ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার ॥ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস

প্রকাশিত: ০৫:৫৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

সরকারী বিলে বাঁধ দিয়ে মাছ শিকার ॥ জীববৈচিত্র্য ধ্বংস

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা, ২০ ডিসেম্বর ॥ সাঁথিয়া উপজেলার বিলগাংহাটি ও কুমিরগাড়ি বিলে লিজকৃত সরকারী জলকরে মাটির বাঁধ দিয়ে পানি সেচে মাছ শিকার করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন মাছের পোনাসহ জলজ প্রাণী ধ্বংস করা হচ্ছে, তেমনি বিলপাড়ের কৃষকদের পানি সেচের মাধ্যমে ফসল চাষে নানা বিড়ম্বনার সৃষ্টি হচ্ছে। এ নিয়ে বিলপাড়ের সাধারণ কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। ভুক্তভোগীরা এ ব্যাপারে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দফতরে অভিযোগ পাঠিয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার আতাইকুলা ইউনিয়নের ৬৮ একর আয়তনের সরকারী এ বিলটি বিলকুলা মৎসজীবী সমবায় সমিতি ইজারা নেয়। ইজারাদাররা এ বিলের মাঝামাঝি ৬টি স্থানে মাটির বাঁধ দিয়ে বিলকে পুকুরে রূপান্তর করে। বর্তমানে এ পুকুরের পানি স্যালো মেশিন দিয়ে সেচে মাছ ধরা হচ্ছে। সরকারী ইজারার নিয়ম ভঙ্গ করে প্রাকৃতিক বিলের রূপ পরিবর্তন ও পানি শুকিয়ে মাছ শিকারের কারণে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা নিধনসহ জীববৈচিত্র্য ধংস করা হচ্ছে। বিলের আকার পরিবর্তন করে পুকুর করায় সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছে বিলপাড়ের ইসলামপুর গ্রামবাসী। ইজারাদাররা বিলের পুকুরে গন্ধযুক্ত পচা পদার্থ মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করায় পানি দুর্গন্ধ হয়ে পড়ায় সাধারণ মানুষ এ পানি ব্যবহার করতে পারছে না। যদিও এ বিলের পানিই কৃষকদের গরু-মহিষ গোসল করানোর একমাত্র অবলম্বন। শুধু তাই নয়, বিলপাড়ের শত শত কৃষক পানি সেচের মাধ্যমে রবিশস্যসহ পেঁয়াজ, ইরি-বোরো ধান আবাদ করে থাকে। এ বিলের পানি মেশিন দিয়ে সেচে মাছ শিকারের কারণে কৃষকদের ফসল চাষে মারাত্মক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়তে হচ্ছে বলে কৃষকরা অভিযোগ তুলেছে। এ নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হলেও প্রভাবশালী ইজারা গ্রহণকারীদের ভয়ে কেউ প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করতে পারছে না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিলকুলা মৎসজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল ওহাব শেখের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
×