আজাদ সুলায়মান ॥ এবার রাষ্ট্রপতি এ্যাডভোকেট মোঃ আবদুল হামিদকে বহনকারী বাংলাদেশ বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে কেমিক্যালযুক্ত পানি দিয়ে ইঞ্জিনের বেড পরিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন রাষ্ট্রপতির ওই ফ্লাইট। ওই ফ্লাইটটির উড্ডয়নের আগে কেমিক্যালযুক্ত পানি দিয়ে বিমানের ইঞ্জিনের বেড ধোয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্টের ফ্লাইটের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিশেষজ্ঞ কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপে এই ভয়াবহ ঘটনা হাতেনাতে ধরা পড়ে। এই ঘটনায় মাহবুবুল ইসলাম নামে বিমানের প্রকৌশল বিভাগের একজন জুনিয়র টেকনিক্যাল অফিসারকে (জেটিও) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটে গত ১০ ডিসেম্বর। রাষ্ট্র্রপতিকে সিঙ্গাপুর থেকে আনার জন্য ওই ফ্লাইটটিকে ভিভিআইপি ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। বিমান কর্তৃপক্ষ অতি গোপনে বিষয়টি তদন্ত শুরু করেছে। এ্যাভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ইঞ্জিন ও ইঞ্জিনের বেড পরিষ্কার কিংবা ধোয়ার নিয়ম হলো সাধারণ ভাল পানি দিয়ে। কোন ধরনের দাহ্য পদার্থ ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষেধ। কারণ দাহ্য পদার্থ ইঞ্জিনের গায়ে লাগলে আকাশে উড্ডয়ন অবস্থায় ওই দাহ্য পদার্থে আগুন ধরে বিমান ক্র্যাশ করার আশঙ্কা থাকে।
জানতে চাইলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্যাপ্টেন এম মোসাদ্দিক আহমেদ বলেন, এটা এত বড় ঘটনা নয়। ওই ফ্লাইট পরিষ্কার করার জন্য যে পাত্রে করে পানি নেয়া হচ্ছিল তাতে কেরোসিনের গন্ধ ছিল। তখন বিমানের লোকজনই তাতে বাধা প্রদান করেন। এ সময় এসএসএফ তাকে আটক করে। পরে তাকে বিমানের কাছেই সোপর্দ করে। এ ঘটনায় তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিস জারি করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: