ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পোশাক কারখানা বন্ধ করা ঠিক হয়নি ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৪:২৫, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬

পোশাক কারখানা বন্ধ করা ঠিক হয়নি ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাভারের আশুলিয়ার পোশাক কারখানাগুলো হঠাৎ এভাবে বন্ধ করা ঠিক হয়নি বলে মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমি চেয়েছিলাম কারখানা চালু হোক। তারপর সবাই মিলে শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করব। কিন্তু কারখানা মালিকরা শ্রম আইনের ১৩ এর ১ ধারা অনুযায়ী কারখানা বন্ধ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, শ্রমিকরাও তাদের কথা রাখেননি। নৌমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শ্রমিকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে যোগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তারা তাদের কথা রাখেনি। প্রসঙ্গত, ন্যূনতম মজুরি বাড়ানোর পাশাপাশি নানা অজুহাতে শ্রমিক ছাঁটাই বন্ধ, কোন কারণে ছাঁটাই হলে নিয়ম অনুযায়ী প্রাপ্য পরিশোধ এবং ছুটিকালীন বেতন বহাল রাখার দাবিতে গত ১২ আগস্ট থেকে আন্দোলন শুরু করে ওই এলাকার তৈরি পোশাক শ্রমিকরা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৩ বছরে সাভারের আশুলিয়া এলাকায় কোন বাড়িভাড়া বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, তিন বছরে ওই এলাকার কোন মালিক বাড়িভাড়া বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। মন্ত্রীর এ ঘোষণার পরও শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত থাকায় গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ৫৫টি তৈরি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে বিজিএমই। এরপর গতকাল বুধবার সকালে আরও ৪টি কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে যে কোনদিন জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, যারা একসময় আওয়ামী লীগের অধীনে কোন নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে জানিয়েছিল, আজ তারা নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতেও আমাদের অধীনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইসিটি খাতের উদ্যোক্তাদের দাবির প্রেক্ষিতে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের জিডিপিতে তৈরি পোশাক খাতের অবদান ৮১ শতাংশ। চামড়া, পাটসহ অন্যান্য রফতানি খাতে নগদ সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু আইসিটি খাতে কোন নগদ সহায়তা দেয়া হয় না। ভবিষ্যতে আইসিটি খাতেও নগদ সহায়তা দেয়া হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতি দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, এক সময় জিডিপিতে কৃষির অবদান ছিল ৭০ শতাংশ। এখন ১৫ শতাংশ। সেসময় খাদ্যের অভাব ছিল। এখন আমরা খাদ্যে উদ্বৃত্ত। ২০১৬-১৭ অর্থবছর শেষে আমাদের মোট রফতানি হবে ৩৭ বিলিয়ন ডলার। অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবু মোতালেব বলেন, খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ঢালাওভাবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট নেয়া হচ্ছে। এটা ঠিক না। এনবিআরের কিছু কর্মকর্তা আইএমএফ ও বিশ্বব্যাংককে খুশি করতে আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। কম্পিউটার সিটি সেন্টার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও মেলার আহ্বায়ক তৌফিক এহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসিসের সভাপতি মোস্তফা জব্বার, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক, বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা মোস্তফা মহসীন মন্টু প্রমুখ।
×