অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ-করিডর সংস্কারে ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (আইডিএ)। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং বিশ্বব্যাংকের মধ্যে একটি ঋণচুক্তি সই হয়েছে। বুধবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এ চুক্তি সই হয়। সরকারের পক্ষে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহউদ্দিন এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থাটির কান্ট্রি ডিরক্টের চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ-করিডর বাংলাদেশের প্রধান অভ্যন্তরীণ নৌ-বাণিজ্যিক রুট যা আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্প্রসারণেও গুরুত্বপূর্ণ। ৩০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এ রুটে বরিশালসহ অন্যান্য রুটের সংযোগ রয়েছে। দেশের প্রায় ৮০ শতাংশ অভ্যন্তরীণ যান এ করিডরের মধ্যে দিয়ে চলাচল করে এবং দৈনিক প্রায় দুই লাখ যাত্রী এসব জলপথ ব্যবহার করে। এই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা-আশুগঞ্জ-চট্টগ্রাম নৌ রুটের বছরব্যাপী নাব্য নিশ্চিতকরণ, করিডরের উন্নয়ন এবং বিআইডব্লিউটিএয়ের প্রতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বাংলাদেশ রিজোনাল ওয়াটারওয়ে ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট-১ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২০১৬ সালের জুলাই হতে ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রকল্পটির মাধ্যমে প্রস্তাবিত নৌ-পথের নাব্য রক্ষার্থে পারফর্মেন্স বেইজড ড্রেজিং করা হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংক ৩৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহজ শর্তে ঋণ দেবে। এর মধ্যে আইডিএ রিজোওনাল ফান্ড হতে পাওয়া যাবে ১৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
জানা গেছে, প্রকল্পের জন্য আইডিএ অর্থায়নের ঋণ ৬ বছরের গ্রেস প্রিরিয়ডসহ ৩৮ বছরে পরিশোধ করতে হবে। এ ঋণের উত্তোলিত অর্থের উপর বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ হারে সার্ভিস চার্জ এবং অনুত্তোলিত অর্থের উপর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট চার্জ প্রদান করতে হবে। তবে আইডিএয়ের নির্বাহী পরিচালকগণ প্রতিবছরে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক কমিটমেন্ট ফি মওকুফের বিষয় নির্ধারিত হয়। চলতি অর্থবছরসহ দীর্ঘদিন ধরে কমিটমেন্ট ফি মওকুফ রয়েছে।
