ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পানি ও খাদ্য ছাড়া কঠিন সময় পার করছে অবরুদ্ধ লোকজন

পূর্ব আলেপ্পোয় পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

প্রকাশিত: ০৫:০৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

পূর্ব আলেপ্পোয় পর্যবেক্ষক পাঠানো নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক

সিরিয়ার আলেপ্পো নগরীতে পর্যবেক্ষক পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে রবিবার বিশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত নগরীর পূর্বাঞ্চল বিদেশী শক্তির সহায়তায় সরকারী বাহিনী দখল করে নেয়ার পর সেখানে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আটকা পড়া লোকজন সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য সুযোগ দেয়ার আবেদন জানিয়েছে। খবর এএফপি ও বিবিসি অনলাইনের। অবরুদ্ধ পূর্ব আলেপ্পো থেকে বেশিসংখ্যক লোকজন যেন বের হয়ে আসতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে বলে বিদ্রোহীদের একজন মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন। এদিকে দেশজুড়ে অস্ত্রবিরতি প্রতিষ্ঠার জন্য তুরস্কের মধ্যস্থতায় রাশিয়া সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বলে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন জানিয়েছেন। তবে আলেপ্পোর বাসিন্দাদের দুর্ভোগ লাঘব করতে সিরিয়ার শাসক বাশার আল আসাদ বা তার আঞ্চলিক মিত্র ইরান বা রাশিয়া আদৌ আগ্রহী কি-না তা স্পষ্ট নয়। এছাড়া রাশিয়ার ভেটো দেয়ার ক্ষমতা থাকায় নিরাপত্তা পরিষদের জন্য এ বিষয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলেপ্পোর পরিস্থিতিকে ‘আতঙ্কজনক’ বলে মন্তব্য করেছেন। দফায় দফায় অস্ত্রবিরতি ভেঙ্গে পড়ায় আলেপ্পো থেকে বেসামরিক নাগরিক ও বিদ্রোহী যোদ্ধারা সরে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে না। জাতিসংঘের মতে, শহরটিতে এখন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ আটকা রয়েছে। গোলাগুলি আবারও শুরু হওয়ায় তারা সেখানে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে। ২০১২ সাল থেকে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল পূর্ব আলেপ্পো। সম্প্রতি সরকারী বাহিনী অঞ্চলটির অধিকাংশ জায়গা দখল করে নেয়ায় বিদ্রোহীরা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। পূর্ব আলেপ্পো জয় তাই আসাদ বাহিনীর জন্য বড় অর্জন বলেই ধারণা করা হচ্ছে। যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত শহরের এ অংশে পানি ও বিদ্যুত সরবরাহ না থাকায় ভয়াবহ সঙ্কটের মুখে পড়েছে আটকা পড়া বাসিন্দারা। খবর পাওয়া গেছে, নগরীর আমিরিয়া এলাকায় কয়েকটি পরিবারকে বোমাবিধ্বস্ত ভবনের মধ্যে হিমশীতল আবহাওয়ায় থাকতে হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা আবু আমির এএফপিকে বলছিলেন, তিনি প্রচ- ঠা-ার মধ্যে নয় ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে জানতে পারেন (আটকা পড়া লোকজনকে উদ্ধারের জন্য) বাস আসবে না। তিনি আরও জানান, তারা পানি ও খাদ্য ছাড়া কঠিন এক সময় পার করছেন। ঠা-ায় তার চারটি সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এদিকে মানবিক ত্রাণবহর নিয়ে অনেকগুলো ট্রাক শনিবার তুরস্ক সীমান্ত অতিক্রম করে সিরিয়ায় প্রবেশ করেছে বলে জানা গেছে।
×