ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যয় হবে ২৬৯ কোটি টাকা, পরিশোধন ক্ষমতা ৩০ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে

ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনে অগ্রগতি

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬

ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনে অগ্রগতি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত এবং মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের জন্য দেশের একমাত্র তেল পরিশোধনাগার ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রকল্পের জন্য ‘ফ্রন্ট এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)’ ডকুমেন্ট তৈরি করবে প্যারিসভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেকনিপ। এজন্য মোট ব্যয় হবে ২৬৯ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, এর আগে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরামর্শক হিসেবে ভারতের পরামর্শক কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে (ইআইএল) নিয়োগ এবং ‘ফ্রন্ট এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)’ ডকুমেন্ট তৈরির জন্য সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেয়া হয়। দেশে পরিশোধিত/অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদা সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টন। বিদেশ থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক প্রায় ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। অবশিষ্ট তেল পরিশোধিত আকারে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলক কমানো এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুত ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর আওতায় প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নেয়া হয় এবং এ বিষয়ে প্রস্তাবগুলো প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করা হয়। প্রকল্পের নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুত জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ আইনে প্রকল্পটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে এ কোম্পানিটি ইআরএলের তেল পরিশোধনাগার নির্মাণ করে দেয়। নির্মাণের ৪৮ বছর পর দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও দেশের একমাত্র সরকারী তেল পরিশোধনাগার ইআরএলের ক্ষমতা বাড়ানো হয়নি। তবে তেল শোধনাগারটিতে এখনও ৯৫ শতাংশ দক্ষতায় পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পে টেকনিপ ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে, বাকিটা বাংলাদেশকে সংস্থান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছেন। জ্বালানি তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানো হলে প্রতি লিটার জ্বালানি তেল আমদানিতে অন্তত ৬ টাকা সাশ্রয় হবে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এখন বিপিসি তেল বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করলেও নিজস্ব পরিশোধন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতায় জ্বালানি তেলের দাম কমার পুরো সুফল ঘরে তুলতে পারছে না। কারণ পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়। জানা যায়, ইআরএলের বর্তমান পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন। কিন্তু দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টনের উপরে। চাহিদার অধিকাংশই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এতে একবারে পরিশোধন ক্ষমতা ৩০ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে, যাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার কথা। একই সঙ্গে দেশে জ্বালানি তেলের লাভও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। তরল জ্বালানির উপজাত হিসেবে এলপিজিসহ অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা মেটানোও সম্ভব হবে। বিগত সরকারের সময় ২০১০ সালে দেশের একমাত্র সরকারী তেল পরিশোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। চার বছর অতিবাহিত হলেও বিনিয়োগ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে না পারায় প্রকল্পটি ঝুলে থাকে। দরপত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে না পারায় দরপত্র ছাড়াই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এজন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহপত্র চায় ইআরএল। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, পরিশোধন ক্ষমতা বাড়াতে সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের (পিপিপি) ভিত্তিতে ২০১০ সালে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেয় সরকার। ওই সময়ে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়। এতে ৩৫টি কোম্পানি অংশ নিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচিত হয় দেশীয় একটি ব্যবসায়িক গ্রুপ। অর্থায়ন নিয়ে সৃষ্ট জটিলতায় পর ওই দরপ্রস্তাব বাতিল করা হয়। এখন সরকারী-বেসরকারী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতেই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নে জমি দেবে আর বেসরকারী কোন কোম্পানি বিনিয়োগ করবে, যাতে লভ্যাংশে সরকারের একটি অংশ থাকবে। বেসরকারী কোম্পানিটি একটি নির্দিষ্ট সময় পর ইউনিটটি পরিচালনার জন্য ইআরএলের কাছে হস্তান্তর করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য ‘ইনস্টলেশন অব ইস্টার্ন রিফাইনারি ইউনিট-২’-এর ‘ফ্রন্ট এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)’ ডকুমেন্ট তৈরির জন্য ফ্রান্সের টেকনিপের একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সরকারী ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টেকনিপ। এজন্য মোট ব্যয় হবে ২৬৯ কোটি টাকা। সূত্র জানায়, এর আগে প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরামর্শক হিসেবে ভারতের পরামর্শক কোম্পানি ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্ডিয়া লিমিটেডকে (ইআইএল) নিয়োগ এবং ‘ফ্রন্ট এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিজাইন (ফিড)’ ডকুমেন্ট তৈরির জন্য সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদন নেয়া হয়। দেশে পরিশোধিত/অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বর্তমান চাহিদা সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টন। বিদেশ থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত তেল ইস্টার্ন রিফাইনারিতে পরিশোধন করা হয়। ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেডের (ইআরএল) বর্তমান উৎপাদন ক্ষমতা বার্ষিক প্রায় ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন। অবশিষ্ট তেল পরিশোধিত আকারে বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশের আমদানি করা অপরিশোধিত তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বাড়িয়ে দেশের জ্বালানি তেলের দাম তুলনামূলক কমানো এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ‘ইস্টার্ন রিফাইনারির দ্বিতীয় ইউনিট স্থাপন’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। বিদ্যুত ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন-২০১০-এর আওতায় প্রকল্পটি প্রক্রিয়াকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন নেয়া হয় এবং এ বিষয়ে প্রস্তাবগুলো প্রক্রিয়াকরণের জন্য একটি প্রস্তাব প্রক্রিয়াকরণ কমিটি গঠন করা হয়। প্রকল্পের নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুত শুরু করতে দরপত্র ছাড়াই বিদ্যুত জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ আইনে প্রকল্পটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাধীনতার আগে ১৯৬৮ সালে এ কোম্পানিটি ইআরএলের তেল পরিশোধনাগার নির্মাণ করে দেয়। নির্মাণের ৪৮ বছর পর দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা বাড়লেও দেশের একমাত্র সরকারী তেল পরিশোধনাগার ইআরএলের ক্ষমতা বাড়ানো হয়নি। তবে তেল শোধনাগারটিতে এখনও ৯৫ শতাংশ দক্ষতায় পরিশোধন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জ্বালানি বিভাগ সূত্র জানায়, প্রায় দেড় বিলিয়ন ডলারের এ প্রকল্পে টেকনিপ ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে, বাকিটা বাংলাদেশকে সংস্থান করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সংক্রান্ত একটি সারসংক্ষেপ অনুমোদন দিয়েছেন। জ্বালানি তেলের পরিশোধন ক্ষমতা বাড়ানো হলে প্রতি লিটার জ্বালানি তেল আমদানিতে অন্তত ৬ টাকা সাশ্রয় হবে। বর্তমানে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম গত কয়েক বছরের তুলনায় সর্বনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। এখন বিপিসি তেল বিক্রি করে মুনাফা অর্জন করলেও নিজস্ব পরিশোধন ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতায় জ্বালানি তেলের দাম কমার পুরো সুফল ঘরে তুলতে পারছে না। কারণ পরিশোধিত জ্বালানি তেল ক্রয় করতে বেশি অর্থের প্রয়োজন হয়। জানা যায়, ইআরএলের বর্তমান পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন। কিন্তু দেশে জ্বালানি তেলের চাহিদা সাড়ে পাঁচ মিলিয়ন টনের উপরে। চাহিদার অধিকাংশই পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করতে হয়। এতে আমদানি ব্যয় বেড়ে যায়। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের (বিপিসি) কর্মকর্তারা জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ইআরএলের পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বেড়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নীত হবে। এতে একবারে পরিশোধন ক্ষমতা ৩০ লাখ টন বৃদ্ধি পাবে, যাতে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হওয়ার কথা। একই সঙ্গে দেশে জ্বালানি তেলের লাভও অনেকাংশে বেড়ে যাবে। তরল জ্বালানির উপজাত হিসেবে এলপিজিসহ অন্যান্য পেট্রোলিয়াম পণ্যের চাহিদা মেটানোও সম্ভব হবে। বিগত সরকারের সময় ২০১০ সালে দেশের একমাত্র সরকারী তেল পরিশোধনাগারের ক্ষমতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হয়। চার বছর অতিবাহিত হলেও বিনিয়োগ, নির্মাতা প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দিতে না পারায় প্রকল্পটি ঝুলে থাকে। দরপত্রের মাধ্যমে উপযুক্ত প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করতে না পারায় দরপত্র ছাড়াই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এজন্য দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে আগ্রহপত্র চায় ইআরএল।
×