ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দরে অতিরিক্ত সময় কন্টেনার রাখলে দ্বিগুণ জরিমানা

প্রকাশিত: ০৫:০১, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬

বন্দরে অতিরিক্ত সময় কন্টেনার রাখলে দ্বিগুণ জরিমানা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চট্টগ্রাম বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেনার ধারণক্ষমতা ২৪ হাজার ১০৫ টিইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্য) একক। তবে বন্দরের ছাড়পত্র পাওয়ার পরও আমদানিকারকদের অনেকেই কন্টেনার সরাতে গড়িমসি করায় ইয়ার্ডে গড়ে ২৬ হাজার টিইউএস একক পণ্য ভর্তি কন্টেনার রাখা হচ্ছে। এ ধরনের অনিয়ম নিয়ন্ত্রণে খালাসের পর ইয়ার্ডে পণ্য ভর্তি কন্টেনার রাখার ভাড়া দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। বন্দর সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমস ও বন্দর থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরই কন্টেনার নিয়ে যেতে পারে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। তবে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ৪ দিন পর্যন্ত বিনা ভাড়ায় বন্দর ইয়ার্ডে কন্টেনার রাখার সুযোগ দেয়া হয়। এরপর আরও ৪ দিন ইয়ার্ডে কন্টেনার রাখতে স্বল্প ভাড়া দিতে পরিশোধ করতে হয়। এ সুযোগে দীর্ঘদিন ধরে পণ্য ভর্তি কন্টেনার ইয়ার্ডে রেখে দেন আমদানিকারকরা। এতে প্রায় সময় বন্দরে কন্টেনার জট দেখা দেয়। আর জাহাজ থেকে নতুন কন্টেনার খালাস করা সম্ভব হয় না। ফলে বন্দর ও কাস্টমসের কাজে নানামুখী সমস্যা তৈরি হয়। কন্টেনার খালাস করতে না পেরে অতিরিক্ত জরিমানা দেয়াসহ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ফিরে যাওয়ার রেকর্ডও আছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্টরা। বন্দর নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে জানা গেছে, খালাসের পর ইয়ার্ডে পণ্য ভর্তি কন্টেনার রাখার ৫ম দিন থেকে ২০ ফুট ও ৪০ ফুট কন্টেনারের জন্য যথাক্রমে ৬ মার্কিন ডলার এবং ১২ মার্কিন ডলার ভাড়া দিতে হতো। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (সিপিএ) সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এ ভাড়া বাড়িয়ে যথাক্রমে ১২ এবং ২৪ ডলার করা হয়েছে। কন্টেনার রাখার ভাড়া বাড়ানো প্রসঙ্গে বন্দরের সদস্য (এ্যাডমিন এ্যান্ড প্ল্যানিং) জাফর আলম বলেন, অনেক আমদানিকারক পণ্য ভর্তি কন্টেনার বন্দর ইয়ার্ডে দীর্ঘদিন রেখে দেন। এতে বন্দরে কন্টেনার জট হয়। খালাসের পর ইয়ার্ডে কন্টেনার না রাখতে ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। বিজ্ঞাপন এবং অন্যান্য ভাবে এ পদক্ষেপ প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরও বলেন, ভাড়া বাড়ানো সংক্রান্ত শাস্তিমূলক বিজ্ঞাপন প্রকাশের নোটিস আগামী সপ্তাহের মধ্যে গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন ও বিভিন্ন বিজ্ঞপ্তি দ্বারা প্রকাশ করা হবে। এতে অতিরিক্ত ভাড়ার ভয়ে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ইয়ার্ড থেকে দ্রুত কন্টেনার সরিয়ে নেবে। ফলে বন্দর ইয়ার্ডে জট হবে না। এতে খুব সহজে বন্দরের অনেক সমস্যার সমাধান হবে। জনাব জাফর বলেন, প্রতিনিয়ত কন্টেনার হ্যান্ডেলিংয়ে রেকর্ড গড়ছে চট্টগ্রাম বন্দর। সক্ষমতার শতভাগ ব্যবহার করতে এবং দেশের অর্থনীতির স্বার্থে ভবিষ্যতে আরও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এতে বন্দরের অনেক পরিবর্তনও দৃশ্যমান হবে। প্রসঙ্গত, কন্টেনার পরিবহনে সরকারী-বেসরকারী মোট ১৭টি ডিপোর মধ্যে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত একমাত্র কোম্পানি সামিট এ্যালায়েন্স পোর্ট।
×