ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ সেলিম মিয়া

হারানো ভূমির জন্য শোক

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

হারানো ভূমির জন্য শোক

প্রতি বছরের মতো সফলতা-ব্যর্থতার, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে বিদায় হচ্ছে ২০১৬ বছরটি। মানুষের স্বপ্ন ও প্রত্যাশার শেষ নেই। তবে সব স্বপ্ন ও প্রত্যশা পূরণ না হলেও জাতীয় জীবনে কিছু চাওয়া পাওয়া পূরণ হওয়া আবশ্যক। এজন্য চাই সততা, আন্তরিকতা যথাযথ শ্রম ও চেষ্টা। তুলনামূলকভাবে ২০১৬ সালে অনেক সফলতা অর্জিত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস দমন, ১৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত উৎপাদন, যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বৈদেশিক সম্পর্ক, প্রবৃদ্ধি ও প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন উল্লেখযোগ্য। যার সুপ্রভাব জাতীয় জীবনে, সমাজ জীবনে ও রাষ্ট্রীয় জীবনে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ধারা বজায় রাখতে চাই সদিচ্ছা ও যুগোপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ। আমাদের দেশের সকল উন্নয়ন ও অর্জনের উৎস হচ্ছে ভূমি ও কৃষি। সম্প্রতি মহামান্য রাষ্ট্রপতি বলেছেন, কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে, দেশ বাঁচলে আমরা বাঁচব। মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, কৃষিতে এগোতে না পারলে দেশের উন্নতি হতো না। তাই কৃষক ও কৃষি বাঁচার জন্য চাই ভূমি সেক্টরের স্বচ্ছতা। সম্প্রতি জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয় বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের জন্য চাষযোগ্য জমি রয়েছে মাত্র ৮০ লাখ ৩০ হাজার হেক্টর। মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) এর গবেষণা রিপোর্ট মতে, এ বছরেও চট্টগ্রাম বিভাগে-১৭৯৬৮ হেক্টর, রাজশাহী বিভাগে-১৫৯৪৫ হেক্টর, ঢাকা বিভাগে-১৫১৩১ হেক্টর, খুলনা বিভাগে-১১০৯৬ হেক্টর, রংপুর বিভাগে-৮৭৮১ হেক্টর, বরিশাল বিভাগে-৬৬৬১ হেক্টর, মোট ৭৫৫৮২ হেক্টর কৃষি জমি অকৃষি জমিতে পড়ে আছে। আমাদের এসব সমস্যা সমাধানের মধ্য দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে হবে। এজন্য সর্বাগ্রে ভূমি সমস্যা সমাধান করা এবং ভূমি সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে কৃষি জমি সুরক্ষা ও কৃষকের নিরাপত্তা বিধান করা আবশ্যক। সুন্দরগঞ্জ পৌরশহর, গাইবান্ধা থেকে
×