ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তাসহ ৮ লাশ উদ্ধার

গৃহবধূকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ০৫:২৯, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

গৃহবধূকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যশোরে গৃহবধূকে শাবল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়া রাজশাহীতে কৃষক, পলাশবাড়িতে গৃহবধূ, নীলফামারীতে মাদ্রাসা ছাত্রী, সাভারে গৃহবধূ, পোশাককর্মী ও অজ্ঞাত যুবক, নারায়ণগঞ্জে সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এবং নেত্রকোনায় গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানো খবর : যশোর ॥ অভয়নগরে নাজমা বেগম (৩৫) নামে গৃহবধূকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত নাজমা বেগম শুভয়াড়া গ্রামের সরোয়ার হোসেনের স্ত্রী। হত্যার পর স্বামীর বাড়ির লোকজন পালিয়েছে। অভয়নগর থানার এসআই মোক্তার হোসেন জানান, শনিবার বিকেলে নাজমা বেগমের সতীনের ছেলে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পরিবারের লোকজন উদ্ধার করে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। রাতে পরিবারের লোকজন লাশ বাড়িতে রেখে পালিয়ে যায়। রাজশাহী ॥ তানোর উপজেলায় শফিকুল ইসলাম (৪৬) নামে কৃষকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শফিকুল মু-ুমালা পৌর এলাকার পাঁচন্দর মহল্লার আবদুল গফুরের ছেলে। রবিবার দুপুরে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে পাকড়াপুকুর এলাকার আম গাছ থেকে তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। গাইবান্ধা ॥ পলাশবাড়ি উপজেলার বেতকাপা ইউনিয়নের মাঠেরহাট হরিপুর গ্রাম থেকে শনিবার রাতে সুমি আকতার (১৪) নামে কিশোরী গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সুমি আকতার ওই গ্রামের আবদুল গোফফার মিয়ার মেয়ে। সে রওশনবাগ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আট মাস আগে প্রেমের সম্পর্কের পরিণতিতে একই গ্রামের ইব্রাহিম আলীর ছেলে আশরাফ আলীর সঙ্গে সুমি পালিয়ে গিয়ে গোপনে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে তাদের দাম্পত্য কলহ চলছিল। কয়েকদিন আগে সুমি তার স্বামী আশরাফসহ বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসে। শনিবার দুপুরে পরিবারের লোকজন সুমি ও তার স্বামীকে বাড়িতে রেখে পার্শ্ববর্তী সাদুল্যাপুর উপজেলা সদরে দাওয়াত খেতে যায়। রাতে বাড়ি ফিরে পরিবারের লোকজন সুমির শোয়ার ঘরে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। তারা তখন পুলিশকে খবর দেয়। নীলফামারী ॥ মুন্নি আক্তার নামের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার সকালে ডোমার উপজেলার জোড়াবাড়ি গ্রামের সংলগ্ন সাবেক ছিটমহল কোর্টভাজিনি বালাশুশি পাড়ার কাঁঠাল গাছে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মুন্নি জোড়াবাড়ি গ্রামের রফিজ উদ্দিনের মেয়ে এবং গ্রামের ফকিরপাড়া দাখিল মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী। সাভার ॥ পৌর ও আশুলিয়া থানা এলাকার পৃথক পৃথক স্থান থেকে তিনটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত ১১টার দিকে সাভার থেকে একটি ও রবিবার সকালে আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পৌর এলাকার ডগরমোড়া মহল্লা থেকে শনিবার রাতে পারুল আক্তর (১৯) নামের গৃহবধূর ফাঁস লাগানো ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। সে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানা এলাকার বাসিন্দা রং মিস্ত্রী আনোয়ার হোসেন পাশার স্ত্রী। এ ঘটনার পর থেকে পারুলের স্বামী পলাতক রয়েছে। অপরদিকে আশুলিয়া থানাধীন ইয়ারপুর ইউনিয়নের তাজপুর থেকে অজ্ঞাত যুবক (৩৫) ও ঘোষবাগ থেকে গার্মেন্টস কর্মী শিল্পী আক্তারের (৩৫) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শিল্পী কুষ্টিয়া জেলার বাঘমারা থানার মোতালেব মিয়ার মেয়ে। নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিলের সরকারী বাসা থেকে সোনালী ব্যাংকের সাবেক এজিএম কামরুল ইসলামের (৬৮) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার রাত আটটায় তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। কামরুল ইসলাম শনিবার সকাল ১০টায় ওই বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন। উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী ইব্রাহিম খলিল জানান, কামরুল ইসলাম তার দুঃসম্পর্কের মামা শ্বশুর। তিনি প্রায়ই এখানে বেড়াতে আসতেন। শনিবার সকাল ১০টায় তিনি বাসায় এলে তাঁকে রেখে তিনি বাইরে চলে যান। সন্ধ্যায় ফিরে এসে দেখেন বাসার দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করার পরও যখন ভেতর থেকে দরজা খুলছিলেন না, তখন বিষয়টি তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামাল হোসেন ও উপজেলা প্রকৌশলী এহসানুল হককে জানান। পরবর্তীতে পুলিশকে অবহিত করেন। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙ্গে ঘরের ভেতরে রক্তাক্ত লাশ মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে। তাঁর কপালের ডান দিকে রক্তাক্ত আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নেত্রকোনা ॥ মোক্তারপাড়া এলাকায় মগড়া নদী থেকে রবিবার সকালে হাজেরা বেগম (৭০) নামে গৃহকর্মীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হাজেরা সদর উপজেলার মদনপুর-বাঘাপাড়া গ্রামের মৃত এঙ্গুর ফকিরের স্ত্রী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মোক্তারপাড়া এলাকার এক বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তবে এ হত্যা না দুর্ঘটনাÑ সে ব্যাপারে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি।
×