ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রিজাল ব্যাংকের হুমকি আমলে নিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৫:১৯, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

রিজাল ব্যাংকের হুমকি আমলে নিচ্ছে না বাংলাদেশ ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দিলেও বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছে না চুরির টাকা ফেরতের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স। রবিবার অনুষ্ঠিত টাস্কর্ফোসের বৈঠকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ চুরির সঙ্গে দেশী-বিদেশী অনেক চক্র জড়িত। ফিলিপিন্সের আদালত সে দেশের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংককে দায়ী করে জরিমানাও করেছে। এ ঘটনায় বেশকিছু লোক পলাতক রয়েছেন। অনেকে নজরদারিতেও রয়েছেন। চুরির বাকি টাকা উদ্ধারে টাস্কফোর্স প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন টাস্কফোর্স কমিটির আহ্বায়ক অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমান। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয় ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দিয়ে ফিলিপিন্সের রিজাল ব্যাংকের একজন আইনজীবী অর্থ চুরির ঘটনায় নিজেদের দায় অস্বীকার করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন। রবিবার অনুষ্ঠিত টাস্কফোর্স বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার পেছনে যারা জড়িত তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে। প্রকৃত অপরাধীরা যেন শাস্তি পায়, সে বিষয়ে টাস্কফোর্স উদ্যোগ নেবে। বৈঠকে রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতে অগ্রগতি প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) মহাব্যবস্থাপক দেবপ্রসাদ দেবনাথ। এ প্রসঙ্গে দেবপ্রসাদ দেবনাথ একটি অনলাইনকে বলেন, ‘যে কোন ধরনের অর্থ দেশের বাইরে চলে গেলে তা আনতে সময় লাগে। এখানেও হয়ত সময় লাগবে। কিন্তু টাকা ফেরত পাওয়া যাবে।’ জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপিন্সের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশন সম্প্রতি নিজেদের দায় অস্বীকার করলেও বৈঠকে টাস্কফোর্সের সদস্যরা আশাবাদী, চুরির বাকি সব টাকা ফেরত পাবে বাংলাদেশ। টাস্কফোর্সের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘বৈঠকে চুরির টাকা ফেরতে এ পর্যন্ত কী ধরনের অগ্রগতি হয়েছে, টাকা ফেরত পেতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে সে বিষয়ে পর্যালোচনা করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি ফিলিপিন্স সফর করা সরকারের উচ্চপর্যায়ের টিমেরও প্রশংসা করা হয়।’ জানা গেছে, রিজার্ভ চুরির বাকি অর্থ ফেরত পেতে এখন ফিলিপিন্সের আদালতের ওপর নির্ভর করতে হবে। সে দেশের আদালতে বিষয়টি যাওয়ার কারণে অর্থ ফেরতে যথেষ্ট সময়ও লাগতে পারে। এ প্রসঙ্গে টাস্কর্ফোসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘যে কোন ধরনের অর্থ দেশের বাইরে চলে গেলে সেটি আনতে সময় লাগবেই। বাকি টাকা ফেরতের অগ্রগতি নিয়ে আগামী মাসের শেষের দিকে আরেকটি বৈঠক করবে টাস্কফোর্স।’
×