ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দাবি জাতিসংঘের

মিয়ানমার থেকে পনেরো হাজার লোক চীনে পালিয়ে গেছে

প্রকাশিত: ০৫:২০, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমার থেকে পনেরো হাজার লোক চীনে পালিয়ে গেছে

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সংঘর্ষ অব্যাহত থাকায় ১৫ হাজার লোক গত মাসে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে চীনে প্রবেশ করেছে বলে জাতিসংঘ জানিয়েছে। মিয়ানমারে জাতিসংঘ দফতরের মুখপাত্র পিয়েরে পেরন ইমেইল বার্তায় কোঅর্ডিনেশন অব হিউম্যানিটেরিয়ান এ্যাফেয়ার্সকে (ওসিএইচএ) জানান, উত্তরাঞ্চলীয় কাচিন ও শান রাজ্যের ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। কোন উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। খবর আল জাজিরার। ওসিএইচএ জানায়, সোমবার হালনাগাদ করা সর্বশেষ খবরের এক হিসেবে দেখা গেছে ১৫হাজার লোক নতুন করে উদ্বাস্তু হয়েছে। ২০ নবেম্বর থেকে উত্তরাঞ্চলীয় শান প্রদেশে অপর দু’হাজার চার শ’ লোক ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। চার বিদ্রোহী জোটবদ্ধ হয়ে সামরিক ও পুলিশ ফাঁড়িতে আক্রমণ চালানোর পর থেকে সেখানে সংঘাতময় পরিবেশ বিরাজ করছে। নৌকা করে মিয়ানমার থেকে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে একটি নৌকা ডুবে গেছে। মিয়ানমার সরকার ইতোমধ্যে সেদেশের নাগরিকদের মালয়েশিয়ায় কাজ করতে যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাত ও নতুন করে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন মিয়ানমারের নেত্রী আউং সান সুচির পাহাড়ী সীমান্ত এলাকায় দীর্ঘদিনের সংঘাত অবসান করে সেখানে শান্তি স্থাপন করার প্রত্যাশাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। জাতিসংঘের ৩০ নবেম্বরের বিবৃতির প্রতি একমত পোষণ করে এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল রবিবার জানিয়েছে, পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে অধিকাংশ সংখ্যালঘুর ওপর মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে। পেরন জানান, গত কয়েক বছরের যেকোন সময়ের চেয়ে সংঘাতময় কাচিন ও শান প্রদেশের বর্তমান মানবিক বিপর্যয় সবচেয়ে প্রকট রূপ নিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর ও অন্যান্য সংঘাতময় এলাকার লোকজনের ওপর এর প্রভাব পড়েছে। যারা হাজার হাজার গৃহহীন লোককে জীবনরক্ষাকারী সহায়তা দিচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত মাসে উত্তরাঞ্চলীয় শান রাজ্যে সরকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীর অন্তত ১৭০বার সংঘর্ষ হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, সরকারী বাহিনী শনিবার চীন সীমান্তের লাইজা এলাকার একটি কৌশলগত পাহাড় নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এর খুব কাছেই কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্ট আর্মির সদর দফতর অবস্থিত। ওসিএইচএ জানায়, রবিবার লাইজার বাইরে থেকে বাস্তুচ্যুত লোকদের একটি শিবিরের কাছে শেল নিক্ষেপ করার খবর পাওয়া গেছে। যদিও এর সত্যতা স্বাধীনভাবে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। এতে আরও বলা হয়, কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও উদ্বাস্তু শিবিরের ক্ষতি হয় ও প্রায় চার শ’ লোককে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়।
×