ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নাটোরে জমি নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ ॥ হত ১

প্রকাশিত: ০৫:৫৮, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

নাটোরে জমি  নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষে সংঘর্ষ ॥ হত ১

নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৭ ডিসেম্বর ॥ নলডাঙ্গায় খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আব্দুস সামাদ মোল্লা (৪৫) নামের একজন নিহত ও আরও চারজন আহত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার কুচকুড়ি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুস সামাদ মোল্লা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম মোল্লার ছেলে। আহতদের নাটোর সদর হাসপাতালে ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নলডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ সরকার ও এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন ধরেই কুচকুড়ি ও চাঁদপুর গ্রামের মাঝখানে ১১ একর খাস জমি দখল করাকে কেন্দ্র করে ৩নং খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বর্তমান ইউনিয়ন চেয়ারম্যান খলিলুর রহমানের সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের বিরোধ চলে আসছিল। খাস জমি হওয়াতে ভুমিহীনরা এখানে চাষাবাদ করে আসছিল। একপর্যায়ে খাজুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান কুচকুড়ি গ্রামের আনিছুর রহমানকে সমর্থন দেন। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন আয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের সঙ্গে আনিছুরের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে খাস জমি দখল করা নিয়ে শনিবার সকালে দু’পক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে ধারালো হাসুয়ার আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫ জন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুস সামাদ মোল্লাকে মৃত ঘোষণা করেন। বাঁকিদের মধ্যে সোহরাব হোসেন ও আব্দুর রশিদকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। হাফিজুল ইসলাম নামে অপর একজনকে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দিনাজপুরে হত এক স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ ফুলবাড়ী উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের সংঘর্ষে লিয়াকত আলী (৩৮) নামে একজন শনিবার ভোরে মারা গেছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। নিহত লিয়াকত আলী ফুলবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের হড়হড়িয়াপাড়ার মছির উদ্দিনের ছেলে। আহতরা হলেন- একই গ্রামের নিহত লিয়াকতের বড় ভাই মহসিন আলী, মহসিন আলীর পুত্র রওশন আরী ও নিহত লিয়াকতের চাচা মতিয়ার রহমান। আহতরা সকলে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ জানান, নিহত লিয়াকতের ফুফাত ভাই একই গ্রামের আশরাফ উদ্দিনের ছেলে আফতাব উদ্দিন ও লুৎফর রহমানের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। দুই ভাইয়ের বিরোধ নিয়ে শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে প্রতিপক্ষের লাঠি ও রডের আঘাতে লিয়াকত আলী, মহসিন আলী, রওশন আলী ও মতিয়ার রহমান আহত হন। এদের ফুলবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। এখান থেকে তাদের রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার রাত ৩টায় লিয়াকত আলী মারা যান।
×