ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা পরিস্থিতি

মিয়ানমারকে সতর্ক করল জাতিসংঘ

প্রকাশিত: ০৫:৩২, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬

মিয়ানমারকে সতর্ক করল জাতিসংঘ

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির সরকারের ‘গাছাড়া’ ভাব বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। আউং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারের তীব্র নিন্দা করে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক দফতর বলছে, তারা মিয়ানমার থেকে প্রায় প্রতিদিনিই হত্যা, নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনার খবর পাচ্ছে। খবর বিবিসির। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার জেইদ রা’দ আল হুসেন এক বিবৃতিতে বলেন, রাখাইনের বিরোধপূর্ণ উত্তরাঞ্চলে বিদেশী সাংবাদিক ও ত্রাণকর্মীদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, মিয়ানমার সরকার যদি সেখানকার পরিস্থিতিকে ‘হালকা বা গাছাড়া’ ভাব নিয়ে দেখে তাহলে তা ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদে বড় ধরনের ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। জেইদ বলেন, রাখাইনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও জালিয়াতি অ্যাখ্যা দিয়ে সেখানে নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষকদের প্রবেশের আবেদন ধারাবাহিকভাবে খারিজ করা হচ্ছে, যা নির্যাতিতদের জন্য অপমানস্বরূপ এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, কর্তৃপক্ষের যদি লুকানোর কিছু না থাকে, তাহলে কেন তারা সেখানে যেতে বাধা দিচ্ছে? বার বার আমাদের অনুমতি দিতে ব্যর্থতায় আমাদের শঙ্কা, সেখানে ভয়াবহ কিছু হতে পারে। হাইকমিশনার বলেন, ‘আমি মিয়ানমার কর্তৃপক্ষকে পেছনে ফিরে দীর্ঘদিন ধরে শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে ওই অঞ্চলে চালানো নিরাপত্তা অভিযানের প্রভাব বিবেচনা করতে অনুরোধ করছি।‘ বিবৃতিতে অক্টোবরে সীমান্ত পোস্টে এবং পরে গত ১২ নবেম্বর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলারও তীব্র নিন্দা জানান জেইদ। গত ৯ অক্টোবর মিয়ানমারের তিনটি সীমান্ত পোস্টে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’হামলায় নয় সীমান্ত পুলিশ নিহত হওয়ার পর রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা অধ্যুষিত জেলাগুলোতে শুরু হয় সেনা অভিযান। এরপর থেকে সহিংসতায় বহু রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে, সহিংসতা থেকে বাঁচতে কয়েক হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে। মিয়ানমারের সরকার অবশ্য রাখাইনে কোন ধরনের গণহত্যা চালানোর কথা অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, রাখাইন রাজ্যে সন্ত্রাসবাদ দমনেই সেনাবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে।
×