ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাক্ষাতকারে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী

কপিলমুনি যুদ্ধে আটক রাজাকারদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

কপিলমুনি যুদ্ধে আটক রাজাকারদের প্রকাশ্যে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়

অমল সাহা, খুলনা অফিস ॥ খুলনায় সবচেয়ে বড় যুদ্ধ হয় কপিলমুনিতে। এখানে রাজাকারদের বৃহত ঘাঁটি ছিল। ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’ হিসেবে যুদ্ধকালীন সময়ে পরিচিতি পাওয়া এই ঘাঁটি ছিল অনেক সুরক্ষিত। শক্তিশালী নিরাপত্তা ব্যবস্থাও রাখা হয়েছিল। দুই দফা আক্রমণের চেষ্টা করেও পিছু হঠতে হয়েছে। পরে নৌ ও স্থল পথে চতুর্মুখী আক্রমণে শত্রুরা পর্যুদস্তু হয়। ৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে দীর্ঘ প্রায় ৬২ ঘণ্টা যুদ্ধের পর দুর্ভেদ্য এই ঘাঁটির দখল নেয় মুক্তিযোদ্ধারা। ২-৩টি শিশুসহ দেড় শতাধিক রাজাকার-আলবদরকে বন্দী করা হয়। ৯ ডিসম্বের স্থানীয় স্কুল মাঠে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে স্বাধীনতাবিরোধী কুখ্যাত রাজাকারদের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। বয়স বিবেচনায় শিশুদের মুক্তি দেয়া হয়। এই যুদ্ধে দুই মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। কপিলমুনি বিজয়ের পর মুক্তিযোদ্ধারা বটিয়াঘাটায় আসেন। একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে খুলনা শহর মুক্ত করার জন্য লড়াই করেন। ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজয়ের আনন্দে মানুষ যখন উদ্বেলিত তখন খুলনা শহর গ্রেনেড, বোমা, ট্যাঙ্কারের হামলায় প্রকম্পিত হয়। ১৭ ডিসেম্বর ভোরে খুলনা সার্কিট হাউজে প্রথম বিজয়ের পতাকা ওড়ে। আলাপচারিতায় বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃহত্তর খুলনার মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) ডেপুটি প্রধান শেখ ইউনুস আলী ইনু এ অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে সশস্ত্র যুদ্ধের স্মৃতিচারণ করে জনকণ্ঠকে এসব কথা বলেন। বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইউনুস আলী ইনু জানান, তার বয়স এখন ৭৫ বছর। খুলনা মহানগরীর দৌলতপুর থানাধীন পাবলা এলাকার মরহুম এয়াকুব আলীর একমাত্র পুত্র তিনি। জন্ম, বেড়ে ওঠা, লেখাপড়া খুলনা শহরেই। তিন মেয়ে ও এক ছেলের পিতা তিনি। অস্ত্র হাতে শুধু যুদ্ধই করেননি, তিনি স্বাধীনতাবিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেতৃত্বও দিয়েছেন। ছাত্র রাজনীতিতেও গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেন। খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট মঞ্জুরুল ইমাম নিহত হওয়ার পর দীর্ঘদিন তিনি (ইনু) ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নগরীর পাবলায় পৈত্রিক বসতবাড়িতেই বসবাস করছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইনুস আলী ইনু বলেন, ১৯৫৯ সালে মেট্রিক পাস করার পর থেকে তিনি ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করেন। ১৯৬৫ সালে দৌলতপুর বিএল কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। ’৬৬-৬৭ সালে খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ’৬৮-৬৯ সালে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দান, ’৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। এই সময়কালে অনেকবার তিনি বঙ্গবন্ধুর সান্নিধ্য লাভ করেছেন। ’৭১ সালের ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ পর্যন্ত অসহযোগ আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে ২৩ মার্চ সারাদেশের মতো দৌলতপুরের বিএল কলেজ মাঠে বিশাল সমাবেশে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরু হলে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নিবেদিত এক কর্মী হিসেবে শেখ ইউনুস আলী ইনু মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে তিনি সামরিক শিক্ষা গ্রহণের জন্য লিডারশিপ ট্রেনিং হিসেবে মুজিব বাহিনীর প্রথম ব্যাচে ভারতে ট্রেনিং গ্রহণ করেন। ওই ট্রেনিংয়ে শেখ কামরুজ্জামান টুকুসহ বৃহত্তর খুলনার মোট ১০ জন অংশ নেন। প্রথম ব্যাচের ট্রেনিংয়ে সারা দেশের তিন শ’ মুক্তিযোদ্ধা অংশগ্রহণ করেন। এরা সবাই ছাত্র আন্দোলনের নেতা ছিলেন। প্রথমে তারা উত্তর প্রদেশের দেরাদুন ও পরে চাক্রাতা নামক স্থানে জেনারেল ওবানের তত্ত্বাবধানে সামরিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। এই ট্রেনিংয়ে মুজিব বাহিনীর ঢাকা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন আব্দুর রাজ্জাক, চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বে শেখ ফজলুল হক মনি, রাজশাহী বিভাগের সিরাজুল আলম খান এবং খুলনা বিভাগের দায়িত্বে ছিলেন তোফায়েল আহমেদ। ৪৫ দিনের ট্রেনিং গ্রহণ শেষে ১৩ আগস্ট মুজিব বাহিনী খুলনার প্রধান হিসেবে শেখ কামরুজ্জামান টুকু এবং ডেপুটি প্রধান হিসেবে ইউনুস আলী ইনু বেশ কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে সঙ্গে নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। সীমান্ত পেরিয়ে দেশে ঢোকার পর তারা মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করে প্রথমে তালা ও পরে খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাটের বিভিন্ন অঞ্চলের থানা এলাকায় পর্যায়ক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি স্থাপন করেন। তালা থানার বালিয়াদাহ, বাওখোলা, পাটকেলঘাটা, ইসলামকাঠী, বুদহাটা, কেয়ারগাতি, পাইকগাছা থানা সদর, বড়দল, বটিয়াঘাটা, বারোআড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে পাক হানাদার ও রাজাকারদের বিরুদ্ধে সফল যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়। এসব এলাকা মুক্ত হওয়ার পর বাধা হয়ে দাঁড়ায় ‘মিনি ক্যান্টনমেন্ট’ বলে সে সময়ে পরিচিতি পাওয়া কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্প। বিনোদ বিহারী সাধুর (প্রয়াত) সুরক্ষিত দ্বিতল ভবন দখল করে রাজাকার বাহিনী এ অঞ্চলের বৃহৎ ক্যাম্প স্থাপন করে। কপিলমুনি বাজার এলাকায় অবস্থিত এই ক্যাম্পে দুই দফা আক্রমণের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ওই ভবনটির মূল দেয়াল ছিল ২০ ইঞ্চি গাঁথুনির। ভবনের সীমানা প্রাচীর ছিল ১৫ ইঞ্চি পুরু। এর পরও বড় বড় সুন্দরী কাঠ দিয়ে ঘাঁটির নিরাপত্তা বেষ্টনী গড়েছিল রাজাকাররা। বিল্ডিংয়ের ছাদে চার কোণে চারটি বাঙ্কার তৈরি করেছিল। যেখান থেকে অনেক দূর পর্যন্ত গোলাগুলি করতে পারত। মূল ঘাঁটি পাহারা দেয়ার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এবং পূর্ব-উত্তর দিকে দুইটি ক্যাম্প স্থাপন করেছিল। ভবনটি এত মজবুত এবং ঘাঁটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এত শক্তিশালী ছিল যাতে বাধা অতিক্রম করে আক্রমণ করা খুব কঠিন ছিল। এরপর স্থল ও নৌ-পথে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী মুক্তিযুদ্ধাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী ৬ ডিসেম্বর ভোরে কপিলমুনি রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণ চালানো হয়। এই আক্রমণের মূল পরিকল্পনায় ছিলেন মুজিব বাহিনী ডেপুটি প্রধান শেখ ইউনুস আলী ইনু, নেভাল প্রধান গাজী রহমতউলাহ দাদু, মুজিব বাহিনী সহকারী প্রধান স.ম বাবর আলী, লে. শামসুল আরেফিন প্রমুখ। পরিকল্পনা অনুযায়ী মূল ঘাঁটির পশ্চিম পাশে কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধের পাশে অবস্থান নিয়ে মুজিব বাহিনীর অন্যতম কমান্ডার তৌফিক আহমেদ ভোর ৫টা ১ মিনিটে আরসিএল গান থেকে গুলিবর্ষণ করেন। সঙ্গে সঙ্গে নেভালের সদস্যরা ‘ডেমুলেশন’ দিয়ে সুন্দরী কাঠের প্রাচীরটি উড়িয়ে দেয়। শুরু হয় চারদিক থেকে আক্রমণ। কয়েক শ’ মুক্তিযোদ্ধা এই যুদ্ধে অংশ নেন। ৬২ ঘণ্টা যুদ্ধের পর ৯ ডিসেম্বর সকালে ২-৩ শিশুসহ ১৫৫ রাজাকার-আলবদরকে গ্রেফতার করা হয়। এই যুদ্ধ শুরুর আগে পাকসেনারা যাতে ওদের সহযোগিতা করতে না পারে সেজন্য রাস্তার কালভার্ট উড়িয়ে দেয়ার জন্য ট্রেন্স খুঁড়ে স.ম আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে কানাইদিয়ায় এবং কপোতাক্ষের পূর্বপাড়ে একইভাবে ইঞ্জিনিয়ার মুজিবর রহমানের নেতৃত্বে আর একটি দল অবস্থান গ্রহণ করেন। কিন্তু পাকসেনারা না আসায় কালভার্ট অক্ষত থাকে। এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার ও শাহাবুদ্দিন শহীদ হন। বেশ কয়েকজন রাজাকারও মারা যায়। ওই ক্যাম্প থেকে আটককৃত শিশুদের বয়স বিবেচনায় ছেড়ে দেয়া হয়। বাকিদের ২০ সহস্রাধিক নির্যাতিত মানুষের উপস্থিতিতে গণআদালতে বিচারের মাধ্যমে তাদের গুলি করে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়। কপিলমুনি যুদ্ধ শেষে মুক্তিযোদ্ধারা নৌ ও স্থলপথে বটিয়াঘাটার বারআড়িয়ায় সমবেত হন। এদিকে সম্ভবত ১০-১২ ডিসেম্বর নিয়মিত বাহিনীর মেজর জয়নুল আবেদীন বটিয়াঘাটা সদরে ক্যাম্প স্থাপন করেন। গাজী রহমতউলাহ দাদু, শেখ কামরুজ্জামান টুকু, শেখ মোঃ ইউনুস আলী ইনু, স.ম. বাবার আলী, লে. আরেফিন, ক্যাপ্টেন জিয়া প্রমুখ তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন। সেখানে খুলনা মুক্ত করার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ ও তিনটি রুট নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৫ তারিখ ভোরে মেজর জয়নুল আবেদীন, লে. আরেফিন, খিজির আলী (বীরপ্রতীক) অন্য সহযোদ্ধাদের নিয়ে রেডিও সেন্টার ও লায়ন্স স্কুল, দ্বিতীয় রুটে রহমতউলাহ দাদু ও স.ম বাবর আলীর নেতৃত্বে আর একদল মুক্তিযোদ্ধা খুলনা শহরে প্রবেশ ও সার্কিট হাউসে আক্রমণ করবে। ৩নং রুটে শেখ কামরুজ্জামান টুকু ও শেখ ইউনুস আলী ইনুর নেতৃত্বে দুইটি লঞ্চ নিয়ে নৌপথে রূপসা ঘাট দিয়ে শহরে প্রবেশ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে বিজয়ের পতাকা উড়লেও খুলনা মুক্ত করার জন্য তখন প্রাণপণ লড়াই চলে। ১৭ ডিসেম্বর ভোরে রহমতউলাহ দাদু ও বাবর আলীর নেতৃত্বাধীন দল প্রথম সার্কিট হাউসে প্রবেশ করে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন করেন। পরে এই মুক্তিযোদ্ধা দলটি খুলনা জেলখানার গেট ভেঙ্গে কয়েদিদের মুক্ত করে দেন। এর পর পর্যায়ক্রমে বেলা ১১টার মধ্যে মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর অন্য দলগুলো খুলনা শহরে প্রবেশ করে। যৌথ বাহিনী প্রথমে সার্কিট হাউসে পরবর্তীতে নেভাল বেজে অবস্থান করেন। বিভিন্ন স্থান থেকে আত্মসমর্পণকারী পাকসেনাদের সেখানে নেয়া হয়। শিরোমনি এলাকায় মুক্তি ও মিত্রবাহিনীর সঙ্গে পাকহানাদারদের যে যুদ্ধ হয়েছে সে বিষয়ে ইউনুস আলী ইনু বলেন, যেহেতু তারা ওইদিকে ছিলেন না সে বিষয়ে সঠিক কোন তথ্য তার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, খুলনা মুক্ত হওয়ার পর বেশ কিছুদিন মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন। এ সময়কালে ২৪ ডিসেম্বর খুলনা সার্কিট হাউসে মিত্র বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরাকে সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন (তিনি শেখ ইউনুস আলী ইনু এবং সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করেন স.ম. বাবর আলী। মুক্তিযোদ্ধা ইউনুস আলী ইনু আক্ষেপ করে বলেন, অনেকে এখন বক্তৃতায় মুক্তিযুদ্ধের কথা বলেন যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করেন না। যারা মুক্তিযুদ্ধ করেননি, মুক্তিযুদ্ধ দেখেননি তারাও মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনায়। তিনি মনে করেন, যে আকাক্সক্ষা এবং সম্ভাবনাকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে এদেশের ছাত্র-জনতা স্বাধীনতার লাল সূর্যকে ছিনিয়ে এনেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের বেদীমূলে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন আজকের সমাজ ব্যবস্থার বস্তবতার দিকে তাকালে তা সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। এ জন্য তার দুঃখ বোধ হয়। তারপরও মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বেঁচে থাকতে চান।
×