ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রপতি মহামান্য, নামমাত্র নন -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ২২ ডিসেম্বর ২০১৬

রাষ্ট্রপতি মহামান্য, নামমাত্র নন -স্বদেশ রায়

১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা তখন তরুণ প্রধানমন্ত্রী। তাছাড়া সরকার গঠন করেছেন কয়েকদিন মাত্র। এর ভেতর তিনি কোন একটা দেশ সফর করেন। তখনও পর্যন্ত রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাস। তিনি শুধু বিএনপির সংসদীয় দল দ্বারা নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি নন, ’৭১ এর শান্তি কমিটির চেয়ারম্যানও। কিন্তু শেখ হাসিনা ঘটালেন আশ্চর্য ঘটনা। তিনি বিদেশ সফর শেষে, তাঁর সফরের ফল জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে গেলেন দেশে ফেরার পরের দিনই বিকেলে। আমাদের শরীরেও তখন তরুণ রক্ত। যে কোন ঘটনায় আগে রিএ্যাক্ট করি, পরে ভেবে দেখি। তাই সঙ্গে সঙ্গে সচিত্র সন্ধানীর আড্ডায় বসে উচ্চ কণ্ঠে মত প্রকাশ করি, শেখ হাসিনা একটি বড় ক্ষতি করলেন। তাঁর এ কাজে হতাশ হবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। তিনি কেন শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতি আবদুর রহমান বিশ্বাসের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। কবি সাইয়িদ আতীকুল্লাহ ভাই রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র। তিনি তার স্বভাবসুলভ মৃদু গলায় বললেন, দেখ শেখ হাসিনা আর এখন শুধু একটি দলের নেত্রী নন, তিনি সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তাই সংবিধান তাকে যে নির্দেশ দিয়েছে সেটা তিনি পালন করবেনই। বলেই তিনি গাজী শাহাবুদ্দিন ভাইয়ের সেলফ থেকে সংবিধানটি নামিয়ে সংবিধানের ৪৮ এর (৫) দেখতে বললেন। সংবিধানটি হাতে নেয়ার আগেই তাঁকে আমি বলি, ভাই সংবিধানে আছে ঠিকই যে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রীয় ও পররাষ্ট্র নীতি সংক্রান্ত বিষয়াদি রাষ্ট্রপতিকে জানাবেন। কিন্তু তিনি তো কয়েকদিন দেরি করতে পারতেন। আবদুর রহমান বিশ্বাস চলে গেলেই তো কাজটি করতে পারতেন। আতীকুল্লাহ ভাই আমার আবেগ বুঝলেন, তারপরে শান্ত গলায় তিনি বললেন, দেখ খালেদার থেকে অনেক বড় রাষ্ট্রনায়ক হবেন শেখ হাসিনা। কারণ, খালেদা একটাও বিদেশ সফর শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেননি। আর শেখ হাসিনা তাঁর প্রথম বিদেশ সফর থেকে ফিরে পরের দিনই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। তিনি মোটেই প্রাধান্য দেননি, এই রাষ্ট্রপতি খালেদার সংসদ দ্বারা নির্বাচিত, এই রাষ্ট্রপতি ’৭১ সালে কোথায় ছিলেন? তিনি শুধুই প্রাধান্য দিয়েছেন, সংবিধান তাঁকে কি নির্দেশ দিয়েছে। তারপরে আতীকুল্লাহ ভাই আরও বললেন, দেখ রাষ্ট্রের কোন সাংবিধানিক পদে বসে সংবিধানকে যত মান্য করবে ওই ব্যক্তি তত যোগ্য এবং ভবিষ্যতে তিনি তত বড় হবেন। তিনি বললেন, দেখ রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান, তাকে মান্য করার দায়িত্ব শুধু সাংবিধানিক নয়, নাগরিক হিসেবে এটা কর্তব্যও। বাস্তবে রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রধান, তাকে কোনরূপ অমান্য করা আমাদের সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রদ্রোহ। আমাদের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৭ অর্থাৎ সংবিধানের সুপ্রীমিসি বা প্রাধান্য (যা কখনই বদলানো যাবে না) সেখানে ৭ এর (খ) এ স্পষ্ট বলা আছে- এই সংবিধানের কোন বিধানের প্রতি আস্থা, বিশ্বাস বা প্রত্যয় পরাহত করলে সেটা রাষ্ট্রদ্রোহ। আমাদের রাষ্ট্রের দুর্ভাগ্য হলো, সংবিধানবহির্ভূতভাবে যারা বুটের জোরে রাষ্ট্রপতি হন, তাদের সকলে মানেন। কারণ, আমাদের সমাজের কিছু মানুষের কোথায় একটা সমস্যা আছে, তারা সম্মানিত হতে খুব বেশি পছন্দ করেন না। লাথি খেতে ভালবাসেন। যে কারণে এখনও পারলে পাকিস্তানীদের বুট একটু জিহ্বা দিয়ে ছোট প্রাণীটির মতো চেটে দেন। তাই দেখতে পাই, এরশাদের কম্প্রোমাইজ ক্যান্ডিডেট হিসেবে প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন বিচারপতি সাহাবুদ্দীন। অনেক জল গড়ানোর পর তাকে যখন শেখ হাসিনা সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে রাষ্ট্রপতি করলেন তখন তাঁর আচরণ সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি রাষ্ট্রপতির পদে থাকা অবস্থায় বললেন, রাষ্ট্রপতির শপথ পড়ানো ও জানাজা পড়ানো ছাড়া কোন ক্ষমতা নেই। তাদের মতো মানুষের মুখ থেকে যখন এ ধরনের কথা বের হয়, তখন আমজনতা তো সেটাই সত্য মনে করে। কিন্তু বাস্তবে কি সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এতই ক্ষমতাহীন? মোটেই নয়। আমাদের সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে লিখিতভাবে অনেক ক্ষমতা দিয়েছে। আর অলিখিতভাবে যা তা হলো, রাষ্ট্রকে স্বীকার করলে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক প্রধানকে মানতে হবে। যদি কেউ তা না মানে তাহলে ধরেই নিতে হবে তিনি এই রাষ্ট্রকে মানেন না। তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী। তবে বাস্তবতা হলো, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহী কিন্তু রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা সম্পর্কে তো সাধারণ মানুষের ভুল ধারণা জন্মাবে। তাই সকলেই জানেন ঠিকই, তারপরেও সংবিধানে লিখিতভাবে রাষ্ট্রপতিকে কী কী ক্ষমতা দেয়া আছে তার চুম্বক অংশ তুলে ধরা প্রয়োজন মনে করছি এ কারণে যে, কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আমাদের কোন তরুণ যেন মনে না করে বসে রাষ্ট্রপতি ‘নামমাত্র’। যিনি মহামান্য, তাকে নামমাত্র মনে করা কোন নাগরিকের কত বড় নৈতিক স্খলনের বিষয় তা কিন্তু ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। যাহোক, আমাদের সংবিধানের ভাষা বাংলা ও ইংরেজী। তাই কোন পাঠকের কাছে আমাদের সংবিধান দুর্বোধ্য কিছু নয়। তবে দুর্ভাগ্য হলো, আমেরিকার মতো আমরা এখনও সংবিধানকে স্কুলপাঠ্য করতে পারিনি। স্কুলপাঠ্য থাকলে এই চুম্বক অংশ তুলে ধরার প্রয়োজন পড়ত না। আমাদের সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদ কিন্তু বলে দেয়, এ দেশে যে বিচারকই যে বিচার করুন না কেন, বাস্তবে সর্বোচ্চ বিচারক রাষ্ট্রপতি। সংবিধানের ৪৯ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোন আদালত, ট্রাইব্যুনাল বা অন্য কোন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত যে কোন দ-ের মার্জনা, বিলম্বন ও বিরাম মঞ্জুর করিবার এবং যে কোন দ- মওকুফ, স্থগিত বা হ্রাস করিবার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতির থাকিবে। এমনকি সংবিধানের ৯৫ এর (১) দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি এককভাবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করিতে পারিবেন। আবার রাষ্ট্রপতি এককভাবেই প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করে অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করিতে পারিবেন। এ ক্ষমতাও সংবিধান রাষ্ট্রপতিকে দিয়েছে। যা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৭-এ বলা হয়েছে। প্রধান বিচারপতির পদ শূন্য হইলে কিংবা অনুপস্থিতি, অসুস্থতা বা অন্য কোন কারণে প্রধান বিচারপতি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনক প্রতীয়মান হইলে ক্ষেত্রমত অন্য কোন ব্যক্তি অনুরূপ পদে যোগদান না করা পর্যন্ত কিংবা বিচারপতি স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত আপীল বিভাগের অন্যান্য বিচারকের মধ্যে যিনি কর্মে প্রবীণতম, তিনি অনুরূপ কার্যভার পালন করিবেন।’ অনুচ্ছেদ ৯৭ একটু ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করার ক্ষমতা রাষ্ট্রপতি এককভাবে রাখেন। কারণ, ৯৭ অনুচ্ছেদে বলা হচ্ছে, ‘...অন্য কোন কারণে প্রধান বিচারপতি তাহার দায়িত্ব পালনে অসমর্থ বলিয়া রাষ্ট্রপতির নিকট সন্তোষজনকভাবে প্রতীয়মান হইলে,’ অর্থাৎ রাষ্ট্রপতি যদি কোন প্রধান বিচারপতির কার্যক্রম দেখে মনে করেন তিনি এই কার্য চালাতে অসমর্থ - তিনি তখনই অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করতে পারেন। এ ছাড়া আমাদের সংবিধানের ৪৮ এর (৩) এবং তার শর্ত থেকে স্পষ্ট হয়, রাষ্ট্রপতির কোন কাজকে কোন আদালত প্রশ্ন করতে পারবে না। সংবিধানের ৪৮ এর (৩) এর শর্ত তে বলা হয়েছে, ‘তবে শর্ত থাকে যে, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রপতিকে আদৌ কোন পরামর্শদান করিয়াছেন কি না এবং করিয়া থাকিলে কি পরামর্শ দান করিয়াছেন, কোন আদালত সেই সম্পর্কে কোন প্রশ্নের তদন্ত করিতে পারিবেন না।’ তাই রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দেয়ার এখতিয়ার একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর। তিনি রাষ্ট্রপতিকে ভুল বুঝিয়েছেন কি সঠিক বুঝিয়েছেন এ নিয়ে আদালতের কোন প্রশ্ন করার অধিকার সংবিধানের ৪৮ এর শর্ত অনুযায়ী নেই। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রে আদালতের উর্ধে এই ক্ষমতা ভোগ করেন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে। আবার সংবিধানের ১১৫ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, বিচার বিভাগীয় পদে বা বিচার বিভাগীয় দায়িত্বপালনকারী ম্যাজিস্ট্রেট পদে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক উক্ত উদ্দেশ্যে প্রণীত বিধিসমূহ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি নিয়োগদান করিবেন। ১১৬ মূলত এই কাজেরই অংশ সেখানে বলা হয়েছে, ‘বিচার-কর্মবিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিদের এবং বিচার বিভাগীয় দায়িত্ব পালনের ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ (কর্মস্থল-নির্ধারণ, পদোন্নতিদান ও ছুটি মঞ্জুরসহ ও শৃঙ্খলাবিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত থাকিবে এবং সুপ্রীমকোর্টের সহিত পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক তাহা প্রযুক্ত হবে।) বিচার বিভাগের এমনি সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব যেমন রাষ্ট্রপতির ওপর তেমনি গণতান্ত্রিক সরকার গঠনের যে অন্যতম উপায় নির্বাচন ওই নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয় তারও কিন্তু একক দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর। গত কিছুদিন যাবত আমাদের টেলিভিশনে এনজিও মার্কা কিছু লোকজন নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে নানা কথা বলছেন। তারা যে সংবিধানের গাইড লাইন জানেন না এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। অধিকাংশ এনজিও কোন না কোন উদ্দেশ্য ও ব্যক্তি স্বার্থ থেকে এ কথা বলে। কারণ, নির্বাচন কমিশন ঘিরে নির্বাচনকালীন তাদের বড় একটা আয় আছে। যে কারণে এনজিও মার্কা কোন লোককে তারা নির্বাচন কমিশনার হিসেবে চায়। অথচ আমাদের সংবিধানের গাইড লাইন অনুযায়ী এই ক্ষমতা একক রাষ্ট্রপতির। সংবিধানের ১১৮ (১) এ বলা হয়েছে ‘... আইনের বিধানবলী সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’ অন্যদিকে রাষ্ট্রের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হিসাবরক্ষণ- এ কাজও রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ক্রমেই হয়। তাঁর কাছেই সেটা পেশ করতে হয়। সংবিধানের ১৩১ ও ১৩২ এ সে নির্দেশনামা আছে। সংবিধানের ১৩৩ অনুযায়ী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা রাষ্ট্রপতি প্রণীত বিধি দ্বারাই নিযুক্ত। সকলের মনে থাকার কথা ১৯৯৬ সালে জনতার মঞ্চ প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরে ওই মঞ্চে যোগদানের আগে তৎকালীন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের মুখপাত্র হিসেবে ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর রাষ্ট্রপতির কাছেই গিয়েছিলেন। কারণ, তাদের দাবি ছিল তারা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী অতএব তারা রাষ্ট্রপতির অধীন, কোন অবৈধ সরকারের অধীন নয়। সর্বোপরি, দেশে আপৎকালীন জরুরী অবস্থা ঘোষণার ক্ষমতা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর অনুস্বাক্ষরিত হলেও সেটা রাষ্ট্রপতির। তাই রাষ্ট্রে বাস করে রাষ্ট্রপতিকে ক্ষমতাহীন বলে হেয় করা শুধু অবুঝ বালকের কাজ নয়, এটা রাষ্ট্রদ্রোহী। কিন্তু এ দেশের দুর্ভাগ্য হলো- অর্ধশিক্ষিত, গোত্রবন্দী মানুষের কথা বাদ দিলেও বিচারপতি সাহাবুদ্দীনও রাষ্ট্রপতি থাকা অবস্থায় এই পদকে তাচ্ছিল্য করেছেন জাতির সামনে- যা এখনও হচ্ছে। আসলে জাতি হিসেবে আমাদের দুর্ভাগ্য না কোন ব্যক্তির অযোগ্যতা ঠিক বুঝতে পারি না। তবে সাধারণ মানুষকে এ নিয়ে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। মানুষ সঠিকই বোঝে। তার উদাহরণ, সম্প্রতি রাষ্ট্রপতিকে হেয় করে দেয়া বক্তব্য প্রেসে এলে এক সিনিয়র মন্ত্রীকে প্রশ্ন করেছিলাম, এগুলো কী হচ্ছে? তিনি উত্তর দিলেন, আমাদের রাষ্ট্রপতি, আমাদের হামিদ ভাই টানা সাতবার সংসদ সদস্য, যারা বলছেন তারা কি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার হওয়ার যোগ্যতা রাখেন? জনগণ কি তাদের সেই সুযোগ দেবে? তবে শেষ পর্যন্ত জনগণ ভুল করে না, তাঁরা সংবিধানও লঙ্ঘন করে না। এ সকল কাজ করে সুবিধাবাদীরা। [email protected]
×