ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকারী চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ে হাইকোর্টের রুল

প্রকাশিত: ০৫:২৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

সরকারী চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ে হাইকোর্টের রুল

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সরকারী চাকরিজীবী (বর্তমান ও অবসরপ্রাপ্ত) মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক কেন যাচাই-বাছাই করার নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। অন্যদিকে আ জ ম জিয়াউল হককে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগের বিষয়টি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ এ মর্মেও রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চগুলো এ আদেশ প্রদান করেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জামুকার মহাপরিচালককে দুই সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। হাইকোর্টের পৃথক দুটি বেঞ্চ একাধিক রিট আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এই রুল জারি করে। বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ এবং বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মোঃ খসরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ পৃথকভাবে এ রুল জারির আদেশ দেয়। চাকরিজীবী মুক্তিযোদ্ধাদের সনদ যাচাইয়ের প্রয়োজন হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই করবে মর্মে ২০১৪ সালের অক্টোবরে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ প্রজ্ঞাপনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) মহাপরিচালক পৃথক একটি আদেশ জারি করেন, যা গত ৮ নবেম্বর একটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়Ñ ‘জামুকা কর্তৃক নির্ধারিত তারিখ, স্থান ও সময়ে উপজেলা যাচাই-বাছাই কমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সম্পাদন করা হবে।’ আদালতে রিটকারীর পক্ষে আইনজীবী ড. রফিকুর রহমান, ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন ও হাসনাত কাইয়ুম শুনানি করেন। অন্যদিকে কর কমিশনার আ জ ম জিয়াউল হককে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চাকরিতে নিয়োগের বিষয়টি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে নাÑ এ মর্মে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ তিনজনকে এ অর্ডারের কপি পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রার জেনারেলের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এ মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে ২ জানুয়ারি। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশ দেন। এ সময় রিটকারীর পক্ষে আদালতে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট কাজী সদরুল হক সুধা। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিটকারীর আইনজীবী এ্যাডভোকেট কাজী সদরুল হক সুধা জানিয়েছেন, আদালত তার বিরুদ্ধে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলেছে। আমি আদালতের সঙ্গে একমত পোষণ করছি। জবাব না দিলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
×