ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ম্যানসিটি ২-১ আর্সেনাল, শীর্ষে ওঠার ঘোষণা গার্ডিওলার

আর্সেনালকে হারিয়ে দুই নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

আর্সেনালকে হারিয়ে দুই নম্বরে ম্যানচেস্টার সিটি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ মাত্র তিনদিন আগেও সমালোচনা শুনতে হয়েছে। কিন্তু পেপ গার্ডিওলা সেদিকে কর্ণপাত করেননি। তার নজর ছিল অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের দিকে। ম্যাচটি হার-জিতের ওপর নির্ভর করছিল অনেককিছুই। শেষ পর্যন্ত সগর্বে মাঠ ছাড়তে পেরেছেন গার্ডিওলা। তার শিষ্যরা দারুণ এক জয় উপহার দিয়েছেন। আর্সেনালকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের টেবিলে দুই নম্বরে উঠে এসেছে এখন তার দল ম্যানচেস্টার সিটি। প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে থেকে চরম চাপে পড়লেও ঘুরে দাঁড়িয়ে এমন এক জয়ে তাই উৎফুল্ল কোচ গার্ডিওলা। তিনি ঘোষণা দিলেন শীর্ষে থাকা চেলসিকে ছুঁয়ে ফেলার। অবশ্য সেজন্য স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দুয়েকটি হতাশা নেমে আসারও প্রয়োজনীয়তা আছে। কারণ পয়েন্টের তফাত ৭! এমনটাই প্রত্যাশা করছেন গার্ডিওলা। অন্য দুই ম্যাচে টটেনহ্যাম হটস্পার ২-১ গোলে বার্নলিকে এবং সাউদাম্পটন ৩-১ গোলে বোর্নমাউথকে পরাজিত করেছে। বড় বাধা হয়ে উঠেছিল আর্সেনাল। চেলসি, আর্সেনাল, লিভারপুলের পরে অবস্থান করছিল ম্যানসিটি। নিজেদেরও কিছু ভুল ছিল আর প্রতিপক্ষরা একের পর এক সাফল্য পাচ্ছিল। তাই লীগ টেবিলের চার নম্বরে থেকে কোচ গার্ডিওলাকে সইতে হয়েছে নানাবিধ কটু কথা। এমনকি কটাক্ষ করে তার কৌশলগত সমস্যা আছে এমনটাও বলেছিলেন নিন্দুকেরা। ২/৩ দিন আগে পর্যন্তও সেসব সমালোচনা হয়েছে। কিন্তু আর্সেনালের বিরুদ্ধে অনেক ধরনের পরীক্ষা দিতে বড় ধরনের প্রস্তুতিই নিয়েছিলেন গার্ডিওলা। নিজেদের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেতে হয়েছে তাকে। কারণ, ৫ মিনিটের মধ্যেই স্বাগতিক ম্যানসিটির শিবিরে হতাশার নীরবতা এনে দিয়েছেন থিও ওয়ালকট। গোল করে এগিয়ে দেন তিনি আর্সেনালকে। তবে এরপর আর ভুল করেনি ম্যানসিটি। প্রথমার্ধ শেষ হয়েছে ওই এক গোল হজম করেই। ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকার কারণে আরেকটি পরাজয় শঙ্কা দানা বাঁধছিল ম্যানসিটিতে। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই শঙ্কা কেটেছে। সেটা কাটিয়েছেন লিরয় সেইন। ৪৭ মিনিটে তার করা গোলে সমতায় ফেরে ম্যানসিটি (১-১)। পরে নায়ক হয়ে গেছেন রহিম স্টার্লিং। তিনি ৭১ মিনিটে দলের হয়ে জয়সূচক গোল করে স্বস্তি এনে দেন গার্ডিওলাকে। এ জয়ের ফলে ১৭ ম্যাচে ৩৬ পয়েন্ট নিয়ে একলাফে দুই ধাপ পেরিয়ে দুই নম্বরে উঠে এসেছে ম্যানসিটি। ক্ষতিটা হয়েছে আর্সেনালের। সমান ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন চারে নেমে গেছে আরসিন ওয়েঙ্গারের দল। অবশ্য লিভারপুলের সুযোগ আছে ম্যানসিটিকে পেছনে ফেলার। ১৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান তিনে। জিতলেই দুই নম্বরে উঠবে তারা। কিন্তু চেলসি চলে গেছে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফর্মের তুঙ্গে থাকা চেলসি টানা ১১ ম্যাচ জিতেছে। তবে তাদেরও খারাপ সময় আসার অপেক্ষায় আছেন গার্ডিওলা। তিনি বলেন, ‘৭ পয়েন্ট অনেক বড় ব্যবধান। যখন একটা দল টানা ১১ ম্যাচ জিতে যায় তখন শুধুমাত্র অভিনন্দন জানিয়ে তাদের কৃতিত্বের মূল্যায়ন করা যায় না। কিন্তু অন্তত একটি সম্ভাব্য অবনমন চিন্তা করছি। অপেক্ষা করছি কখন প্রতিপক্ষরা ব্যর্থ হতে শুরু করে। মৌসুমের শেষ পর্যন্ত হলেও সেই অপেক্ষা থাকবে এবং আমরা ভাল খেলে যেতে চাই। শিরোপা লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত থাকতে চাই।’ ১৭ ম্যাচে ৪৩ পয়েন্ট চেলসির। এ কারণে তাদের ব্যর্থতা ছাড়া প্রতিপক্ষরা আর অন্যকিছু ভাবতে পারছে না।
×