রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাধার মুখে স্থগিত করা হয়েছে। বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসমাঈল হোসেন সিরাজী ভবনে ইনস্টিটিউটের আওতাধীন বিশ্ববিদ্যালয় স্কুলের চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা চলছিল। সকাল পৌনে ১০টার দিকে মতিহার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলাউদ্দিনের নেতৃত্বে ১৫-২০ নেতকর্মী ইনস্টিটিউটের পরিচালকের অফিসে যান। সেখানে পরিচালককে হুমকি-ধমকি দিয়ে তারা পরীক্ষা বন্ধ করতে বলেন। পরে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পরীক্ষা স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক আনসার উদ্দীন বলেন, মতিহার থানা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এসে পরীক্ষা বন্ধ ঘোষণা করতে বলেন। এ সময় উপস্থিত পুলিশদের অনুরোধ করি নেতাকর্মীদের কক্ষের বাইরে বের করে দিতে। কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে শুধু দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা তো নেতাকর্মীর সঙ্গে ঝগড়া করতে পারি না। পরীক্ষা বন্ধ না করলে অন্যরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো, তাই অমি বন্ধ করে দিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী সারওয়ার জাহান বলেন, ইনস্টিটিউটগুলো নিজস্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সরাসরি কোন হস্তক্ষেপ নেই। ঘটনার বিষয়ে প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
চেয়ারম্যান প্রার্থীর গাড়িতে হামলা ভাংচুর
জেলা পরিষদ নির্বাচন
স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ চিলমারীতে জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদের গাড়িতে হামলা চালিয়েছে উপজেলা ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এ ঘটনায় মাইক্রোবাস ভাংচুরসহ সমর্থক জয়নাল আবেদীন আহত হয়। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে নির্বাচনী প্রচার চালাতে চিলমারী উপজেলার মাটি কাটা মোড়ে পৌঁছিলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা গাড়ি ভাংচুরের পর উপজেলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। গাড়ি ভাংচুরের পর প্রচারণা বন্ধ করে ফিরে আসতে বাধ্য হয় চেয়ারম্যান প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ। চেয়ারম্যান প্রার্থী পনির উদ্দিন আহমেদ জানান, নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে চিলমারীর মাটি কাটা মোড়ে গেলে চিলমারী উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী বীর বিক্রমের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের কর্মীরা আমার গাড়িতে হামলা চালায়। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাফর আলী নিজের পরাজয় বুঝতে পেরে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে একের পর এক এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে।