ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাসিক নির্বাচন

রাত পোহালেই ভোট ॥ বিশৃঙ্খলা হলে গুলি

প্রকাশিত: ০৫:৪০, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

রাত পোহালেই ভোট ॥ বিশৃঙ্খলা হলে গুলি

আরাফাত মুন্না/ মোঃ খলিলুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ থেকে ॥ উৎসাহ-উদ্দীপনার এবং উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের প্রচার অভিযান। রাত পোহালেই শুরু হবে ভোট গ্রহণ। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট দিবেন পৌনে ৫ লাখ ভোটার। প্রচারের শেষ দিন মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা পরিণত হয়েছিল মিছিলের নগরীতে। এদিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ বজায় রাখতে ভোট কেন্দ্রে যে কোন বিশৃঙ্খলা হলে গুলি করার নির্দেশ দিয়েছে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি। নির্বাচনী পরিবেশ সম্পূর্ণ স্বাভাবিক আছে জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার নুরুজ্জামান তালুকদার ভোটারদের নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানান। প্রচারের শেষ দিনেও ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন প্রার্থীরা। নির্বাচনী পরিবেশ সুষ্ঠু আছে আশস্ত করে ভোটারদের কেন্দ্রে গিয়ে ভোট প্রদান করতে অনুরোধ আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী। নির্বাচনী পরিবেশ স্বাভাবিক আছে আইভী এমন মনে করলেও শেষদিনেও আবার সেনা মোতায়েনের কথা বলেছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান। প্রচারের শেষ দিনে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী নিজ ওয়ার্ড (১৬ নম্বর) এবং ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। সকাল থেকে দুপুর অবধি ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দেওভোগ, বাবুরাইল, বেপারিপাড়া, পাক্কা রোড এলাকায় ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়েছেন। পরে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের নিতাইগঞ্জ, শীতলক্ষ্যা, সুকুমপট্টি, আলামিন নগর, সৈয়দপুর এলাকায় গণসংযোগ করেছেন। এ সময় আইভী সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে আছে এবং তাদের প্রতি আমি আবারও আহ্বান জানাব তারা যেন আরও কঠোর অবস্থানে থাকে। নারায়ণগঞ্জের মানুষ নির্বিঘেœ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে। শামীম ওসমানের ভূমিকা সম্পর্কে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, নির্বাচনে তার ভূমিকা কখনও নেগেটিভ ছিল না, নির্বাচনে তিনি সব সময়ই পজিটিভ। উনি তো দলের একজন নেতা। সুতরাং উনি সবসময়ই পজিটিভ ছিলেন এবং থাকবেন। গতবার এবং এবারের নির্বাচনী মাঠ কেমন দেখছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, আমি তো কোন পার্থক্য দেখছি না। গতবার আমি যখন, যেখানে গিয়েছি এরকমই সাড়া পেয়েছি। বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেনের অভিযোগ সম্পর্কে আইভী বলেন, উনার অভিযোগ একেবারেই সঠিক নয়। উনাকে আমি নিজে বলেছি, যদি কোথাও কেউ আপনার সঙ্গে অথবা আপনার নেতাকর্মীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে থাকে তাহলে আমাকে নিজে যেন ফোন করেন। তার সঙ্গে তো আমার ভাল একটি সম্পর্ক আছে, এই শহরেরই তো আমরা। আমার মনে হয় না কোথায়ও তার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। উনি শুধু মিডিয়ার কাছে অভিযোগ করছেন। আইভী বলেন, আমি তাকে বলেছি, আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণের পেছনে যদি আমার ভাইও জড়িত থাকে তাহলে আমি তাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তুলে দেব। এরপর মানুষকে আর কি বলা যায়। আইভী আরও বলেন, আমি অবাধ, নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচন চাই। তৃণমূল থেকে উচ্চ পর্যায়ের সকল নেতাকর্মী আমার সঙ্গে আছে। নির্বাচনে বিজয়ী হলে আমি আমার চলমান কাজগুলো শেষ করব। আমার লেকের কাজ চলমান, শীতলক্ষ্যা সেতুর কাজ চলমান, নগর ভবনের কাজ চলমান, আমরা এশিয়ান এ্যাওয়ার্ড পেয়েছি বাবুরাইল খাল খননের জন্য, সেই খাল খননের কাজ প্রক্রিয়াধীন। এমন আরও অনেক খাল আছে, নদীর কাজ আছে এমনকি পুকুরের কাজও আছে, যেগুলোকে সবুজায়ন করা, খেলার মাঠ করে দেয়া, যুব সমাজ কি চায় সেদিকে মনোযোগ দেয়াসহ এক কথায় বলতে গেলে বলব, আমার উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখাই আমার লক্ষ্য। ডাঃ আইভী বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ যা বলতে চেয়েছে, যা দাবি করেছে তার সকল কিছুই আমাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনায় আছে। শর্ট টার্ম, মিড টার্ম এবং লং টার্মেও একটি পরিকল্পনা সিটি কর্পোরেশনের আগেই ছিল, আমি সেটা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আমার অবস্থান একই আছে। পৌরসভার মেয়র থাকাকলে আমি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলাম এখনও সেই অবস্থান থেকে সড়ে আসিনি। ভোটারদের প্রতি আমার আহ্বান থাকবে বিগত ১৬-১৭ দিন যে উৎসবের মধ্যে দিন কাটিয়েছেন, ভোটের দিনও সেই আমেজ বজায় রেখে ভোট কেন্দ্রে যাবেন এবং আপনার ভোট প্রদান করবেন। এদিকে মঙ্গলবার নির্বাচনী প্রচারের শেষ দিনে শাখাওয়াত হোসেন নগরীর ১৪ এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগ করেছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের উকিলপাড়া, গলাচিপা, নন্দীপাড়া, ভুইয়ারবাগ, দেওভোগ আখড়া এবং ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বৃহত্তর পাইকপাড়া, ভুইয়াপাড়া, বড় কবরস্থান, ছোট কবরস্থান এলাকায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে প্রচার চালিয়েছে। বিকেলে নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের মাসদাঈর, জামতলা, ইসদাঈর এলাকায় প্রচার চালান শাখাওয়াত। গণসংযোগকালে শাখাওয়াত সাংবাদিকদের বলেন, আমি অনেক অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু কোনটারই সুরাহা হয়নি। তারপরও নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, জনগণ ভোট কেন্দ্রে যাবেন সেই ব্যাপারে আমি আশাবাদী। নির্বাচন কমিশন এবং সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিবে সে ব্যাপারে আমি আশাবাদী। এখনও সময় আছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অবাধ করার জন্য সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সেনা মোতায়েন করবেন সেই দাবি জানাচ্ছি। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা নিয়েই এ নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করছি। এখানে যে নির্বাচনটা হচ্ছেÑ এই নির্বাচনের মাধ্যমে, মানুষের ভোটের অধিকার যা ইতিপূর্বে হরণ করা হয়েছিল, সেটা প্রতিষ্ঠার জন্যই আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি আরও বলেন, আজ ধানের শীষের পক্ষে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে, মানুষ একটা পরিবর্তনের পক্ষে তাদের রায় দিতে চায়। আশা করি ২২ তারিখে মানুষ সবাই ভোট কেন্দ্রে যাবে। সরকারী দলের প্রার্থী বিশেষ সুবিধা আদায়ের জন্য সে বিভিন্নভাবে কাজ করছে, আমি বলতে চাই সে অনেক আচরণবিধিও লঙ্ঘন করে সিটি কর্পোরেশনের সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কে নির্বাচনী কাজে নামিয়েছে। আমরা চাই নির্বাচনটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডে হোক। সেই ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে। আমরা সেই আশা পোষণ করি। আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে সাখাওয়াত বলেন, আমি কোন আচরণবিধি লঙ্ঘন করিনি। যদি করে থাকি তাহলে ডাঃ আইভী বলুক, উপরন্তু সে সরকারী দলের প্রভাব বিস্তার করে, তাদের লোকজনকে দিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে এবং আমার যে পোলিং এজেন্ট আছে, তারা যেন দায়িত্ব পালন না করে সেজন্য বিভিন্নভাবে পোলিং এজেন্টদের ওপর প্রভাব বিস্তার করছে। বন্দর এলাকায় ১৮-২০ ফিটের নৌকা টাঙানো হয়েছে। আমি ইতিপূর্বে অভিযোগ দিয়েছি, সেই অভিযোগ কিন্তু আমলে নেয়া হয়নি। বিভিন্ন স্থানে আমার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আমি নির্বাচন কমিশনে জানিয়েছি, সেই বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নেয়নি। ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলা হলে গুলিÑ ডিআইজি ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে বিশৃঙ্খলার চেষ্টা হলে গুলি চালানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান। মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর মাসদাইর পুলিশ লাইন এলাকায় নির্বাচনে দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যদের ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। ডিআইজি বলেন, আইনে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা ও আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর বিধান রয়েছে। নির্বাচনে কেউ ভোট কেন্দ্র দখল ও ব্যালট বাক্স ছিনতাই বা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘœ করার চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি ছুঁড়বে। যদি কোন পুলিশ সদস্য গুলি না ছুঁড়ে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচনের কমিশনের চাহিদার অতিরিক্ত ফোর্স দেয়া হয়েছে জানিয়ে ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, প্রয়োজন হলে আরও দেয়া হবে। তিনি বলেন, কে সরকারী দল বা কে বিরোধী দল এটা দেখার সময় নেই। সুষ্ঠু নির্বাচন ও নাগরিকদের নিরাপত্তা ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সকল পদক্ষেপ নেবে। যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখানে আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই মন্তব্য করে নুরুজ্জামান বলেন, পুলিশ সদস্যদের বলা হয়েছে, কারও সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে সকলকে সম্মান দিয়ে কাজ করুন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়ণঞ্জের পুলিশ সুপার মইনুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ফারুক হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরফুদ্দিন। নির্বিঘেœ ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার আশ্বাস রিটার্নিং অফিসারের ॥ নির্বাচন ঘিরে নগরে সাড়ে ৯ হাজার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার। তিনি জানান, এত বড় নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেদ করে কোন অপরাধীই কোন কর্মকা- চালাতে পারবে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলির দাবি সম্পর্কে নুরুজ্জামান তালুকদার বলেন এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ আসেনি। তাই এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। অন্যদিকে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে বিজিবিকে হাস্যকর মন্তব্যের ব্যাপারে রিটার্নিং অফিসার বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় আছে। ফলে এই স্থানে বিজিবি নিরাপত্তা প্রদান কার্যকর হবে। এখন পর্যন্ত নির্বাচন পরিবেশ অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং স্বাভাবিক আছে। এই পর্যন্ত একটি ঘটনাও নির্বাচনী এলাকায় ঘটেনি। এটা পরিবেশ পরিস্থিতি ভাল থাকারই কারণেই হয়েছে। নির্বাচনের দিন ভোটাররা নির্বিঘেœ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। প্রচারের শেষ দিনে মিছিলের নগরী ॥ সিটি নির্বাচনে ৫ মেয়র প্রার্থী ও ১৯৪ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। মঙ্গলবার ছিল প্রচার-প্রচারণার শেষ দিন। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই বন্ধ হচ্ছে প্রচারণা। এদিন মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হয়েছে। অনেক প্রার্থীর পক্ষে প্রতীক নিয়েও মিছিল বের করেছিল। শেষ দিনে লিফলেট বিলি, গণসংযোগ করেছেন প্রার্থীরা। কেউ কেউ আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে প্রতীক নিয়ে মিছিলও করেছেন। তবে মিছিলের সময় কোন প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন না। দুপুরের পর থেকেই নগরীর চাষাঢ়া মোড় ও বঙ্গবন্ধু সড়কে ঢুকছিল একের পর এক মিছিল। প্রচারণার শেষ দিনে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছিল। এছাড়াও ২৭টি সাধারণ ওয়ার্ডের ১৫৬ জন ও ৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৩৮ জন প্রার্থী ও তাদের পক্ষে গণসংযোগ, মিছিল, পথসভা, উঠোন বৈঠক লিফলেট বিলিসহ নানামুখী প্রচারণা চালিয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক ॥ সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে বলে দাবি করেছেন প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাঠে নেমেছে বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশসহ ৭টি বাহিনী। বিজিবি এখন টহল দিচ্ছে। পাশাপাশি র‌্যাব পুলিশও টহলের মধ্যে রয়েছে। এছাড়াও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ২৭টি ওয়ার্ডে ২৭টি টিম নিয়োজিত রয়েছে। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা ॥ নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীকে জরিমানা করেছেন মোবাইলে কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন। দুই কাউন্সিলর প্রার্থীই ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে। এরা হলেন- নাজমুল আলম (ব্যাডমিন্টন র‌্যাকেট) এবং আকরাম হোসেন (ঝুড়ি)। মঙ্গলবার সন্ধা সাতটার দিকে রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করায় তাদের ৫০০ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে বলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা জেসমিন সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে তারা এই ধরনের কাজ আর করবেন না বলে ওয়াদা করা তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। জরিমানার টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে বলে ম্যাজিস্ট্রেট জানিয়েছেন।
×