স্টাফ রিপোর্টার, গাজীপুর ॥ গাজীপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে অবৈধভাবে দোকান বসানো নিয়ে শনিবার বহিরাগতদের সঙ্গে বনপ্রহরীদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে বন প্রহরীরা ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সাফারি পার্কের বনকর্মকর্তা মোঃ মঞ্জুরুল আলম জানান, পার্কের বাইরে মূল ফটকের সামনে পার্কিং জোনে শ্রীপুরের মাওনা ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের সাবেক যুবলীগ সভাপতি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল বহিরাগত অস্থায়ী দোকানপাট স্থাপন করেছে। শনিবার বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সাফারি পার্ক পরিদর্শনে যাওয়ার আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বনপ্রহরীরা বহিরাগতদের দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলে। এ সময় বহিরাগত স্থানীয় সিরাজুল ইসলাম, বাবুল এবং তাদের সহযোগীরা বনপ্রহরীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটি শুরু করে। একপর্যায়ে প্রহরীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও টেনে হিঁচড়ে একজনের ইউনিফর্মের বোতাম ছিঁড়ে ফেলে।
পার্কের বন প্রহরী হাসান মিয়া জানান, গেটের সামনে স্থানীয় বহিরাগতরা গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় অস্থায়ী দোকানপাট স্থাপন করে। গত কয়েদিন ধরে তাদের দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়। গত দুদিন যাবত অনুনয় বিনয় করলে কিছু দোকানপাট সরিয়ে নেয়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আরও কিছু দোকানপাট উচ্ছেদ করতে গেলে বাবুল এবং তাদের সহযোগীরা বাধা দেয়। পরে ঘটনাটি বহিরাগতরা সিরাজুল ইসলামকে জানালে দল-বল ও লাঠিসোটা নিয়ে তারা পার্ক এলাকায় অবস্থান নেয়। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনজন বনকর্মকর্তাসহ অস্ত্রধারী ৬ সদস্যের বন প্রহরী তাদের দ্বিতীয় দফায় উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে। এ সময় সিরাজুল ইসলাম বাবুল তাদের নারী সহযোগীদের সঙ্গে নিয়ে বনপ্রহরীদের অস্ত্র ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে ও টেনে হিঁচড়ে একজনের ইউনিফর্ম ছিঁড়ে ফেলে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বনপ্রহরীরা এক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে।
সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্কের ইজারাদারদের কাছ থেকে তারা গাড়ী পার্কিংয়ের জায়গা সাব-ইজারা নিয়েছেন। এ জন্য বনপ্রহরীরা তাদের কাছে প্রতিদিন ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ব্যাপারে শ্রীপুর মডেল থানার এসআই সৈয়দ আজিজুল হক বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা থেকে দোকানপাট সরাতে গিয়ে বহিরাগতদের সঙ্গে বনপ্রহরীদের এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোন মামলা রুজু হয়নি। সকাল ১০টায় মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন সরকারী কাজে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক পরিদর্শনে আসেন।
