ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বিষাক্ত খাবার খেয়ে দুই পরিবার অচেতন ॥ লুট

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২০ ডিসেম্বর ২০১৬

বিষাক্ত খাবার খেয়ে দুই পরিবার অচেতন ॥ লুট

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাঁদপুর, ১৯ ডিসেম্বর ॥ ব্যাংক কলোনি এলাকায় বিষাক্ত খাবার ও স্প্রে ব্যবহার করে স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থসহ বিভিন্ন মালামাল চুরির ঘটনা ঘটেছে। স্প্রের প্রভাবে পাশাপাশি দু’বাড়ির ১৬ জন অচেতন হয়। রবিবার রাতে কলোনির সেলিম জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন সাদিয়া ভিলায় এ ঘটনা ঘটে। মুমূর্ষু অবস্থায় বর্তমানে তারা চাঁদপুর সরকারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অচেতন হওয়া আব্দুল করিমের জামাতা মোর্শেদ আলম বলেন, ব্যাংক কলোনির ওই বাড়ির নিচতলায় তারা ভাড়া থাকেন। শনিবার তার শ্বশুর ব্যাংক কলোনি থেকে ব্রয়লার মুরগি কিনে বাসায় আনলে ওই দিনই মুরগি রান্না করে অর্ধেকটা পরিবারের সকলে খান। বাকি অংশ রবিবার রাতে খাবারের জন্য চুলার মধ্যে গরম করতে দিয়ে ঘরে প্রবেশ করেন। ওই সময় কোন চক্র তাদের খাবারের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে দেয় বলে তারা ধারণা করছেন। রাতে সকলে মুরগি দিয়ে রাতের খাবার গ্রহণ করার পর অচেতন হয়ে পড়েন। নরসিংদীর ৬ গ্রাম জনশূন্য নিজস্ব সংবাদদাতা, নরসিংদী, ১৯ ডিসেম্বর ॥ মেঘনাবিধৌত রায়পুরা উপজেলার দুর্গম চর এলাকা নিলক্ষা ইউনিয়নের হরিপুর, বীরগাঁও, গোপীনাথপুর, আমিরাবাদ, সোনাকান্দি ও দড়িগাঁও গ্রাম জনশূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকার আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুগ যুগের ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগের দুটি বিবদমান গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় প্রশাসনের জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে রবিবার দুপুরে উলিখিত ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম সমর্থকদের বাড়িঘরে সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হক সরকারের সমর্থকরা হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়। ফলে পোড়া বাড়িঘরের বাসিন্দারা পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। মসজিদের ইমাম পর্যন্ত রক্ষা পায়নি হামলাকারীদের হাত থেকে। বীরগাঁও গোপীবাড়ির সোহরাব মিয়ার স্ত্রী পারভিন বেগম এ প্রতিবেদককে জানান, তার দুই ছেলের মধ্যে বড় ছেলে সবুজ মালয়েশিয়ায় চাকরি করে। অপর ছেলে ইমরান বিএ পড়ার পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জের কেমিক্যাল কারখানায় চাকরি করে। নারী ছাড়া ঘটনার দিন ওই বাড়িতে পরিবারের কেউ ছিল না। অথচ এ বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে। পারভিন বেগমের প্রশ্ন- আমাদের দোষ কী? বিগত ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আমরা আবদুল হক সরকারকে ভোট দিলেও সরকারদলীয় প্রার্থী নির্বাচনের ফলাফল তাদের পক্ষে নিয়ে নেয়। এ থেকেই দু’দলের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত। একই গ্রামের রইজ উদ্দীন জানান, হক সরকারের সমর্থকরা রবিবার দুপুরে হামলা চালিয়ে তার একটি দোতলা ঘরসহ তিনটি ঘর আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে।
×