ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

টিআইবির রিপোর্ট দুরভিসন্ধিমূলক ॥ ইউজিসি

প্রকাশিত: ০৮:২৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

টিআইবির রিপোর্ট দুরভিসন্ধিমূলক ॥ ইউজিসি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) অসত্য, উদ্ভট প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রতিবাদলিপিতে ইউজিসি বলেছে, একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সুনাম, ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করে টিআইবি নিজেই নিজ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন টিআইবির এহেন কর্মকা-ের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) গত ১৮/১২/২০১৬ তারিখে ‘সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগ : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। উক্ত গবেষণা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দেশের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া সংবাদ প্রকাশ করেছে। কতিপয় সংবাদপত্র প্রভাষক নিয়োগে অনিয়ম/দুর্নীতির ক্ষেত্রে ইউজিসিকে জড়িয়ে যে সংবাদ পরিবেশন করেছে তাতে ইউজিসির মতো একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণœ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে টিআইবি তাদের গবেষণা প্রতিবেদনের এক কপি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর প্রেরণ করেছে। প্রতিবেদনের শেষ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রভাষক নিয়োগে তাদের (মঞ্জুরি কমিশনের) তেমন কোন ভূমিকা নেই।’ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ আইন দ্বারা পরিচালিত। সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনী কাঠামোতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিষয়টি স্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকে। মঞ্জুরি কমিশন (তার নিজস্ব জনবল নিয়োগ ব্যতীত) কোন বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ প্রক্রিয়ার সঙ্গে কোনভাবেই জড়িত থাকে না। কাজেই উক্ত অনিয়মের সঙ্গে বাইরের অংশীজনের মধ্যে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের কর্মকর্তার কোনভাবেই জড়িত থাকার সুযোগ নেই। তাহলে কিভাবে ইউজিসি সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক নিয়োগের অনিয়মের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট? টিআইবির প্রতিবেদনটি যে স্ববিরোধী এবং ভিত্তিহীন তা প্রমাণের জন্য তাদের প্রতিবেদনই যথেষ্ট। ইউজিসি আরও বলেছে, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন দেশের উচ্চশিক্ষা দেখভালের একমাত্র বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ এবং সরকারের পরামর্শক্রমে উচ্চশিক্ষার প্রসার ও উচ্চশিক্ষার গুণগতমান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। টিআইবি কী কারণে এবং কী উদ্দেশ্যে মঞ্জুরি কমিশনের মতো একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানকে জড়িয়ে এহেন উদ্ভট, মনগড়া, কাল্পনিক ও স্ববিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা ইউজিসির কাছে বোধগম্য নয়। একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের সুনাম, ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার দুরভিসন্ধিমূলক কাজ করে টিআইবি নিজেই নিজ প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
×