ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

পরিকল্পিত হত্যা

রাজধানীতে নিখোঁজ ভার্সিটি ছাত্রের লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

রাজধানীতে নিখোঁজ ভার্সিটি ছাত্রের লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর ভাটারায় নিখোঁজ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃতদেহ পাওয়া গেছে বারিধারার এক নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাঙ্কে। তিনদিন পর সোমবার রাত ১২টার দিকে পুলিশ বারিধারা ‘জে’ ব্লকের ৩ নম্বর রোডের একটি নির্মাণাধীন ভবনের পানির ট্যাঙ্ক থেকে কফিল চন্দ্র বাড়ৈ (২০) নামে ওই ছাত্রের লাশ উদ্ধার করেন পুলিশ। পুলিশ জানায়, তার লাশটি কোমরে তার পেঁচানো বালুর বস্তায় বাঁধা ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। জানা গেছে, নিহত কফিল ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল আইটি একাডেমির কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্র। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়ায়। ভাটারা থানার ওসি নুরুল মুত্তাকিম জানান, কফিলের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কোমরের বেল্টের সঙ্গে তার পেঁচিয়ে বালুর বস্তা বেঁধে রিজার্ভ ট্যাঙ্কের পানিতে ফেলে দেয়া হয়েছে। ওসি জানান, সোমবার গভীররাতে রিজার্ভ ট্যাঙ্কের ভেতরে লাশ দেখে ওই ভবনের শ্রমিকরা থানায় খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে। প্রথমে লাশটি অজ্ঞাত ছিল। তার পরনে ছিল নীল কালো রঙের ফতুয়া ও জিন্স প্যান্ট। ওসি নূরুল মুত্তাকিম জানান, মঙ্গলবার বিকেলে নিহতের বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে এসে ছেলে কফিলের লাশ শনাক্ত করেন। ওসি জানান, কফিলের পরিবার গোপালগঞ্জে থাকে। আর কফিল ভাটারা কালি মন্দির এলাকার একটি মেসে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। তার খোঁজ না পেয়ে তার বাবা ভরত চন্দ্র বাড়ৈ গত ১৮ ডিসেম্বর ভাটারা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। তবে কোন জায়গা থেকে কিভাবে কফিল নিখোঁজ হলেন। সে বিষয়ে কেউ বলতে পারেননি। তার লাশ উদ্ধারের পর তদন্ত শুরু হয়েছে। অচিরেই হত্যাকারীদের ধরা যাবে বলে ওসি আশা প্রকাশ করেন। নিহতের ভাই প্রণব চন্দ্র বাড়ৈই জানান, কফিল ভাটারা কালিমন্দিরের পাশের একটি বাসায় থাকতেন। গত ১৬ ডিসেম্বর তার সঙ্গে শেষ কথা হয়। এরপর তাকে আর কল দিয়ে পাওয়া যায়নি। পরে রবিবার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। তিনি জানান, জিডি করার আগে ওইদিন কফিলের মোবাইল নম্বর থেকে এসএমএস করে তাকে মারধর করবে না বলে ৪০ হাজার টাকা দাবি করা হয়। পরে তারা দিতে রাজি হলে ৩৫ লাখ টাকা দাবি করে। ভাটারা থানার উপ-পরিদর্শক জিয়াউর রহমান জানান, কফিল চন্দ্র বাড়ৈর মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে বেল্টের সঙ্গে বালুর বস্তা বেঁধে ওই রিজার্ভ পানির ট্যাঙ্কের মধ্যে ফেলে দেয়। এসআই জিয়াউর রহমান জানান, মঙ্গলবার ভোরের দিকে কফিল তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। বিকেলে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
×