ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিজয় দিবস হ্যান্ডবল;###;বিজেএমসির চার ও আনসারের এক মহিলা খেলোয়াড় বহিষ্কৃত হবার ঘটনায় তোলপাড়

বিজেএমসির টানা দ্বিতীয় পুলিশের প্রথম শিরোপা

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

বিজেএমসির টানা দ্বিতীয় পুলিশের প্রথম শিরোপা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ‘নিয়াজ-উদয়ন বিল্ডার্স বিজয় দিবস হ্যান্ডবল প্রতিযোগিতা’ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার। ঢাকার পল্টনের শহীদ (ক্যাপ্টেন) এম মুনসুর আলী জাতীয় হ্যান্ডবল স্টেডিয়ামে মহিলা বিভাগে বিজেএমসি ২৪-১৪ গোলে বাংলাদেশ আনসার মহিলা দলকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে ১১-৬ গোলে এগিয়ে ছিল। এছাড়া পুরুষ বিভাগের ফাইনালে বাংলাদেশ পুলিশ হ্যান্ডবল ক্লাব ৩৫-২৭ গোলে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডকে হারিয়ে শিরোপা জেতে। বিজয়ী দল প্রথমার্ধে ১৭-১৮ গোলে পিছিয়ে ছিল। টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার পান পুরুষ বিভাগে পুলিশ দলের আব্দুল গফুর এবং মহিলা বিভাগে বিজেএমসির রূপা হাবিবা। উল্লেখ্য, এই টুর্নামেন্টে বিজেএমসি টানা দু’বার চ্যাম্পিয়ন হলো। এর আগে তারা ২০১৪ সালেও শিরোপা জেতে (২০১৫ সালে কোন খেলা হয়নি)। পক্ষান্তরে পুরুষ বিভাগে এটা পুলিশের প্রথম শিরোপা। এর আগে ২০১৪ আসরে তারা এই বর্ডার গার্ডের কাছেই হেরে রানার্সআপ হয়েছিল। মঙ্গলবার যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী ও বিজিত দলকে পুরস্কৃত করেন। ফাইনালের আগে একটি অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার জেরে মহিলা বিভাগের ফাইনাল প- হতে বসেছিল। গত অক্টোবরে বিজেএমসি দলের চার মহিলা খেলোয়াড় সুশীলা মিনোজ, ফাল্গুনী বিশ^াস, সুমী বেগম, শিরিনা আক্তার নিয়ম বহির্ভূতভাবে বাংলাদেশ আনসারে যোগ দেন। তাদের আনসারের সদর দফতরে নিয়ে যান আনসারের আরেক খেলোয়াড় ইসমত আরা নিশি। সেখানে আনসারের হয়ে চাকরি করার জন্য ওই চারজন স্বাক্ষর করেন। বিজেএমসি বিষয়টি জানতে পেরে হ্যান্ডবল ফেডারেশনের কাছে লিখিত আবেদন করে গত ১৫ অক্টোবর। কিন্তু ফেডারেশন সাফ জানিয়ে দেয়, এই সমস্যার সমাধান করা তাদের কাজ নয়। সে সময় বিজয় দিবস হ্যান্ডবল টুর্নামেন্টের কথা মাথায় রেখে বিজেএমসি ওই চার খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এবারের বিজয় দিবস হ্যান্ডবলে ওই চার খেলোয়াড়ই খেলেন সেমিফাইনাল পর্যন্ত। এছাড়া আনসারের নিশিও তাই। এদিকে এই টুর্নামেন্টের কমিটি জানিয়ে দেয় ওই পাঁচ খেলোয়াড় ফাইনালে খেলতে পারবেন না। তাদের নিষিদ্ধ করা হয়েছে। চার খেলোয়াড়কে হারিয়েও বিজেএমসি ঠিকই ফাইনালে শিরোপা জেতে। তবে খেলার শুরুতেই বিজেএমসির তারকা খেলোয়াড় মারাত্মক আহত হয়ে সাইড বেঞ্চে চলে যান। তিনি আর বাকি সময়টায় খেলতে পারেননি। তিনি জনকণ্ঠকে জানান, ‘আমাকে ফাউল করা হয়েছে। রেফারি বাঁশি দিয়ে খেলা থামিয়ে দিয়েছেন। তারপরও আনসারের হ্যাপি এবং ময়না দু’জনে মিলে আমার ডান হাতের কব্জি ভীষণভাবে মুচড়ে দেয়। বলতে গেলে পুরো কব্জিটাই ঘুরে যায়। খেলা তো দূরের কথা, বলই ডান হাত দিয়ে স্পর্শ পর্যন্ত করতে পারছিলাম না। ভীষণভাবে ফুলে যায় এবং তীব্র ব্যথা করছে। এখন কব্জি এক্স-রে করতে হবে। জানি না রিপোর্টে কি আসবে। এত বছর ধরে হ্যান্ডবল খেলছি, কিন্তু এরকম সিরিয়াস ব্যথা কখনই পাইনি।’ ডালিয়া আরও যোগ করেন, ‘আমাদের দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, এতে আমি ভীষণ খুশি। তবে আক্ষেপও হয়েছে দলের বিজয়ে অবদান রাখতে না পারায়।
×