেশের নৌবাহিনীর এই গতিতারকা ১০.৬৩ সেকেন্ড সময় নিয়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। একই দলের তার সতীর্থ আব্দুর রউফ রৌপ্য (১০.৭০ সেকেন্ড) এবং সেনাবাহিনী শরিফুল ইসলাম জেতেন তাম্রপদক (১০.৭৭ সেকেন্ড)। গ্রীষ্মকালীন জাতীয় এ্যাথলেটিক্স এবং ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ গেমসসহ এ নিয়ে এই ইভেন্টে মোট পাঁচবার বাংলাদেশের দ্রুততম মানব খেতাব জিতলেন বিকেএসপির সাবেক শিক্ষার্থী মেজবাহ। এবার অনেকটা চাপেই ছিলেন মেজবাহ। কারণ সতীর্থ রউফ। অনুশীলন থেকে হিট এবং চূড়ান্ত দৌড়েও তার সঙ্গে পাল্লা দিয়েই দৌড়েছেন রউফ। অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন এবার বুঝি রউফের কাছে হেরেই যাবেন মেজবাহ। কিন্তু নিজের আদর্শ জ্যামাইকান উসাইন বোল্টের পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন তিনি। সেটা হলো- প্রথমদিকে কিছুটা আস্তে দৌড়ালেও শেষ ৫০ মিটারে দৌড়ের গতি বাড়িয়ে বুক সামনে রেখে টাচ্লাইন স্পর্শ করেন মেজবাহ। প্রতিযোগী রউফের সঙ্গে মেজবাহর ব্যবধান মাত্র ০০.৭ সেকেন্ড। এতেই স্পষ্ট- কতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখোমুখি হতে হয়েছে মেজবাহকে। এ প্রসঙ্গে মেজবাহর ভাষ্য, ‘মনে হচ্ছিল এবার বুঝি ধরাই খেয়ে গেলাম। তখন বোল্টের টেকনিকটা কাজে লাগাই।’ এ বছর ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত রিও অলিম্পিকে অংশ নিয়েছিলেন মেজবাহ। একজন অলিম্পিয়ান হিসেবে খেতাব ধরে রাখাও ছিল তার জন্য বাড়তি চ্যালেঞ্জ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘অলিম্পিক গেমসের মতো বড় আসরে খেলে আসার পর যদি দ্রুততম মানবের খেতাবটি ধরে রাখতে না পারতাম, তাহলে সবাই ভাবত আমি হারিয়ে গেছি। অলিম্পিকের পর অনেকেই হারিয়ে যায়। তাই এই জয়টা খুব প্রয়োজন ছিল।’ উল্লেখ্য, সিনিয়র মিটের আগে ২০০৯ ও ২০১০ সালেও দ্রুততম বালক খেতাবও জেতেন মেজবাহ।
×