ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

মুস্তাফিজকে নিয়ে সতর্ক কিউই কোচ

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

মুস্তাফিজকে নিয়ে সতর্ক কিউই কোচ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ এখন আর কোন একক ক্রিকেটারের ওপর নির্ভরশীল দল নয়। মুস্তাফিজের অনুপস্থিতি, সাকিবের সাদামাটা পারফর্মেন্স সত্ত্বেও ইংল্যান্ড সিরিজের দুর্দান্ত সাফল্য তারই প্রমাণ। একের পর এক পরাশক্তিকে বধ করে বিশ্ব ক্রিকেটে টাইগাররা আজ আতঙ্কের নাম। আগামী সপ্তাহে ওয়ানডে দিয়ে বদলে যাওয়া সেই টাইগারদের মুখোমুখি স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। কিউই কোচ মাইক হেসন তার শিষ্যদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এই বাংলাদেশকে একটু হালকাভাবে নিলেই বিপদ। ইনজুরি কাটিয়ে ফেরা কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান এবং অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে নিয়ে বাড়তি ভাবনার কথাও জানিয়েছেন তিনি। ক্রাইস্টচার্চে ২৬ ডিসেম্বর প্রথম ওয়ানডে দিয়ে শুরু মাঠের লড়াই। সফরে তিন ওয়ানডে, সমানসংখ্যক টি২০ ও দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলবে মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুশফিকুর রহীমরা। ‘গত ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল) দিয়ে মুস্তাফিজের ঝড়ের মতো আগমন। ওকে বিশ্ব ক্রিকেটে আগামীর সবচেয়ে বড় তারকা বলে মনে হচ্ছে। ইনজুরি থেকে ফিরেছে বলে আমরা ঠিক বুঝতে পারছি না এই সিরিজে সে কতটা ভূমিকা পালন করবে। অল্প দিনের ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে সে একাধিকবার ইনজুরি থেকে ফিরেও সমানে পারফর্ম করেছে। ওকে নিয়ে তাই বাড়তি সতর্ক থাকতেই হচ্ছে।’ বলেন হেসন। কিউই কোচের বক্তব্যে মনে হচ্ছে, মুস্তাফিজকে নিয়ে গোলকধাঁধায় তিনি। নিউজিল্যান্ড যাওয়ার পথে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে অনুশীলন ক্যাম্প করে বাংলাদেশ। সেখানে দুটি প্রস্তুতি ম্যাচের একটিতেও খেলেননি সেনসেশনাল এ পেসার। মাত্র দেড় বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে মুস্তাফিজ এক বিস্ময়ের নাম, বাঁ-হাতি পেসের অপার রহস্য। জুলাইয়ে ইংলিশ কাউন্ডিতে খেলতে গিয়ে ইনজুরিতে পড়েন ২১ বছর বয়সী তারকা। অপারেশনের পর শতভাগ না হলেও এখন অনেকটাই ফিট। তবে প্রথম ম্যাচটা খেলতে পারবেন কি না নিশ্চিত নয়। শুধু মুস্তাফিজ নয়, কিউই কোচের মতে টাইগার স্কোয়াডে অন্তত পাঁচ-সাতজন ক্রিকেটার রয়েছে, যারা ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিতে সক্ষম। অলরাউন্ডার সাকিবের কথাও আলাদা করে বলেছেন হেসন, ‘সাকিব দুই ফরমেটে বিশ্বের শীর্ষ অলরাউন্ডার। ওর বাঁ-হাতি স্পিন আর মিডল অর্ডারে ব্যাটিং যে কারও জন্যই ধ্বংসাত্মক হতে পারে।’ বাংলাদেশের সাম্প্রতিককালের ফর্ম দেখে হেসন অনুমান করছেন সর্বোপরি লড়াইটা সহজ হবে না। বলেছেন, ‘নিজেদের মাটিতে ওদের রেকর্ডটা যে দারুণ সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গত বিশ্বকাপে ওরা খুবই ভাল খেলেছে। ওদের বিপক্ষে সর্বশক্তি দিয়ে মাঠে না নামলে ওরা আমাদের ধরে ফেলতে পারে।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘অতীতে আমাদের দেশে ওরা ভাল খেলেনি সেটা ঠিক। কিন্তু বাংলাদেশ এখন কেবলই উন্নতিকামী দল নয়। তারা ক্রিকেটের উঠতি শক্তি। তাই কোনভাবেই তাদের হালকাভাবে নেয়ার সুযোগ নেই।’ উল্লেখ্য, এর আগে ঘরের মাটিতে দুইবার নিউজিল্যান্ডকে ‘হোয়াইটওয়াশ’ করেছিল বাংলাদেশ। ২০১০ সালে ৪ ওয়ানডের সিরিজে এবং ২০১৩ সালে ৩ ওয়ানডের সিরিজে। তখনও খুব বলার মতো দল বাংলাদেশ ছিল না। আর সত্যিকার অর্থে তখন নিউজিল্যান্ড দলটাও ছিল নবীন। আর স্বদেশে খেলার এ্যাডভান্টেজ তো ছিলই। এবার প্রতিপক্ষের মাটিতে পরীক্ষা দিতে প্রস্তুত ম্যাশ-মুশি বাহিনী। প্রস্তুত সাকিব-মুস্তাফিজরা।
×